প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ প্রত্যক্ষ করতে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ইসরোর চন্দ্রাভিযান দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন

“এটি ১৪০ কোটি মানুষের দক্ষতার মুহূর্ত, এর মাধ্যমে ভারতের নতুন শক্তির প্রতি আস্থা প্রতিফলিত হয়”

“‘অমৃত কাল’-এর প্রথম আলোয় এটি ‘অমৃত বর্ষ’-এর সাফল্য ”

“ভারত আমাদের বৈজ্ঞানিকদের অধ্যবসায় এবং প্রতিভার কারণে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে, যেখানে আজ পর্যন্ত অন্য কোন দেশ পৌঁছোতে পারেনি”

“সেদিন আর দেরি নেই, যখন বাচ্চারা বলবে, ‘চাঁদমামার কাছে বেড়াতে যাচ্ছি’”

“আমাদের চন্দ্রাভিযান মানব কেন্দ্রিক ভাবনায় পরিচালিত, আর তাই এই সাফল্য সমগ্র মানবজাতির”

“আমরা আমাদের সৌরজগতের ক্ষমতাগুলি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবো, এর মাধ্যমে মানবজাতির জন্য বিশ্বব্রহ্মান্ডের সীমাহীন সম্ভাবনা উপলব্ধি করা যাবে”

“ভারত বারবার প্রমাণ করেছে আকাশই শেষ সীমা নয়”

Posted On: 23 AUG 2023 7:03PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ২৩ অগাস্ট, ২০২৩

 

 

চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ প্রত্যক্ষ করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ইসরোর চন্দ্রাভিযান দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সফল অবতরণের অব্যবহিত পরেই প্রধানমন্ত্রী দলের সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং এই ঐতিহাসিক সাফল্যে তাঁদের অভিনন্দন জানান। 

তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইসরোর চন্দ্রাভিযান দলের সদস্যদের নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে সম্বোধন করে বলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দেশের শাশ্বত ভাবনার প্রতিফলন। “এই মুহূর্তটি চিরস্মরণীয়, অভূতপূর্ব। এটি বিকশিত ভারতের জন্য এক বিজয় আহ্বান। পর্বত প্রমাণ প্রতিকূল অবস্থাকে অতিক্রম করে ‘চন্দ্রপিঠে’ হাঁটা বিজয়ের এক মুহূর্ত। এটি ১৪০ কোটি মানুষের দক্ষতার মুহূর্ত, এর মাধ্যমে ভারতের নতুন শক্তির প্রতি আস্থা প্রতিফলিত হয়। এর মাধ্যমে ভারতের উদীয়মান ভাগ্যের যাত্রার সূচনা হল।” আনন্দে উদ্বেলিত জাতিকে শ্রী মোদী বলেন, “‘অমৃত কাল’-এর প্রথম আলোয় এটি ‘অমৃত বর্ষ’-এর সাফল্য ।”  উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “ভারত এখন চাঁদে! আমরা এইমাত্র নতুন ভারতের প্রথম উড়ান প্রত্যক্ষ করলাম।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বর্তমানে জোহানেসবার্গে ব্রিকস শিখর সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মন দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মত চন্দ্রযান তিনের জন্য পড়ে ছিল। প্রত্যেক ভারতবাসী আজ উৎসবের আমেজে রয়েছেন। প্রত্যেকটি পরিবার আজ উৎসব উপভোগ করছেন। তিনিও এই বিশেষ মুহূর্তে প্রত্যেক নাগরিকের সঙ্গে রয়েছেন। শ্রী মোদী চন্দ্রযান টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বছরের পর বছর ধরে ইসরো এবং দেশের যেসব বৈজ্ঞানিকেরা নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন তাঁদের জন্য এই সাফল্য। তিনি এই বিশেষ মুহূর্তটিতে ১৪০ কোটি দেশবাসীকেও অভিনন্দন জানান।   

শ্রী মোদী বলেন, “ভারত, আমাদের বৈজ্ঞানিকদের অধ্যবসায় এবং প্রতিভার কারণে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে, যেখানে আজ পর্যন্ত অন্য কোন দেশ পৌঁছোতে পারেনি।” এর পরে চাঁদকে নিয়ে যেসব গল্পগাথা রয়েছে তা বদলে যাবে। নতুন প্রজন্মের জন্য এখন বিভিন্ন প্রবাদের নতুন অর্থ রচিত হবে। ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে পৃথিবীকে মা এবং চাঁদকে মামা বলে বর্ণনা করা হয়। ভাবা হত, চাঁদ অনেক দূরে। “সেদিন আর দেরি নেই, যখন বাচ্চারা বলবে, ‘চাঁদমামার কাছে বেড়াতে যাচ্ছি’।”  

প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্ব, প্রতিটি দেশ এবং অঞ্চলের মানুষের উদ্দেশে বলেন, “ভারতের সফল চন্দ্রাভিযান শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়। এবছর সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব ভারত কিভাবে পালন করেছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – যা সারা বিশ্বজুড়ে অনুরণিত হচ্ছে।আমাদের চন্দ্রাভিযান মানব কেন্দ্রিক ভাবনায় পরিচালিত, আর তাই এই সাফল্য সমগ্র মানবজাতির। এই অভিযান ভবিষ্যতে অন্য যে দেশগুলি চন্দ্রাভিযানে উদ্যোগী হবে তাদের সাহায্য করবে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী এরফলে উন্নয়নশীল দেশগুলি সহ প্রত্যেকটি দেশ লাভবান হবে। আমরা চাঁদ এবং চাঁদ ছাড়া অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহের বিষয়ে ভাবার অনুপ্রেরণা পাবো।”

শ্রী মোদী আশাপ্রকাশ করেন, চন্দ্রাভিযানের এই সাফল্যের মাধ্যমে ভারতের উড়ান ভবিষ্যতে চাঁদকে ছাড়িয়ে আরও অনেক দূরে যাবে। “আমরা আমাদের সৌরজগতের ক্ষমতাগুলি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবো, এর মাধ্যমে মানবজাতির জন্য বিশ্বব্রহ্মান্ডের সীমাহীন সম্ভাবনা উপলব্ধি করা যাবে।” ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনাগুলি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরো খুব শীঘ্রই সূর্যের বিষয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আদিত্য এল-১ অভিযানের সূচনা করতে চলেছে। শুক্র অভিযানের বিষয়েও পরিকল্পনা চলছে। “ভারত বারবার প্রমাণ করেছে আকাশই শেষ সীমা নয়।” ভারত এখন মিশন গগণযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ভারতের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আজকের এই দিন সেই লক্ষ্যে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংকল্প পূরণ সম্ভব হবে। “পরাজয়ের থেকে শিক্ষা নিয়ে কিভাবে বিজয়কে নিশ্চিত করা যায়, আজকের এই দিন সেটিই দেখালো।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শেষে বৈজ্ঞানিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের এক সাফল্যমণ্ডিত ভবিষ্যতের কামনা করেন। 

AC/CB/AS/



(Release ID: 1951664) Visitor Counter : 191