প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

তামিল নববর্ষ উদযাপনে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী


“পুথান্ডু প্রাচীন ধারায় আধুনিকতার উৎসব”

“তামিল উৎসব এবং সেখানকার মানুষ চিরন্তন এবং আন্তর্জাতিক”

“তামিল হল বিশ্বের সর্বপ্রাচীন ভাষা, এই নিয়ে প্রত্যেক ভারতীয় গর্বিত”

“তামিল চলচ্চিত্র শিল্প বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত বরেণ্য কাজ উপহার দিয়েছে”

“তামিল সংস্কৃতির মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে যা ভারতকে জাতি হিসেবে গড়ে তুলছে”

“তামিল জনসাধারণকে নিরন্তর সেবার অনুভূতি আমার মধ্যে নতুন শক্তির জন্ম দেয়”

“কাশী তামিল সঙ্গমম-এর মধ্যে আমরা একইসঙ্গে প্রাচীনত্ব, উদ্ভাবন এবং বৈচিত্র্য উদযাপন করে থাকি”

“আমি বিশ্বাস করি তামিলরা ছাড়া কাশীর অধিবাসীদের জীবন অসম্পূর্ণ”

“আমাদের দায়িত্ব হল তামিল ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানা এবং তা দেশ ও বিশ্বকে জানানো; এই ঐতিহ্যই হল আমাদের ঐক্যের স্মারক এবং ‘রাষ্ট্রই প্রথম’ এই ভাবধারার উদ্ভাবক”

Posted On: 13 APR 2023 9:55PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৩ এপ্রিল,২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মী থিরু এল মুরুগনের বাসভবনে তামিল নববর্ষ উদযাপনে অংশ নেন।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পুতুন্ডু উদযাপনে তামিল ভাই-বোনদের মধ্যে থাকতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে পুতুন্ডু হল প্রাচীন ধারায় আধুনিকতার উৎসব। এটি এরকম এক প্রাচীন তামিল সংস্কৃতি যা প্রত্যেক বছর তা নতুন শক্তি নিয়ে দেখা দেয়। এটা এক কথায় অসাধারণ। তামিল জনসাধারণ এবং তাঁদের সংস্কৃতির অনন্যতার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তামিল সংস্কৃতির প্রতি তাঁর আবেগগত আকর্ষণ এবং সম্বন্ধের কথা উল্লেখ করেন। গুজরাটে ইতিপূর্বে তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে বসবাসকারী তামিল জনসাধারণের ভালবাসা এবং উজ্জ্বল উপস্থিতির উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী তামিল জনসাধারণের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছেন তা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

লালকেল্লার প্রাকার থেকে তিনি যে ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর কথা বলেছিলেন ‘ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব’
তার একটি। শ্রী মোদী বলেন, সংস্কৃতি যত প্রাচীন হবে ততই সেই সংস্কৃতি এবং সেই সংস্কৃতি সম্বন্ধীয় মানুষ সময় পরীক্ষিত বলে ধরে নিতে হবে। তামিল সংস্কৃতি ও সেখানকার জনসাধারণ চিরন্তন এবং আন্তর্জাতিক। চেন্নাই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, মাদুরাই থেকে মেলবোর্ন, কোয়েম্বাটোর থেকে কেপটাউন, সালেম থেকে সিঙ্গাপুর – সর্বত্রই লক্ষ্য করা যায় তামিল জনসাধারণ তাঁদের সঙ্গে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ধারাকে বয়ে নিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পোঙ্গল বা পুতুন্ডু – যাই হোক না কেন, সারা বিশ্বজুড়ে তা বন্দিত হয়। তামিল হল পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন ভাষা। প্রত্যেক ভারতীয় তা নিয়ে গর্বিত। তামিল সাহিত্যকে ব্যাপকভাবে শ্রদ্ধা করা হয়। তামিল চলচ্চিত্র শিল্প বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত বরেণ্য কাজ উপহার দিয়েছে।

