যোগাযোগওতথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রক

আরও নিরাপদ ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্রের লক্ষ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় ২টি সংস্কারমূলক পদক্ষেপ

সিম অদল-বদলের ক্ষেত্রে নতুন কেওয়াইসি
আঙুলের ছাপ এবং চোখের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের পাশাপাশি মুখমণ্ডলভিত্তিক বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণেও ছাড়পত্র
বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ কেওয়াইসি
বিক্রয়বিন্দু বা পয়েন্ট অফ সেলের নিবন্ধীকরণ
ভুয়ো পয়েন্ট অফ সেল বা বিক্রয়বিন্দু তিন বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করার সংস্থান
প্রতিটি বিক্রয়বিন্দু বা পয়েন্ট অফ সেলের ফ্র্যানঞ্চাইজি এজেন্ট এবং ডিস্টিবিউটারের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য যাচাই
সঞ্চার সাথী-র মাধ্যমে ৫২ লক্ষ সন্দেহজনক মোবাইল সংযোগ বাতিল
সঞ্চার সাথী-র মাধ্যমে ৩ লক্ষেরও বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর হদিশ

Posted On: 17 AUG 2023 6:55PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৭ই অগাস্ট , ২০২৩

 


দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড ক্রমে আরো ডিজিটালাইজ হয়ে ওঠায় অনলাইন সুযোগ-সুবিধা পেতে মোবাইল পরিষেবা সহ টেলিকম ক্ষেত্রের সম্পদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। ডিজিটাল সংযোগ সামাজিক অর্থনৈতিক এবং উন্নততর সচলতার প্রশ্নে অত্যন্ত সহায়ক। সুতরাং টেলিকম ক্ষেত্রের সম্পদের নিরাপদ ব্যবহার এবং মোবাইল গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতীব জরুরী। 

ডিজিটাল প্রশ্নে অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনের পাশাপাশি গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করতে যোগাযোগ, রেল এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ আজ দুটি সংস্কারমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন। 
 ১) কেওয়াইসি বিধির সংস্কার 
 ২) বিক্রয়বিন্দু বা পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত সংস্কার 

এর আগে সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে চালু হওয়া নাগরিক কেন্দ্রিক পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’ –র সঙ্গে এই দুটি পদক্ষেপ সাযুজ্যপূর্ণ।

বিক্রয়বিন্দু (পয়েন্ট অফ সেল-পিওএস) নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত সংস্কার-
এই সংস্কারমূলক প্রস্তাব অনুযায়ী পিওএস-এর ফ্র্যানঞ্চাইজি এজেন্ট এবং ডিসট্রিবিউটারের নিবন্ধীকরণ বাধ্যতামূলক। তারফলে অসামাজিক বা দেশবিরোধী কাজে লিপ্তদের জন্য যেসব পিওএস বেআইনীভাবে সিম ইস্যু করে তাদের বাতিল করা যাবে। 
পিওএস নিবন্ধীকরণ প্রণালীর আওতায় লাইসেন্স প্রাপককে যথাযথভাবে পিওএস যাচাই করে নিতে হবে। লাইসেন্স প্রাপক এবং পিওএসের মধ্যে থাকতে হবে লিখিত চুক্তি। যদি কোনওএ পিওএসের মাধ্যমে বেআইনী কার্যকলাপ হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তিন বছরের জন্য তা কালো তালিকাভুক্ত থাকবে। চালু সমস্ত পিওএস নিবন্ধীকরণের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে ১২ মাসের মধ্যে। 

কেওয়াইসি সংস্কার – কেওয়াইসি হল এমন একটি প্রণালী যাতে একজন গ্রাহককে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায় এবং টেলিকম পরিষেবা প্রদানের আগে তার গতিবিধিও যাচাই করে নেওয়া যায়। সম্ভাব্য জালিয়াতি রোধ করে ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ানোয় বর্তমানে চালু কেওয়াইসি প্রণালী আরও ত্রুটিমুক্ত করা দরকার। 

ছাপা আধার-এর বেআইনী ব্যবহার রুখতে তার কিউআর কোড স্ক্যান করা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। যদি কোনও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় তাহলে অন্তত ৯০ দিনের আগে ওই নম্বরে অন্য কোনও গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হবে না। সিম পাল্টাতে গেলে গ্রাহককে সম্পূর্ণ কেওয়াইসি নথি পেশ করতে হবে এবং ২৪ ঘন্টার জন্য এসএমএস আসা-যাওয়া বন্ধ থাকবে। 

