প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
রাজস্থানের সিকরে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
27 JUL 2023 2:36PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২৩
রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী কলরাজ মিশ্রজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিংজি তোমর, অন্যসব মন্ত্রীগণ, সংসদে আমার সহকর্মীগণ, বিধায়কগণ, অন্যসব বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এবং আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি কৃষক! আমি রাজস্থানের ভূমি থেকে দেশের কোটি কোটি কৃষককে আমার শুভেচ্ছা জানাই। আজ রাজস্থানের প্রিয় ভাই ও বোনেরা এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়েছে।
খাটু শ্যামজির এই ভূমি সারা দেশের ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস ও আশা জাগিয়েছে। আমার সৌভাগ্য যে আজ আমি যোদ্ধাভূমি শেখাওয়াতি থেকে দেশের জন্য একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প সূচনা করার সুযোগ পেয়েছি। আজ এখান থেকে পিএম কিষান সম্মাননিধি প্রকল্পে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা লক্ষ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ জমা পড়েছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে।
আজ ১.২৫ লক্ষ পিএম কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র চালু হয়েছে দেশে। গ্রাম এবং ব্লক স্তরে স্থাপিত এই পিএম কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষকরা সরাসরি সুবিধা পাবেন। আজ ১৫০০-র বেশি ফার্মার প্রোডিউসার অরগানাইজেশন (এফপিও) এবং আমাদের কৃষকদের জন্য ‘ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স’ (ওএনডিসি)-র সূচনা হয়েছে। এর ফলে দেশের যে কোনো প্রান্তে বসে কৃষকরা যে কোনো বাজারে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
আজ দেশের কৃষকদের জন্য একটি নতুন ‘ইউরিয়া গোল্ড’-এরও সূচনা হয়েছে। এছাড়াও রাজস্থানের বিভিন্ন শহর উপহার হিসেবে পেয়েছে নতুন মেডিকেল কলেজ এবং একলব্য মডেল স্কুল। আমি আমার হার্দিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই, দেশের মানুষ, রাজস্থানের মানুষ এবং বিশেষ করে আমার কৃষক ভাই ও বোনেদের।
বন্ধুগণ,
রাজস্থানের সিকর এবং শেখাওয়াতি অঞ্চল নিশ্চিতভাবে কৃষকদের শক্ত ঘাঁটি। এখানকার কৃষকরা সবসময় প্রমাণ করেছেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের পথে কোনো বাধাই দাঁড়াতে পারবে না। জলের অভাব সত্ত্বেও এখানকার কৃষকরা মাটি থেকে প্রভূত ফসল ফলিয়েছেন। কৃষকদের দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম মাটিতে সোনা ফলাতে পারে। সেই জন্যই আমাদের সরকার দেশের কৃষকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার এত দশক পরে দেশে এমন একটি সরকার আমরা পেয়েছি যাঁরা কৃষকদের দুঃখ এবং বেদনা বোঝে। সেই জন্য গত ৯ বছরে ভারত সরকার কৃষকদের স্বার্থে নিয়মিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বীজ থেকে বাজার আমরা কৃষকদের জন্য নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। আমার মনে আছে যে, আমরা ২০১৫-য় রাজস্থানের সুরাতগড় থেকে সয়েল হেল্থ কার্ড কর্মসূচির শুরু করেছিলাম। এই কর্মসূচিতে আমরা দেশের কোটি কোটি কৃষককে সয়েল হেল্থ কার্ড দিয়েছি। এই কার্ডের জন্যই এখন কৃষকরা তাঁদের মাটির স্বাস্থ্য বুঝতে পারেন এবং সেই মতো সার ব্যবহার করতে পারেন।
