প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

গুজরাটের গান্ধীনগরে অখিল ভারতীয় শিক্ষা সঙ্ঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 12 MAY 2023 4:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ মে, ২০২৩


গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী যিনি নিজেকে সারা জীবন একজন শিক্ষক হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন, পুরুষোত্তম রুপালাজি, সি আর পাটিলজি যিনি গত লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন, গুজরাট সরকারের মন্ত্রীগণ, অখিল ভারতীয় প্রাইমারী শিক্ষক সঙ্ঘ-এর সকল সদস্য, সারা দেশের সম্মাননীয় শিক্ষকগণ, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ,

আমাকে অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে এই জাতীয় অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি কৃতজ্ঞ। গুজরাটে আমার মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময়কালে প্রাথমিক শিক্ষকদের দ্বারা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানোর আমি সাক্ষী আছি। স্কুলছুটদের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ায় ৩ শতাংশেরও কমে।

অনেক ছাত্রী স্কুলের শৌচাগার না থাকায় স্কুলছুট হয়। সেজন্য আমরা স্কুলে ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচালয় তৈরি করা শুরু করি। এক সময় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার কোথাও বিজ্ঞান বিভাগ ছিল না। আজকে শুধু বিজ্ঞান পড়ানোই হচ্ছে না, অনেক আদিবাসী ছাত্রছাত্রী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছেন।

অনেক সময় বিদেশ সফরকালে অনেক নেতাই আমাদের শিক্ষকদের সম্পর্কে উচ্চ প্রশংসা করেছেন। এতে আপনারা নিশ্চয়ই গর্বিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমার প্রথম সফরে ভুটানের রাজা আমাকে বলেছিলেন যে তাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভারতীয় শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহানির্দেশক তেদ্রোস অ্যাধানম গেব্রেসাস আমায় বলেছিলেন যে তিনি বর্তমানে যা হয়েছে তার পিছনে ভারতীয় শিক্ষকদের প্রভূত অবদান রয়েছে।

বন্ধুগণ,

রুপালাজি গর্বের সঙ্গে বলেছেন যে তিনি সারা জীবন ধরে শিক্ষক। আমি গর্বের সঙ্গে বলছি আমি সারা জীবনই ছাত্র। সমাজে কি হচ্ছে তা নিবিড়ভাবে জানতে পারি আপনাদের কাছ থেকে। এই দ্রুত পরিবর্তনশীল একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টাচ্ছে, শিক্ষকরা পাল্টাচ্ছেন, পাল্টাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরাও। আগে শিক্ষা উপকরণের পরিকাঠামোর অভাব ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সেই অভাব না থাকলেও এখন বর্তমান প্রজন্মের ছোটরা আরও বেশি কৌতুহলী হয়ে উঠেছে। ছাত্ররা নানা জায়গা থেকে তাদের কৌতুহল মেটানোর চেষ্টা করে। সেজন্য শিক্ষকদেরও সেইমতো প্রস্তুত হতে হচ্ছে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নির্ভর করছে শিক্ষকরা কিভাবে সব সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন তার ওপর। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত দিক দিয়েই এই সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে। ডেটা হয়তো পাওয়া যায় গুগল থেকে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকেই। শুধুমাত্র একজন গুরুই সঠিকভাবে ছাত্রছাত্রীকে জ্ঞান ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন। কোন তথ্যটি ভালো কোন তথ্যটি নয়, সেটি জানাতে পারেন একমাত্র গুরুই।

এখন প্রত্যেক বন্যার মধ্যে ছাত্রদের কোনও একটি বিষয়ের ওপর মনঃসংযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গভীর পঠন এবং তার যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া খুব জরুরি। একবিংশ শতাব্দীতে একজন ছাত্রছাত্রীর জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিজেকে শিক্ষক না ভেবে শিশুর মা অথবা বাবা হিসেবে নিজেকে ভাবতে হবে। আপনি আপনার ছেলে-মেয়ের জন্য যা চাইছেন, দেশের সকল বাবা-মা-ই তাই চাইছেন এবং তাঁরা আপনার কাছে সেটাই প্রত্যাশা করেন।

বন্ধুগণ,

সবসময় মনে রাখবেন, একটি ছাত্র আপনার কাছে শুধু পড়াশোনাই শিখছে না, আপনার আদর্শ, আপনার প্রতিদিনের আচার-আচরণ, আপনি কিভাবে কথা বলছেন, আপনার চালচলন – সবই তারা দেখছে। অনেক সময় আপনারা যা শেখাচ্ছেন আর ছাত্ররা যা শিখছে তার মধ্যে অনেক ফারাক আছে। ছাত্ররা শিক্ষকের কাছ থেকে ধৈর্য্য ধরা, কথা বলার, ভালো মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষাও পায়। সেজন্য প্রাথমিক শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের বাইরে শিক্ষকই প্রথম ব্যক্তি যাঁর কাছে ছোটরা অনেকটা সময় কাটায়।

