প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

দেশের স্বাধীনতা অগণিত সাধারণ মানুষের নিরন্তর সংগ্রাম ও আত্মোৎসর্গের ফসল


মুম্বাইয়ের রাজভবনে জল ভূষণ ভবন এবং বিপ্লবী স্মারক সংগ্রহশালার উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

Posted On: 14 JUN 2022 8:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৪ জুন, ২০২২

 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনাকালে আমরা জ্ঞানত কিংবা অজ্ঞতাবশতই হয়তো দেশের স্বাধীনতাকে কয়েকটি মাত্র ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে আগ্রহী। কিন্তু একথা বিস্মৃত হলে চলবে না যে অগণিত সাধারণ মানুষের নিরন্তর সংগ্রাম ও আত্মোৎসর্গের মধ্য দিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্থানীয় তথা আঞ্চলিক পর্যায়ের বিভিন্ন ঘটনা ক্রমে ভারতের জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। সংগ্রাম ও আন্দোলনের পথ হয়তো ছিল ভিন্ন, কিন্তু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল এক ও অভিন্ন।

মুম্বাইয়ের রাজভবনে ‘জল ভূষণ ভবন’ এবং ‘বিপ্লবী স্মারক সংগ্রহশালা’ উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন একদিকে যেমন অঞ্চল পর্যায়ে দানা বেঁধে উঠেছিল, ঠিক তেমনই তার প্রভাব পড়েছিল সমগ্র বিশ্বেই। লন্ডনে শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার ‘ইন্ডিয়া হাউজ’ তখন গড়ে উঠেছিল লন্ডন নিবাসী ভারতীয়দের একটি সংগঠন হিসেবে। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ভারতের জন্য স্বাধীনতা অর্জন। নেতাজীর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ সরকারের লক্ষ্য ছিল ভারতীয়দের স্বার্থ রক্ষা। কিন্তু এর ব্যাপ্তি ছিল বিশ্বজনীন। এই কারণেই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অন্যান্য বহু দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপ নিয়েছিল। ‘অঞ্চল থেকে বিশ্ব’ – এই ভাবনাই রয়েছে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ কর্মসূচির নেপথ্যে। আমার স্থির বিশ্বাস যে এখানে ভারতীয় বিপ্লবীদের স্মারক সংগ্রহশালা যাঁরা পরিদর্শন করবেন তাঁরা নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হবেন জাতীয় সঙ্কল্পের বাস্তবায়নে, কারণ তাঁরা নিজেরা অনুভব করবেন যে দেশ গঠনে তাঁদেরও অনেক কিছু করার রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃতকাল’-এ আমাদের প্রতিটি কাজ যাতে জাতীয় সঙ্কল্পকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবেই ভারত এগিয়ে যাবে দ্রুত উন্নয়নের পথে। সমগ্র জাতির বিকাশে ‘সবকা প্রয়াস’-এর ওপর আমি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেব কারণ পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়েই একটি জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

শ্রী মোদী বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ সৎসঙ্গ-এর নীতিতে বিশ্বাস করতেন। লন্ডনে ইন্ডিয়া হাউজ জাতীয় ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই একটি পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল। শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার এক্ষেত্রে অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। বিপ্লবী স্মারক সংগ্রহশালা দর্শনের পর দেশের তরুণ প্রজন্ম দেশ গঠনের কাজে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

PG/SKD/DM/



(Release ID: 1835543) Visitor Counter : 401