প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে তুলসীপীঠে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

“অষ্টাধ্যয়ী ভারতীয় ভাষার হাজার বছর পুরনো এক নথি”
“সংস্কৃত কেবলমাত্র আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভাষা নয়, এটি আমাদের উন্নয়ন ও পরিচয়ের ভাষাও”
“চিত্রকূটের ধর্মীয় পরিচয়ের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও রয়েছে”

Posted On: 27 OCT 2023 4:46PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে তুলসীপীঠ ভ্রমণ করেন। কাঁচ মন্দিরে পুজো ও দর্শন করেন তিনি। তুলসীপীঠের জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন ও এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে তিনি ‘অষ্টাধ্যয়ী ভাষ্য’, ‘রামভদ্রাচার্য চরিতম্’ এবং ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি রাষ্ট্রলীলা’ নামে তিনটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। 
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রীরামের দর্শন ও পূজার্চনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য সহ অন্য সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ পেয়ে তিনি ধন্য বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি বই – এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বইগুলি ভারতের ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, “আমি এই বইগুলিকে জগদ্গুরুর আশীর্বাদ বলে মনে করি”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অষ্টাধ্যয়ী ভারতীয় ভাষার হাজার বছর পুরনো ইতিহাস। এটি ব্যাকরণ ও ভাষা বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াতে সহায়ক। তিনি বলেন, বহু ভাষা এসেছে এবং গেছে। কিন্তু, সংস্কৃত ভাষা চিরকালীন। “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃত ভাষার পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু, এর মাধুর্য নষ্ট হয়নি”, বলেও মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, ভারতবর্ষে সংস্কৃত ভাষার বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
দাসত্বের হাজার বছর পুরনো ইতিহাসে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ছিন্নমূল করার যে চেষ্টা চলেছে, তার উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃত ভাষা এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দাসত্বের মানসিকতা কিছু কিছু মানুষের মধ্যে সংস্কৃত ভাষার প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে মাতৃভাষা জানাকে যেখানে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখা হয়, সেখানে ভারতে তা কিন্তু হয় না।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে ধরনের কাজ জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য করে চলেছেন, তা জাতীয় সম্পদ। স্বামীজী ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন। 
স্বচ্ছতা, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্ন গঙ্গার মতো বিষয়গুলি বর্তমানে জাতীয় লক্ষ্য অর্জন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, “জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যজী দেশবাসীর অন্য এক স্বপ্ন পূরণে বড় ভূমিকা নিয়েছেন। রাম মন্দিরের জন্য আদালত ও আদালতের বাইরে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট তাঁকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকালে দেশ ঐতিহ্য ও উন্নয়নকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। চিত্রকূটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে। তিনি সর্বদাই ধর্মীয় স্থানের উন্নয়নে বিশেষ জোর দেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি কেন-বেতোয়া লিঙ্ক প্রকল্প ও বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের কথা স্মরণ করেন। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিত্রকূট উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে তিনি আশা করেন। জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যকে প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুলসীপীঠের জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান সহ অন্যরা। 
প্রেক্ষাপট:
তুলসীপীঠ মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটের এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৭ সালে জগদ্গুরু রামভদ্রচার্য এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তুলসীপীঠ হ’ল হিন্দু ধর্মীয় সাহিত্যের অন্যতম প্রকাশক।

PG/PM/SB


(Release ID: 1972115) Visitor Counter : 104