বন্ধুগণ,

আমরা বর্তমানে যে স্কুলে কাজ করছেন, সেখানে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি হয় রূপায়িত হয়েছে বা রূপায়িত হতে চলেছে। আমি গর্বিত যে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষক জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরিতে অবদান রেখেছেন। শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই এই নীতি সম্ভব হয়েছে।

বহু বছর ধরে আমরা শিক্ষার নামে খালি বই পড়াকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সেই পুরনো ধ্যান-ধারণা সরিয়ে দিয়েছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তব জ্ঞানের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, শিক্ষণের সময় শেষ হতে চলেছে। এখন শিক্ষা দেখে শেখার মাধ্যমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা হয়তো কাদামাটি বা খড়ি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রদের বললেন, কিন্তু যদি কুম্ভকারের কাছে তাদের নিয়ে যান, তারা শিখতে পারবে কিভাবে কুম্ভকাররা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য মুক্তির চেষ্টা করছে। এতে ছোট ছেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। কাছ থেকে দেখলে তাদের মধ্যে মাটির বিভিন্ন ধরনও বোঝা সহজ হবে।

বন্ধুগণ,

আমার ছোটবেলায় একজন শিক্ষক প্রত্যেককে দশটি করে চাল বা বিভিন্ন ধরনের ডাল ইত্যাদি আনতে বলতেন। পরেরদিন আনলে সেগুলি তিনি মিশিয়ে দিয়ে দুটি বা তিনটি করে ওই নানা চাল, ডাল বেছে তুলতে বলতেন। এতে সংখ্যাগুলি মাথায় গেঁথে যেত। পরের বছরে পরবর্তী শ্রেণীতেও তিনি একই জিনিস করলেন। কিন্তু, পরেরদিন সকলের চোখ বেঁধে দিলেন এবং হাতে নিয়ে অনুভব করতে বললেন কোনটা কোন জিনিস। এই সামান্য কাজ থেকে শুধু গণনা নয়, বিভিন্ন ডাল সম্বন্ধে, তাদের রং সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারল।

বন্ধুগণ,

জাতীয় শিক্ষানীতিতে গ্রামের এবং ছোট শহরের শিক্ষকদের সাহায্য করার সংস্থান রাখা হয়েছে। মাতৃভাষায় শিক্ষাদান তার অন্যতম। ২৫০ বছর ধরে ব্রিটিশ শাসনের পরও আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর মধ্যে ইংরেজি ভাষা সীমিত হয়ে রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীনতার পর আমাদের শিক্ষায় ইংরেজি ভাষার ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে। মা-বাবাকেও বলা হয়েছে ছেলে-মেয়েদের ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য। এর ফলে কি হয়েছে? আমাদের গ্রাম ও গরীব পরিবারের লক্ষ লক্ষ শিক্ষক যাঁরা মাতৃভাষা নিয়ে স্নাতক হয়েছেন, যাঁরা ইংরেজি শেখার সুযোগ পাননি, তা সে যতই ভালো হোন না কেন তাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন। কিন্তু বর্তমান শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় শিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

শিক্ষকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন। তার মধ্যেই আমাদের এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে মানুষ স্বেচ্ছায় শিক্ষক হতে এগিয়ে আসেন। সকলেই চান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে, এমবিএ করতে। আমরা খুব কমই দেখতে পাই যাঁরা শিক্ষক হতে চান বা ছোটদের শেখাতে চান। এটা আমাদের সমাজের কাছে একটা বড় সমস্যা।

যখন আমি প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, তখন আমার দুটি ইচ্ছা ছিল। প্রথমটি হল আমি আমার ছোটবেলার স্কুলের বন্ধুদের মুখ্যমন্ত্রী ভবনে আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিলাম কারণ, আমার তো ভবঘুরে জীবন। আমার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। প্রায় তিন দশক পর তাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হল। আমি এমনই একজন ছাত্র যার সঙ্গে সমস্ত শিক্ষকের আজীবন সম্পর্ক ছিল। এক শিক্ষককে আমার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম যাঁর ৯৩ বছর বয়স। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি, খুব কম মানুষই তাঁদের বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানান। ৯০ শতাংশ মানুষই বলবেন যে তাঁরা কোনদিন শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাননি। আমাদের দেখতে হবে যে এটা কেন ঘটে?

এই বাস্তবতার আরও একটি দিক রয়েছে। আমি শিক্ষা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভালোবাসি। আমি অনেক সময় জিজ্ঞাসা করি এমন ১০ জনের নাম বলো যাঁদের জন্য তোমরা গর্বিত। দুঃখের সঙ্গে বলছি, ২০ বছর ধরে পড়াচ্ছেন এমন শিক্ষকও ১০টি ছাত্রের নাম বলতে পারেন না। এর অর্থ তাঁরাও ছাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না।

