প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

শ্রী গুরু নানক দেবজীর ৫৫৩তম প্রকাশ উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেন


“গুরবাণী থেকে আমরা যে নীতি-নির্দেশিকা পাই, তা আমাদের ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও উন্নত ভারত গঠনের জন্য পথ দেখায়”

“প্রতিটি প্রকাশ পরবের আলো আমাদের দেশকে দিশা দেখায়”

“গুরু নানক দেবজীর চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত হয়ে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর উন্নয়নের জন্য এগিয়ে চলেছে দেশ”

“আজাদি কা অমৃতকালে দেশ বৈভব ও আধ্যাত্মিক পরিচিতি পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে”

“কর্তব্যের প্রতি সর্বাত্মক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহ দিতে দেশ এই সময়কে কর্তব্যকাল হিসাবে পালনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে”

Posted On: 07 NOV 2022 10:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ নভেম্বর, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে শ্রী গুরু নানক দেবজীর ৫৫৩তম প্রকাশ পরব অনুষ্ঠানে যোগ দেন ও প্রার্থনা করেন। গায়ের চাদর, শিরোপা এবং তলোয়ার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র এই গুরু পরব ও প্রকাশ পরব উপলক্ষে এবং দেব দীপাবলি উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। গুরু গোবিন্দ সিংজীর ৩৫০তম প্রকাশ পরব, গুরু তেগ বাহাদুরজীর ৪০০তম প্রকাশ পরব এবং গুরু নানক দেবজীর ৫৫০তম প্রকাশ পরব উদযাপন করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই পবিত্র অনুষ্ঠান নতুন ভারতের জন্য শক্তি যোগায় ও আশীর্বাদ প্রদান করে…. প্রতিটি প্রকাশ পরবের আলো দেশকে নতুনভাবে পথ দেখায়”। প্রকাশ পরবের অর্থ বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ দেশকে কর্তব্য ও নিষ্ঠার পথ দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গুরু কৃপা, গুরবাণী এবং লঙ্গরের প্রতি তাঁর ভক্তি ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, “এটি কেবলমাত্র আমাদের অন্তরকে শান্তি দেয় তা নয়, আমাদের শাশ্বত ভাবনার সঙ্গে সেবা করার মানসিকতাকে শক্তি যোগায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুরু নানক দেবজীর চিন্তাভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ১৩০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গুরু নানক দেবজীর ধর্মীয় শিক্ষা বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি এনেছে। শ্রী মোদী বলেন, আজাদি কা অমৃতকালে দেশ হৃত আধ্যাত্মিক গৌরব পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছে। কর্তব্যনিষ্ঠ মনোভাবকে উৎসাহ দিতে দেশ এই সময়কে কর্তব্যকাল হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজাদি কা অমৃতকালের এই সময়ে সাম্য, সম্প্রীতি, সামাজিক ন্যায়, অখন্ডতা এবং ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ – এর লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেন, “গুরবাণী থেকে আমরা যে পথদিশা পাই, তা আমাদের বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও উন্নত ভারত গঠনের জন্য অনুপ্রাণিত করে।

গুরুর শিক্ষার অন্তর্নিহিত অর্থের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুরু গ্রন্থ সাহিব থেকে আমরা যে অমৃতের সন্ধান পাই, তা সময় ও ভৌগোলিক পরিস্থিতির ঊর্ধ্বে। আমরা দেখতে পাই, সমস্যা যখন জটিল হয়, তখন এর সমাধানের যৌক্তিকতাও বাড়তে থাকে। গুরু সাহিবের শিক্ষা এবং গুরু নানক দেবজীর জীবন বিশ্বকে টর্চের মতো আলো দেখায়”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গুরুদের চিন্তাভাবনা ও নীতি অনুসরণ করে যত চলব, তত আমাদের মধ্যে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর অনুভূতি জাগ্রত হবে। আমরা মানবতার মূল্যবোধ এবং এর গুরুত্ব অনুভব করব। গুরু সাহিবের শিক্ষা পৌঁছবে সকলের কাছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরু নানক দেবজীর আশীর্বাদে বিগত ৮ বছর ধরে আমরা বৃহত্তর শিখ ঐতিহ্যের পরিষেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। তিনি এ প্রসঙ্গে হেমকুন্ড সাহিব থেকে গোবিন্দ ঘাট পর্যন্ত রোপওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং তীর্থ যাত্রীদের জন্য দিল্লি – উন্না পর্যন্ত বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালুর প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, গুরু গোবিন্দ সিংজীর সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলিতে বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছে এবং দিল্লি – কাটরা অমৃতসর এক্সপ্রেস ওয়েকেও যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার এজন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের বিশ্বাস, শিখ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য এবং ভালোবাসা ও ভক্তির জন্যই এই কাজগুলি সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী করতারপুর সাহিব করিডর চালু, আফগানিস্তান থেকে গুরু গ্রন্থসাহিবের পবিত্র অংশ ফিরিয়ে আনা এবং ২৬ ডিসেম্বরকে সাহিবজাদার সর্বোচ্চ ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে বীর বাল দিবস হিসাবে পালন করার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ভাগের সময় যে হিন্দু শিখ পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদের সিএএ আইনবলে নাগরিকত্ব প্রদানও করা হচ্ছে।

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুরুর আশীর্বাদে ভারত শিখ ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটাবে এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলবে বলেই আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী”।

 

PG/PM/SB



(Release ID: 1874766) Visitor Counter : 115