আঙুলের ছাপ এবং চোখভিত্তিক বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের পাশাপাশি আধার ই-কেওয়াইসি প্রণালীতে মুখমণ্ডলভিত্তিক বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণও গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। 

কোনো সংস্থাকে মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে (বাণিজ্যিক সংস্থা, সংগঠন, অছি পরিষদ) বাণিজ্যিক সংযোগ পদ্ধতি চালু হবে। এইসব সংস্থা চূড়ান্ত ব্যবহারকারী সকলের সম্পূর্ণ কেওয়াইসি পেশ করলে একাধিক মোবাইল সংযোগের সুবিধা পাবে। চূড়ান্ত ব্যবহারকারীদের সকলের কেওয়াইসি এবং সংস্থার দফতর হাতে-কলমে প্রত্যক্ষভাবে যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর চালু হবে সিম। 

জালিয়াতির প্রতিরোধ করে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকার লক্ষ্যেই টেলি যোগাযোগ দফতর এইসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং দূরদর্শী নজরদারির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রকে সকলের কাছে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করে তুলতে চায় সরকার। 
বিশদ নির্দেশিকা পরে দেওয়া হবে। 
মোবাইল গ্রাহকদের সুরক্ষায় চালু হওয়া নাগরিক কেন্দ্রিক পোর্টাল সঞ্চার সাথী-র প্রভাব 
১) ‘সঞ্চার সাথী’ পোর্টাল চালু হয় বিশ্ব টেলি যোগাযোগ দিবস (১৭ মে ২০২৩) –এ 
২) ‘সঞ্চার সাথী’ পোর্টাল-এর ফলে মোবাইল গ্রাহকরা যেসব সুবিধা পেয়েছেন 
ক) নিজের নামে নিবন্ধীকৃত মোবাইল সংযোগ চিহ্নিত করা 
খ) যদি কোনও গ্রাহকের নামে ভুয়ো সংযোগ থাকে তাহলে তা জানানো 
গ) চুরি যাওয়া / হারিয়ে যাওয়া মোবাইল হ্যাণ্ডসেটের বিষয়ে জানিয়ে তা ব্লক করা 
৩) ‘সঞ্চার সাথী’ পোর্টাল এবং এএসটিআর-এর সহায়তায় চালু থাকা ১১৪ কোটি মোবাইল সংযোগ যাচাই করে দেখা হয়েছে। ফল হল :  
ক) হদিশ পাওয়া গেছে ৬৬ লক্ষেরও বেশি সন্দেহজনক মোবাইল সংযোগের 
খ) পুনর্যাচাই না হওয়ায় ৫২ লক্ষেরও বেশি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে
গ) কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে ৬৭ হাজারের বেশি পয়েন্ট অফ সেল(পিওএস)
ঘ) প্রায় ১৭ হাজার মোবাইল হ্যাণ্ডসেট ব্লক করে দেওয়া গেছে 
ঙ) ১৭০০-রও বেশি পয়েন্ট অফ সেল(পিওএস)-এর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৩০০-র বেশি এফআইআর 
চ) ৬৬ হাজারের বেশি হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া গেছে 
ছ) জালিয়াতদের ৮ লক্ষ ব্যাঙ্ক/ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হয়েছে 
৪) গ্রাহকদের তরফ থেকে নিজেদের নামে বেআইনীভাবে চালু থাকা ১৮ লক্ষ মোবাইল সংযোগের বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯.২৬ লক্ষ অভিযোগের ক্ষেত্রে নিষ্পত্তি হয়েছে। 
৫) চুরি যাওয়া/হারিয়ে যাওয়া মোবাইল হ্যাণ্ডসেটের বিষয়ে ৭.৫ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৩ লক্ষ মোবাইল হ্যাণ্ডসেটের হদিশ পাওয়া গেছে। 
৬) ২০২২-এর জানুযারী থেকে এখনও পর্যন্ত ১১৪টি বেআইনী টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার হদিশ মিলেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। 

AC / AC/AG 



(Release ID: 1950049) Visitor Counter : 105