এবং বন্ধুগণ,

খেলার জগতে আমরা দেখতে পাই, কোনও একজন খেলোয়াড় পদক জিতলে সে তাঁর গুরু এবং তাঁর কোচকে সেটি উৎসর্গ করেন। অনেক সময় সেই খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর ছোটবেলার গুরুর ফারাক থাকে। কিন্তু অলিম্পিকে পদক জিতে তাঁকেই সে সম্মান জানায়। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা বাকি জীবনেও তাঁর মধ্যে থাকে। এর কারণ গুরু বা কোচ ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে যান। ভালো খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করেন। অন্যদিকে কিন্তু স্কুলের শিক্ষকদের অবদান ছাত্ররা ততটা স্বীকার করে না।

বন্ধুগণ,

ছাত্র এবং স্কুলের মধ্যে দিনে দিনে সংযোগ কমেই যাচ্ছে। পাশ করে যাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা খুব কমই মনে রাখে স্কুলকে। শুধুমাত্র সার্টিফিকেটের দরকার হলে স্কুলে যায়। অনেক সময় ছাত্র এবং শিক্ষকরা তাঁদের স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস কবে, সেটাই জানেন না। ছাত্র এবং স্কুলের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের ধারা আমরা চালু করতে পারি। আমি এও দেখেছি, স্কুলও জানে না সেখান থেকে পাশ হওয়া ছাত্ররা কে কি করছে না করছে।অনেকেই হয়তো তাঁদের কথা জানেন কিন্তু স্কুল জানে না।

বন্ধুগণ,

গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি জিনিস হল সুস্থতা, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা। এই তিনটিই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। অনেক সময় আমি দেখেছি যে শিশুদের জীবন একেবারে সাদামাটা। সারাদিন তার কোনও শারীরিক কাজকর্ম নেই। হয় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত না হয় টিভির সামনে বসে আছে। অনেক সময় স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি যে ক’জন সারাদিনে অন্তত একবার ঘাম ঝরায়। তারা তো অনেকে জানেই না যে ঘাম কি। স্কুলের খেলার পিরিয়ডই নেই, তাই ছাত্রদের ঘামও ঝরাতে হয় না। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সার্বিক উন্নতি সম্ভব।

আপনারা জানেন, সরকার ছোটদের পুষ্টির ওপর নজর দিচ্ছে। এজন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করেছে সরকার। যদি করতে হয় করা - সেভাবে মিড-ডে মিলকে নেওয়া হয়, তাহলে পুষ্টির সমস্যা থেকেই যায়। আমি এটাকে একটু অন্যদিক দিয়ে দেখি। সরকার এরজন্য সংস্থান করেছে ঠিকই, কিন্তু দেশের মানুষেরও উচিত স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে রান্নাঘর চালু করা। যদি ছেলে-মেয়েদের খাবার সময় দু’জন নামী মানুষ সেখানে উপস্থিত থেকে সেখানে খাওয়াদাওয়া করেন, তাহলে পুরো ছবিটিরই পরিবর্তন হতে বাধ্য। শিক্ষক যখন কোনও আদর্শ নজির সৃষ্টি করেন, তখন তা অসাধারণ হয়ে ওঠে।

আমার মনে আছে, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আমি যখন গুজরাটের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে যেতাম তখন দেখতাম ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, তাদের প্রত্যেকের জামার পকেটে রুমাল আটকানো আছে। ওই ছেলে-মেয়েদের হাত, নাক পরিষ্কার করা শেখানো হয়েছিল এবং তারা সেটা মন দিয়ে করে। স্কুল শেষ হওয়ার পর সেই রুমালগুলি শিক্ষিকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কেছে আবার পরেরদিন নিয়ে আসেন। এটা তাঁর দায়িত্ব না হলেও তিনি করে আসছেন। এতে তাঁর সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মনে কতটা ভালো ধারণা গড়ে উঠতে পারে তা বোঝা যায়।

ভাই ও বোনেরা,

আমি আপনাদের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আরও একটি অভিজ্ঞতার কথা বলব। এটা একটা বড় স্কুল নয়। আদিবাসী অঞ্চলে কুঁড়েঘরের মতো স্কুল। সেখানে একটা আয়না আছে। শিক্ষক নিয়ম করেছে, স্কুলে এসেই প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে প্রথম ৫ সেকেন্ড সেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তারপর ক্লাসে যেতে হবে। এর ফলে, সব শিশুই আয়নায় দাঁড়াবের আগে তার চুল ও পোশাক ঠিক করে নেয়। এই একটা পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের আত্মসম্মান বেড়ে যায়।

বন্ধুগণ,

আপনারা চিন্তা করতে পারবেন না, আপনারা একটু প্রয়াস নিলে কি বড় পার্থক্য ঘটে যেতে পারে। আমি আপনাদের অনেক উদাহরণ দিতে পারি যা আমি দেখেছি এবং বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনেছি। আমি নিশ্চিত, আমাদের ঐতিহ্যে গুরুকে যে স্থান দেওয়া হয়েছে, আপনারা সেটা সেই মর্যাদা, গর্ব দিয়ে গ্রহণ করবেন এবং ঐতিহ্য বহন করবেন ও নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

নমস্কার!

 


CG/AP/DM/


(Release ID: 1927278) Visitor Counter : 289