প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী ১-২ সেপ্টেম্বর কেরালা ও কর্ণাটক সফর করবেন

প্রধানমন্ত্রী দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার নতুন নজির সৃষ্টি হবে, ভারতের বৃহৎ শিল্প সংস্থা এবং ১০০টির বেশি অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলি বিক্রান্ত-এর নির্মাণে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে

ভারতের সমুদ্রযাত্রার ইতিহাসে দেশে তৈরি বৃহত্তম এই জাহাজে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা থাকছে

ঔপনিবেশিক অতীত থেকে বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী নৌ-বাহিনীর জন্য নতুন পতাকা প্রকাশ করবেন

প্রধানমন্ত্রী কালাড়ি গ্রামে শ্রী আদি শঙ্করা জন্মভূমি ক্ষেত্রম দর্শন করবেন

প্রধানমন্ত্রী ম্যাঙ্গালুরু-তে প্রায় ৩,৮০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন

Posted On: 30 AUG 2022 11:12AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ আগস্ট ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১ ও ২ সেপ্টেম্বর কর্ণাটক ও কেরালা সফর করবেন। পয়লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী কোচিন বিমানবন্দরের কাছে কালাড়ি গ্রামে আদি শঙ্করাচার্য-এর পূণ্য জন্মভূমি শ্রী আদি শঙ্করা জন্মভূমি ক্ষেত্রম দর্শন করবেন। দোসরা সেপ্টেম্বর সকাল ৯-৩০ মিনিটে শ্রী মোদী কোচিতে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড-এ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এরপর বেলা ১-৩০ মিনিটে তিনি ম্যাঙ্গালুরু-তে প্রায় ৩,৮০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।

কোচিতে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী দেশের আত্মনির্ভরতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। কৌশলগত ক্ষেত্রকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তাঁর এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’কে নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো এই রণতরীর নকশা তৈরি করেছে। এটি বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মাণ করেছে। ভারতের সমুদ্রযাত্রার ইতিহাসে দেশে তৈরি বৃহত্তম এই জাহাজে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা থাকছে।

দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী এই রণতরীটির নামকরণ ভারতের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নাম অনুসারে করা হয়েছে। ১৯৭১-এর যুদ্ধে ‘বিক্রান্ত’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ভারতের বৃহৎ শিল্প সংস্থা এবং ১০০টির বেশি অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলি বিক্রান্ত-এর নির্মাণে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। নৌ-বাহিনীতে ‘বিক্রান্ত’-এর অন্তর্ভুক্তির ফলে ভারতের দুটি বিমানবাহী রণতরী আগামীদিনে সমুদ্রপথে টহল দেওয়ার কাজ করবে। এর ফলে দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।

এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নৌ-বাহিনীর নতুন পতাকা প্রকাশ করবেন। এই পতাকায় ভারতের ঐতিহ্যশালী সামুদ্রিক কর্মতৎপরতার প্রতিফলন থাকবে এবং ঔপনিবেশিক অতীত থেকে দেশ বেরিয়ে আসবে।

ম্যাঙ্গালুরুতে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ম্যাঙ্গালুরুতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।

শ্রী মোদী ১৪ নম্বর বার্থের স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য পরিবহণের জন্য ২৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। নিউ ম্যাঙ্গালোর পোর্ট অথরিটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এই টার্মিনালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য পরিবহণের ফলে বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, জাহাজগুলির পণ্য ওঠা-নামার কাজে ৩৫ শতাংশ কম সময় লাগবে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। এর ফলে, বন্দরে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৪.২ মিলিয়ন টন পণ্য ওঠা-নামা করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পণ্য ওঠা-নামার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে হবে বার্ষিক ৬ মিলিয়ন টন।

প্রধানমন্ত্রী বন্দরের ৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এগুলি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। সুসংহত এলপিজি এবং বিপুল পরিমাণ পিওএল ওঠা-নামার জন্য অত্যাধুনিক ক্রায়োজেনিক এলপিজি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। এর ফলে, দক্ষতার সঙ্গে ৪৫ হাজার টন বৃহদাকারের গ্যাস বহনকারী কন্টেনার পরিবহণ সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সুফল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সহজেই পৌঁছবে এবং ম্যাঙ্গালোর বন্দর দেশের বৃহত্তম এলপিজি আমদানীকারক বন্দর হয়ে উঠবে। শ্রী মোদী ভোজ্য তেল শোধনাগার এবং মজুত রাখার ট্যাঙ্ক নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এর ফলে, বিটুমিন এবং ভোজ্য তেল মজুত রাখার পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ভোজ্য তেল ও বিটুমিন ওঠা-নামার কাজে কম সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী কুলাইতে মৎস্য বন্দর উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এর ফলে, নিরাপদে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পারবেন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দাম পাবেন। এই উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজটি সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন হবে। প্রকল্প রূপায়ণের পর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা আর্থ-সামাজিকভাবে উপকৃত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোক্যামিকেলস্‌ লিমিটেডের দুটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে বিএস-সিক্স মানোন্নয়ন প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের ফলে শোধনাগার থেকে পরিবেশ-বান্ধব বিএস-সিক্স মানের জ্বালানী উৎপাদিত হবে, যার মধ্যে ১০ পিপিএম-এরও কম সালফার থাকবে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হ’ল - সমুদ্রের জলকে লবণমুক্ত করার একটি প্ল্যান্ট। ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্ল্যান্ট অন্য জায়গা থেকে মিষ্টি জল সরবরাহের উপর নির্ভরশীলতা কমাবে। এর ফলে, সারা বছর ধরে হাইড্রোকার্বন এবং পেট্রোকেমিকেলস্‌ – এর নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত হবে। প্ল্যান্টটি থেকে প্রতিদিন ৩০ কোটি লিটার সমুদ্রের জলকে লবণমুক্ত করার ফলে শোধনাগারের জলের চাহিদা মিটবে।

PG/CB/DM/SB…


(Release ID: 1855489) Visitor Counter : 157