স্বাধীনতা সংগ্রামে তামিল জনসাধারণের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা-উত্তর দেশের শ্রীবৃদ্ধিতে তামিল জনসাধারণের অবদানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সি রাজাগোপালাচারী, কে কামরাজ এবং ডঃ কালামের মতো প্রথিতযশা ব্যক্তিদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্র, আইন, শিক্ষাক্ষেত্র – এসব ক্ষেত্রে তামিলদের অবদান অতুলনীয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত হল বিশ্বের সর্বপ্রাচীন গণতন্ত্র এবং তার অবিসংবাদী প্রমাণ রয়ে গেছে তামিলনাড়ুর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে। উথিরামেরুর ১১০০-১২০০ বছরের পুরনো প্রাচীন শিলালিপির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে গণতান্ত্রিক চেতনা এবং তার প্রক্রিয়া প্রাচীনকাল থেকেই রয়ে গেছে। তামিল সংস্কৃতির মধ্যে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা ভারতকে রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। শ্রী মোদী কাঞ্চিপুরমের ভেঙ্কটেশা পেরুমল মন্দির এবং চতুরঙ্গ ভাল্লাভানাথার মন্দিরের উল্লেখ করে বলেন, তাদের অনবদ্য আধুনিক প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহ্যশালী প্রাচীন ধারার উল্লেখ করেন তিনি।

সমৃদ্ধ তামিল সংস্কৃতির সেবা করার সুযোগ পাওয়াকে গর্বের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘে তামিল ভাষায় উদ্ধৃতি এবং জাফনাতে ‘গৃহ প্রবেশ’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা স্মরণ করেন তিনি। শ্রী মোদীই হলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি জাফনা সফর করেন এবং তাঁর সফরের সময় ও তার পরবর্তীকালে তামিলদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক কাশী তামিল সঙ্গমম-এর সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এই অনুষ্ঠানে আমরা একইসঙ্গে প্রাচীনত্ব, উদ্ভাবন এবং বৈচিত্র্যকে উদযাপন করেছি। সঙ্গমম-এ হিন্দিভাষী এলাকায় তামিল বইকে ঘিরে যে আগ্রহ তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এই ডিজিটাল যুগেও এইভাবে তামিল বইয়ের প্রতি ভালোবাসা আমাদের সাংস্কৃতিক সংযোগকে বোঝায়। “আমি বিশ্বাস করি, কাশী অধিবাসীদের জীবন যেমন তামিলদের ছাড়া অসম্পূর্ণ, তেমনই তা তামিলদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এবং আমি নিজে কাশীবাসী হয়েছি” – বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি সুব্রহ্মিয়া ভারতীর নামে একটি নতুন চেয়ার এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের অছি পরিষদে একজন তামিল ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তামিল সাহিত্যের শক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন যে এটি যেমন ভবিষ্যৎ জ্ঞানের আধার, তেমনই অতীতের প্রজ্ঞারও এক ক্ষেত্র। প্রাচীন সঙ্গম সাহিত্যে বাজরাকে ‘শ্রী অন্ন’ বলে যে উল্লেখ করা হয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান যে বাজরার সাথে ভারতের যে হাজার বছরের প্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে তার সঙ্গে সারা বিশ্ব আজ ভারতেরই উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছে। তিনি উপস্থিত সকলকে খাবারের পাতে বাজরাকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য শপথ নিতে বলেন যে থেকে অন্যরাও উৎসাহিত হতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী তামিল কলার আঙ্গিক তরুণদের মধ্যে প্রসারের ওপর জোর দেন এবং তা বিশ্বস্তরে তুলে ধরতে বলেন। তিনি বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তা যত বেশি জনপ্রিয় হবে, আগামী প্রজন্মের কাছে তা আরও বেশি করে পৌঁছতে পারবে। ফলে, এই কলা-সংস্কৃতিতে তরুণদের শিক্ষিত করে তোলা আমাদের যৌথ দায়িত্ব বলে শ্রী মোদী জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে তামিল ঐতিহ্যকে জানা এবং তা সারা দেশ ও বিশ্বকে জানানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এই ঐতিহ্য হল আমাদের ঐক্যের সূচক এবং ‘রাষ্ট্রই প্রথম’ – এই ভাবাদর্শের উদ্ভাবক। তামিল সংস্কৃতি, সাহিত্য, ভাষা এবং তামিল ঐতিহ্যকে আমাদের ক্রমাগত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন।

 

PG/AB/DM/


(Release ID: 1916756) Visitor Counter : 258