প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো সম্পর্কিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষের চাহিদা পূরণে পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামো গড়ে তুলে তাঁদের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ

পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত যে কোনও অগ্রগতির কাহিনীর মূল কেন্দ্রেই থাকবেন সাধারণ মানুষ; ভারতে আমরা ঠিক এই কাজই করছি

আমরা যদি পরিকাঠামোকে পরিস্থিতি মোকাবিলার উপযুক্ত করে তুলতে পারি, তা হলে কেবল নিজেদের জন্যই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থেও বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে পারবো

Posted On: 04 MAY 2022 10:28AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৪ মে, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও’র মাধ্যমে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো সম্পর্কিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিঃ স্কট মরিসন, ঘানার রাষ্ট্রপতি মিঃ নানা আড্ডো দানকোয়া অকুফো-আড্ডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ ফুমিও কিশিদা এবং মাদাগাস্কারের রাষ্ট্রপতি মিঃ আদ্রি নিরিনা রাজোয়েলিনা-ও ভাষণ দেন।
 
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই লক্ষ্য পূরণে আমরা যেন কোনও দেশকেই পিছনে ফেলে না রাখি। তিনি আরও বলেন, আমরা দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষের চাহিদা পূরণে পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামো গড়ে তুলে তাঁদের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। পরিকাঠামোর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, সামঞ্জস্য বজায় রেখে তাঁদের গুণমানবিশিষ্ট, নির্ভরযোগ্য এবং নিরন্তর পরিষেবা দিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত যে কোনও অগ্রগতির কাহিনীর মূল কেন্দ্রেই থাকবেন সাধারণ মানুষ। ভারতে আমরা ঠিক এই কাজই করছি। 
 
ভারতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, স্বচ্ছতা, বিদ্যুৎ, পরিবহণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মৌলিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ-সুবিধা যেমন একদিকে বাড়াচ্ছি, অন্যদিকে তেমনই আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি মোকাবিলা করছি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কপ-২৬ সম্মেলনে আমরা যে অঙ্গীকার করেছি, তার সঙ্গেই আমাদের উন্নয়নমূলক প্রয়াসও অব্যাহত রয়েছে। 
 
মানব সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহারে পরিকাঠামোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে যে আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান রয়েছে, তার ভিত্তিতে আমরা কি এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারি না, যা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলিকে বিবেচনায় রেখেই বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোট (সিডিআরআই) গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, এই জোটের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কপ-২৬ সম্মেলনে বিপর্যয় প্রবণ দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে যে উদ্যোগের সূচনা হয়েছে, সেকথাও তিনি উল্লেখ করেন। বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোট সারা বিশ্বে বিপর্যয়-প্রবণ ১৫০টি বিমানবন্দরকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলেও তিনি জানান। শ্রী মোদী বলেন, সারা বিশ্বে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো ব্যবস্থার মূল্যায়নে সিডিআরআই নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, সিডিআরআই – এর এই প্রয়াস এমন এক জ্ঞান ভান্ডার গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, যা অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যতকে বিপর্যয় প্রতিরোধী করে তুলতে আমাদের একযোগে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো ক্ষেত্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তাই, আমাদের বিভিন্ন প্রয়াসে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, আমরা যদি পরিকাঠামোকে পরিস্থিতি মোকাবিলার উপযুক্ত করে তুলতে পারি, তা হলে কেবল নিজেদের জন্যই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থেও বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে পারবো।  
 
 
CG/BD/SB


(Release ID: 1822585) Visitor Counter : 127