কৃষিমন্ত্রক

কেন্দ্র বলেছে, পিএমএফবিওয়াই-এর আওতায় অপ্রতিরোধ মূলক কারনে ফসলের ক্ষতিতে বিমার টাকা দিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

Posted On: 01 DEC 2022 3:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ০১ ডিসেম্বর, ২০২২

কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রক আজ বলেছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই)-এর আওতায় অপ্রতিরোধ মূলক কারনে ফসলের ক্ষতিতে বিমার টাকা দিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শস্য বীমা প্রকল্প। আগামীদিনে এটি শীর্ষস্থানে উঠে আসবে। প্রতি বছর প্রায় ৫ কোটি কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় বীমার জন্য আবেদন করেন। বিগত ৬ বছরে এই প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা কৃষকদের মধ্যে বেড়েছে। ২০১৬ সালে এই প্রকল্প চালুর পর প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পর্কে গ্রহণযোগ্যতা প্রায় ২৮২ শতাংশ বেড়েছে।

৩১ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত বিগত ৬ বছরে কৃষকদের প্রিমিয়াম হিসেবে ২৫ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এবং ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৬২ টাকা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের বীমা হিসেবে।

মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায় কয়েকজন কৃষককে বীমার টাকা যথাযথ দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়। মন্ত্রক বিষয়টি পরীক্ষা করে এবং সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর যাচাই করেছে। তাতে যথাযথ তথ্যের অভাব রয়েছে। শ্রী পান্ডু রঙ ভাস্কর রাও নামে একজন কৃষকের বিষয়ে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে তিনি ৫৯৫ টাকা প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার পরেও একটি ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৭.৩১ টাকা ও অন্য ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩২৭ টাকা পেয়েছেন। কিন্তু তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে ঐ ব্যক্তি মোট ২০৮০.৪০ টাকা পেয়েছেন যা তার প্রদেয় প্রিমিয়ামের প্রায় ৪ গুণ। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিষয়টি মিটমাট হলে পান্ডু রঙ রাও আরও টাকা পেতে পারেন। এটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে পারভানি জেলার কয়েক জন কৃষক ৫০ হাজার টাকা করে ফসল বিমার জন্য পেয়েছেন। একজন কৃষক ৯৪ হাজার ৫৩৪ টাকা পেয়েছেন।

পারভানি জেলায় ৬.৬৬ লক্ষ কৃষকের আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১১৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। যাদের প্রাপ্য অর্থের পরিমান ১ হাজার টাকার কম তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিবেচনার পরেই বিল প্রদান করা হবে।

মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে খরিফ মরশুমে রাজ্যের ৭৯.৫৩ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল যার মধ্যে ২৮৩টি আবেদন পত্রের বীমা অঙ্কের পরিমাণ ১০০ টাকার কম। ২১ হাজার ৬০৩টি আবেদনপত্রে বীমার অঙ্ক ১ হাজার টাকার কম। এই সমস্যা সমাধানে মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের কোনো অভিন্ন পরিচয় পত্রের ভিত্তি বীমার টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

যথা সময়ে কৃষকদের অভাব-অভিযোগ মোকাবিলায় ছত্তিশগড়ে একটি হেল্পলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। মন্ত্রকের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন পিএমএফবিওয়াই-এর কার্যকারিতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

PG/PM/NS



(Release ID: 1880460) Visitor Counter : 143