আমি খুশি যে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রাজস্থানের ভূমি থেকে কৃষকদের জন্য সূচিত হচ্ছে। আজ ১.২৫ লক্ষ প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই সবকটি কেন্দ্র কৃষকদের প্রকৃত উন্নতির পথ দেখাবে। একদিক দিয়ে এইগুলি কৃষকদের জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টার।
কৃষক ভাই ও বোনেদের প্রায়শই কৃষি সংক্রান্ত বা অন্য প্রয়োজনে কিছু কিনতে হলে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। এখন থেকে আপনাদের সেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্রগুলি কৃষকদের বীজ এবং সার দেবে। এছাড়া এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষি সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া যাবে। এই কেন্দ্রগুলি কৃষকদের কৃষি সংক্রান্ত আধুনিক তথ্যও সরবরাহ করবে। আমি দেখেছি, সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে নিখুঁত তথ্যের অভাবে আমার কৃষক ভাই বোনেরা অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হন। প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র এখন থেকে প্রতিটি কর্মসূচি বিষয়ে সময় মতো তথ্য যোগানোর বিশ্বস্ত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
এবং বন্ধুগণ,
এটা সবেমাত্র শুরু, এবং আমি কৃষকদের কাছে আবেদন জানাই, এই অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য। যদি আপনাদের কৃষি সংক্রান্ত কিছু কেনার নাও থাকে, কিন্তু যদি আপনাকে বাজারে যেতেই হয় এবং সেখানে যদি কোনো প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র থাকে তাহলে সেগুলি ঘুরে দেখুন। দেখুন সেখানে কী হচ্ছে। আপনারা দেখে থাকবেন, আমাদের মা ও বোনেরা যখন আনাজ কিনতে যান, তখন যদি কোনো শাড়ির দোকানের পাশ দিয়ে তাঁরা যান তখন শাড়ি কেনার প্রয়োজন না থাকলেও সেই দোকানে একবার ঢুকে পড়েন। তাঁরা দেখতে চান কী কী নতুন ধরনের শাড়ি এসেছে। আমার কৃষক ভাই ও বোনেরা যখনই শহরে যাবেন, তখন একটু সময় বের করে কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখার অভ্যেস গড়ে তুলুন। দেখুন কী কী ধরনের নতুন জিনিস এসেছে। এর থেকে আপনাদের প্রভূত উপকার হবে। বন্ধুগণ, দেশে এই বছরের শেষ নাগাদ ১.৭৫ লক্ষের বেশি প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র তৈরি হয়ে হবে।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রের বর্তমান সরকার পুরোপুরি সততার সঙ্গে কৃষকদের খরচের বোঝা কমাতে তাঁদের অংশীদার হচ্ছে। পিএম কিষান সম্মাননিধি বিশ্বের বৃহত্তম কর্মসূচি। যেখানে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়। যদি আমরা আজকের ১৪ তম কিস্তিটি ধরি তাহলে, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এপর্যন্ত ২.৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ সরাসরি পাঠানো হলো। নানা ছোটখাটো খরচ মেটাতে এই টাকা কৃষকদের উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করবে।
আমাদের কৃষক ভাইদের অর্থের সাশ্রয় করছে আমাদের সরকার, তার উদাহরণ ইউরিয়ার দাম। দেশের কৃষকগণ, দয়া করে আমার কথা মন দিয়ে শুনুন। আপনারা জানেন, কিভাবে করোনার মতো মারাত্মক অতিমারি আক্রমণ করেছিল। এর পরেই রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাজারে চূড়ান্ত ওঠানামা হয়। সর্বক্ষেত্রে বিশেষ করে সারের কেনাবেচায় অসুবিধার সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমাদের সরকার, আমাদের কৃষকদের উপর তার প্রভাব পড়তে দেয়নি।
