প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

থাইল্যান্ডে কমিউনিটি ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের অনুবাদ

Posted On: 04 NOV 2019 2:12PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৪ নভেম্বর, ২০১৯

 

থাইল্যান্ডের মাননীয় সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী, 

থাইল্যান্ড -  ভারত সংসদীয় বন্ধু গ্রুপের সম্মানিত সদস্যগণ, 

বন্ধুরা, ওহে কেম ছো?

সৎ শ্রী আকাল, 

ভানাক্কাম, নমস্কার,

সাভাদি খুপ,

থাইল্যান্ডের এই প্রাচীন সুবর্ণ ভূমিতে আপনাদের সকলের মাঝে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এই পরিবেশ এবং পোশাক-পরিচ্ছদ সব কিছুই নিজের বলে মনে হচ্ছে। খাদ্য বা ঐতিহ্য কিংবা বিশ্বাস যাই বলি না কেন, সর্বত্রই ভারতীয়দের নিজেদের উপস্থিতি অনুভুত হচ্ছে। বন্ধুগণ, সারা বিশ্ব সদ্য দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেছে। ভারতের পূর্বাঞ্চল থেকে বৃহৎ সংখ্যক মানুষ থাইল্যান্ডে এসেছেন। বর্তমানে সারা ভারতে সূর্যদেবের উৎসব ও ছট মায়ের পুজো চিরাচরিত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। আমি আপনাদের সকলকে ছট উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুগণ,

এটি আমার প্রথম থাইল্যান্ড সফর। তিন বছর আগে থাইল্যান্ডের রাজার মৃত্যুতে ভারতের তরফে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছিলাম। আজ আমার বন্ধু থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান ও চা’র আমন্ত্রণে আমি থাইল্যান্ডে এসেছি। ভারত – আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। রাজ পরিবারের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা। 

বন্ধুগণ,

থাইল্যান্ডের রাজ পরিবারের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। রাজকুমারী মহাচক্রীকে ভারত পদ্মভূষণ ও সংস্কৃত পুরস্কারে ভূষিত করেছে। 

বন্ধুগণ,

ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রধান কারণ হ’ল – পারস্পরিক বিশ্বাস ও একই ধরনের জীবনযাত্রা। আমাদের এই সম্পর্কের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই জম্মুদ্বীপের সঙ্গে ভারতের নাম জড়িয়ে রয়েছে। ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সমুদ্রপথে যুক্ত ছিল। সামুদ্রিক বাণিজ্য এই পথ দিয়েই হ’ত। 

ভাই ও বোনেরা,

আমি প্রায়শই ভগবান শ্রীরামের মূল্যবোধ ও ভগবান বুদ্ধের সহমর্মিতার কথা বলে থাকি। এটি আমাদের ঐতিহ্যের মূল বিষয়। 

বন্ধুগণ,

আমরা কেবল ভাষাগত দিক থেকেই একে-অপরের ঘনিষ্ঠ, তা নয়। আমাদের আবেগও এক। বিশ্বাস ও আস্থার উপর নির্ভর করেই আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

বন্ধুগণ,

বিগত ৫ বছরে আমার বিশ্বের বহু দেশে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। সর্বত্রই আমি ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজও বিপুল সংখ্যায় আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন, ভারত আপনাদের অন্তরে রয়েছে। এই অনুভূতি আমাকে গর্বিত করে। ভারতীয়দের কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও কর্তব্য নিষ্ঠার প্রশংসা করেন বিশ্ব নেতৃত্ব। আমি এতে গর্ববোধ করি। 

বন্ধুগণ,

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয়রা যেভাবে দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, আমি তাতে আনন্দিত। আজ আমি আপনাদের বলতে চাই যে, ১৩০ কোটি ভারতবাসী বর্তমানে নতুন ভারত গড়ার কাজে যুক্ত রয়েছেন। আপনারা যখন পরবর্তীকালে দেশে যাবেন, তখন এই পরিবর্তন দেখতে পাবেন। 

বন্ধুগণ,

ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ। গণতন্ত্রের যথাযথ উদযাপন হয় এখানে। এ বছর সাধারণ নির্বাচনে ৬০০ মিলিয়ন ভোটদাতা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা এ যাবৎকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন যে, এ বছর মহিলা ভোটদাতার সংখ্যাও বেড়েছে অনেক।

আমার ভাই ও বোনেরা,

ভারতে দীর্ঘ ৬০ বছর পর বর্তমান সরকার তাদের ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার পর পুনরায় বিপুল সংখ্যায় ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এসেছে। গত ৫ বছরের সাফল্য এবং দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার বৃদ্ধি পাওয়াতেই এই জয় সম্ভব হয়েছে। আপনারা যেভাবে উঠে দাঁড়িয়ে ভারতের সংসদকে অভিবাদন জানিয়েছেন, আমি তাতে আপ্লুত। আপনারা অনুগ্রহ করে আসন গ্রহণ করুন। ধন্যবাদ। 

বন্ধুগণ,

সম্প্রতি গান্ধীজীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ভারত নিজেকে খোলা জায়গায় শৌচমুক্ত ঘোষণা করেছে। বর্তমানে দেশে দরিদ্রতম মানুষের রান্নাঘর এখন ধোঁয়ামুক্ত। আমরা তিন বছরেরও কম সময়ে ৮ কোটিরও বেশি বাড়িতে এলপিজি সংযোগ দিয়েছি। 

বন্ধুগণ,

বর্তমান সরকার প্রত্যেক ভারতীয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। দেওয়া হচ্ছে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ। আজ গুরু নানক দেবজীর ৫৫০তম প্রকাশ উৎসব উপলক্ষে স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করা হয়েছে। গুরু নানক দেবজী কেবলমাত্র ভারতেরই নন, গোটা বিশ্বেও তাঁর চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে পড়েছে। আপনারা হয়তো জানেন, আর কয়েকদিন পর করতারপুর সাহিবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।

বন্ধুগণ,

প্রাচীনকাল থেকে বস্ত্র ছিল ভারত ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে যোগাযোগও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। 

বন্ধুগণ,

আমি উল্লেখ করেছি যে, আসিয়ান – ভারত সম্মেলনে অংশ নিতে আমি এখানে এসেছি। এই বিষয়ে আমি আপনাদের জানাতে চাই যে, বর্তমান সরকারের বিদেশ নীতিতে ‘পুবে কাজ করো’ বিষয়টি বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে। 

ভাই ও বোনেরা,

আপনাদের সকলের মাঝে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। থাইল্যান্ডের অর্থনীতি মজবুত করতে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি, থাইল্যান্ড – ভারত বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করতেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গত ৫ বছর ধরে সরকার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আমাদের দূতাবাসগুলি এখন অনেক বেশি সক্রিয়। ভবিষ্যতেও আমাদের নিজেদের স্থান আরও মজবুত করতে হবে। আপনারা প্রত্যেকেই দেশ মাতৃকার সেবায় এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশাবাদী। আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য আপনারা এখানে আসায় আমি আনন্দিত। 

অনেক অনেক অভিনন্দন।

ধন্যবাদ!

খুপ খুন খাপ!!!


প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল

 

PG/PM/SB



(Release ID: 1868206) Visitor Counter : 79