আমি দেশের সব কৃষকদের সঙ্গে সারের দাম প্রসঙ্গে সত্য কথাটা ভাগ করে নেবো। বর্তমানে ভারতে আমরা কৃষককে এক ব্যাগ ইউরিয়া দিই ২৬৬ টাকায়। সেই এক ব্যাগ ইউরিয়ার দাম আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানে প্রায় ৮০০ টাকা। যে ব্যাগটি আমরা ২৬৬ টাকায় ভারতের কৃষকদের দিই, সেই এক ব্যাগ ইউরিয়ার দাম বাংলাদেশের কৃষকদের কাছে প্রায় ৭২০ টাকা। আমরা ভারতের কৃষকদের যে এক ব্যাগ ইউরিয়া ২৬৬ টাকায় দিই চীনে সেটারই দাম ২১০০ টাকা। আর আপনারা জানেন, আমেরিকায় ওই ইউরিয়ার ব্যাগের দাম এখন কত। আপনাদের যে এক ব্যাগ ইউরিয়ার জন্য ৩০০ টাকার কম দিতে হচ্ছে, সেটাই আমেরিকার কৃষকদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকার বেশি দামে। আপনারা বুঝতে পারছেন ৩০০ টাকা এবং ৩ হাজার টাকার তফাত।
আমাদের সরকার ইউরিয়ার দামের কারণে ভারতীয় কৃষকদের ভুগতে দেবে না। দেশের কৃষকরা প্রতিদিন এই সত্যের সাক্ষী থাকছে। যখন তারা ইউরিয়া কিনতে যান, তাঁদের পরিপূর্ণ বিশ্বাস থাকে যে এটা মোদীর গ্যারান্টি। যদি আপনারা কৃষকদের গ্যারান্টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তাহলেই আপনারা জানতে পারবেন।
বন্ধুগণ,
রাজস্থানে আপনারা কৃষকরা কঠোর পরিশ্রমের সাহায্যে বাজরা (মিলেট)-র মতো মোটা দানার শস্য ফলান। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মোটা দানার শস্য চাষ হয়। এইসব মোটাদানার শস্যকে বর্তমানে আমাদের সরকার ‘শ্রীঅন্ন’ নামে স্বীকৃতি দিয়েছে। সব মোটা দানার শস্যকেই ‘শ্রীঅন্ন’-এর নামে চিহ্নিত করা হবে এবং আমাদের সরকার ভারতের মোটা দানার শস্যকে বিশ্বের বৃহত্তম বাজারে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রয়াসের কারণেই ‘শ্রীঅন্ন’ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানি বাড়ছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেওয়ার সুযোগ ঘটেছিল। আমি দেখে খুশি হলাম, যে সেখানে মোটা দানার শস্য থেকে তৈরি খাবারও আছে।
বন্ধুগণ,
চলতি প্রয়াসে আমাদের দেশের প্রভূত উপকার হচ্ছে এবং রাজস্থানে ক্ষুদ্র চাষি যাঁরা মোটা দানা এবং ‘শ্রীঅন্ন’ শস্য চাষ করছেন, তাঁদেরও উপকার হচ্ছে। দেশে নানারকম উদ্যোগের ফলে কৃষকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে।
বন্ধুগণ,
ভারতের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন ভারতের গ্রামগুলি উন্নত হবে। ভারত তখনই উন্নত হয়ে উঠতে পারে, যখন তার গ্রামগুলি উন্নত হয়ে উঠবে। সেই জন্য বর্তমানে আমাদের সরকার ভারতের গ্রামগুলিতে সবরকম সুবিধা নিয়ে আসছে, যা শহরেও পাওয়া যায়। আপনারা সকলেই জানেন যে, একটা সময় ছিল যখন দেশের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। কোটি কোটি মানুষ ভাগ্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতো। ধরেই নেওয়া হতো দিল্লি, জয়পুর এবং অন্য বড় শহরেই শুধু ভালো হাসপাতাল থাকে। আমরা এই পরিস্থিতিরও পরিবর্তন করছি। এখন দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটস অফ মেডিকেল সায়েন্সেস) এবং নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হচ্ছে।
এইসব প্রয়াসের ফলেই দেশে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ৮-৯ বছর আগে রাজস্থানে মাত্র ১০টি মেডিকেল কলেজ ছিল। বর্তমানে রাজস্থানে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। এতে আমাদের জেলাগুলির আশেপাশে ভালো চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে তাই নয়, এইসব প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক চিকিৎসকও পাশ করে বেরোচ্ছে। এইসব চিকিৎসকেরাই ছোট ছোট শহর এবং গ্রামে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার ভিত্তি হয়ে উঠছেন।
উদাহরণস্বরূপ, আজ যে মেডিকেল কলেজগুলির সূচনা হল, তার থেকে উপকৃত হবে বরন, বুন্দি, টঙ্ক, সোয়াইমাধোপুর, কারৌলি, ঝুনঝুনু, জয়সলমীর, ঢোলপুর, চিতোরগড়, সিরোহী এবং সিকর সহ অনেক অঞ্চল। চিকিৎসার জন্য মানুষকে আর জয়পুর বা দিল্লি যেতে হবে না। এখন আপনার ঘরের কাছেই ভালো হাসপাতাল পাবেন এবং এইসব মেডিকেল কলেজে পড়তে পারার সুযোগ পাবেন গরির মানুষের ছেলেমেয়েরা। এছাড়া, আমাদের সরকার মাতৃভাষায় মেডিকেল শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। ইংরেজি না জানার ফলে গরিব মানুষের কোনো ছেলে মেয়ে মেডিকেল শিক্ষা থেকে আর বঞ্চিত হবেন না। এটা মোদীর আরও একটা গ্যারান্টি।
ভাই ও বোনেরা,
দশকের পর দশক ধরে গ্রামাঞ্চলে ভালো স্কুল না থাকায় আমাদের গ্রামগুলি এবং অনগ্রসরশ্রেণী পিছিয়ে পড়েছে। অনগ্রসর এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুরাও স্বপ্ন দেখতো কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করার উপায় ছিল না। আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছি, অর্থ সংস্থান বাড়িয়েছি এবং একলব্য মডেল ট্রাইবাল স্কুল খুলেছি। এতে আমাদের আদিবাসী যুব সমাজের প্রভূত উপকার হয়েছে।
বন্ধুগণ,
তখনই সাফল্য উল্লেখযোগ্য হয় যখন স্বপ্নটাও বড় হয়। রাজস্থান এমনই একটি রাজ্য যেটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সারা বিশ্বকে মোহিত করেছে, তার সৌন্দর্য দিয়ে। সেই ঐতিহ্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব এবং রাজস্থানকে আধুনিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। সেইজন্য রাজস্থানে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলাই আমাদের অগ্রাধিকার। সম্প্রতি রাজ্যে দুটি হাইটেক এক্সপ্রেসওয়ের সূচনা হয়েছে – দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং অমৃতসর-জামনগর এক্সপ্রেসওয়ে। এই দুটিই রাজস্থানের উন্নয়নের কাহিনীতে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। রাজস্থানের মানুষ বন্দে ভারত ট্রেনও উপহার পেয়েছেন।
বর্তমানে ভারত সরকার পরিকাঠামো এবং পর্যটন সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা উন্নয়নে লগ্নি করছে। যা রাজস্থানেও নতুন সুযোগ তৈরি করবে। যখন আপনি ‘পাধারো মারে দেশ’ শ্লোগান দিয়ে পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাবেন, তখন এক্সপ্রেসওয়ে এবং ভালো রেল ব্যবস্থা তাদের স্বাগত জানাবে।
আমাদের সরকার স্বদেশদর্শন যোজনায় খাটু শ্যামজি মন্দিরের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছে। আমি বিশ্বাস করি শ্রী খাটু শ্যামের আশীর্বাদে রাজস্থানের উন্নয়ন আরও গতি পাবে। আমরা সকলে সারা বিশ্বের কাছে রাজস্থানের গরিমা ও ঐতিহ্যের নতুন পরিচয় দিতে পারবো।
বন্ধুগণ,
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলটজি গত কয়েকদিন ধরে পায়ের অসুবিধার কারণে সুস্থ নেই। আজ তাঁর এই অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি ওই কারণে। আমি তাঁর সুস্থতা কামনা করি। আমি এই সব গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন এবং উদ্যোগ কৃষক ও রাজস্থানের মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করছি এবং আমার হার্দিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই সঙ্গেই আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।
AC/AP/SKD
(Release ID: 1950751)
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam