প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

পঞ্চায়েতী রাজ দিবস উপলক্ষ্যে গ্রাম সভাগুলির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 24 APR 2022 6:28PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী,  ২৪  এপ্রিল, ২০২২

 

ভারত মাতা কি জয় ! 

ভারত মাতা কি জয় ! 

জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহাজি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী গিরিরাজ সিংজি, এই এলাকার ভূমিপুত্র এবং আমার সহকর্মী ডাঃ জীতেন্দ্র সিংজি, শ্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিলজি, সংসদে আমার সহকর্মী শ্রী যুগল কিশোরজি, জম্মু-কাশ্মীর সহ সারা দেশে পঞ্চায়েতী রাজের সঙ্গে যুক্ত সকল জনপ্রতিনিধি, ভাই ও বোনেরা!  

জম্মুর সকল বাসিন্দা, বোন ও ভাইকে আমার প্রনাম, দেশের প্রত্যেককে জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানাই।  

জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের পালে গতি আনতে আজকের দিনটি  গুরুত্বপূর্ণ । আমার চোখের সামনে আমি এক মহা সমুদ্র দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবত ভারতের জনসাধারণ অনেক দশক পর জম্মু-কাশ্মীরের এই রাজকীয় বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছেন। আপনাদের ভালোবাসা, উৎসাহ এবং উন্নয়ন ও প্রগতির জন্য সংকল্পের কারণে আমি জম্মু-কাশ্মীরের ভাই ও বোনেদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

এই অঞ্চল আমার কাছে নতুন নয় আর আমিও আপনাদের কাছে নতুন নই। বহু বছর ধরে এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি জায়গার সঙ্গে আমি পরিচিত। আজ আমার খুব ভালো লাগছে যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের  উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের মতো ছোট অঞ্চলে এটি একটি বিরাট পরিমাণ অর্থ। জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে গতি আনতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রচুর তরুণ-তরুণীর এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।   

বন্ধুগণ,

আজ অনেক পরিবার গ্রামে তাদের বাড়ির জন্য সম্পত্তি কার্ড পেয়েছেন। গ্রামাঞ্চলের এই স্বামীত্ব কার্ড নতুন নতুন সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে উৎসাহ যোগাবে। আজ ১০০টি জনৌষধী কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীরের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য সস্তায় ও স্বল্পমূল্যে ওষুধ এবং সার্জিক্যাল নানা জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। ২০৭০ সালের মধ্যে দেশকে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সেই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী। দেশের মধ্যে প্রথম কার্বন নিঃসরণ মুক্ত পঞ্চায়েত হিসেবে পল্লী পঞ্চায়েত বিশেষ সম্মান অর্জন করলো।

সারা বিশ্বের বড় বড় নেতারা গ্লাসগোতে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে পৃথিবীকে  কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করার জন্য অনেক বক্তৃতা হয়েছে, নানা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রথম যে পঞ্চায়েত কার্বন নিঃসরণ মুক্ত পঞ্চায়েতের মর্যাদা পেতে চলেছে সেটি জম্মু-কাশ্মীরের  ছোট্ট গ্রাম পঞ্চায়েত পল্লী পঞ্চায়েত।  আজ এই পঞ্চায়েত সেই লক্ষ্য পূরণ করলো। সারা দেশের গ্রামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ আমি পেয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের এই বিশাল সাফল্য ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য প্রত্যেককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।  

এই মঞ্চে ওঠার আগে আমি পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। আমি তাঁদের চোখে স্বপ্ন দেখেছি, সংকল্প দেখেছি এবং মহৎ উদ্দেশ্য অনুভব করেছি। আমি আজ অত্যন্ত গর্বিত যে জম্মু-কাশ্মীরের পল্লী গ্রামের মানুষ সবকা প্রয়াস কি সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন  যা আমি দিল্লীর লালকেল্লার প্রাকার থেকে ঘোষণা করেছিলাম। এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রামপ্রধান আমাকে জানালেন,  যখন এখানে এই অনুষ্ঠানটি করার পরিকল্পনা হয়েছিল তখন সরকারি আধিকারিক, ঠিকাদার এবং নির্মাণকর্মীরা নিয়মিত আসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখানে কোনো ধাবা বা লঙ্গর নেই। তাহলে যাঁরা এখানে আসছেন তাঁরা খাবার পাবেন কি করে? তাই তাঁরা প্রত্যেক বাড়ি থেকে ২০-৩০টি রুটি সংগ্রহ করতেন এবং গত ১০ দিন ধরে এখানে যাঁরা এসেছেন তাঁদের সবাইকে গ্রামবাসীরা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। এর মাধ্যমেই আপনারা সবকা প্রয়াস অর্থাৎ সকলের প্রয়াসের মূল ভাবনা উপলব্ধি করবেন। আমি এই গ্রামের সকলকে প্রণাম জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

এ বছরের পঞ্চায়েতী রাজ দিবস জম্মু-কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এখানকার বিপুল পরিবর্তন প্রতিফলিত। আমি দেশের সর্বত্র পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে এখান থেকে কথা বলছি যা আসলে দারুন গর্বের বিষয়। এই অঞ্চলে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত গণতন্ত্র পৌঁছেছে। যখন ভারতে পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ চলছে তখন এর প্রচার চালানো হয়েছে। প্রত্যেকে এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। আর সেটা হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা একটা জিনিস ভুলে গেছি, যদিও আমরা বলি ভারতে পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থাপনা কার্যকর হয়েছে কিন্তু দেশবাসীর জানা উচিত যে এই ধরণের সুন্দর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ এই ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আপনাদের দিল্লীকে কাজের সুযোগ দিয়েছেন এবং পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা যাতে জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে বাস্তবায়িত হয় তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের গ্রামগুলিতে ৩০ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন এবং তারা কাজ করছেন। এটিই গণতন্ত্রের শক্তি। প্রথমবারের মতো ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। আর গ্রামের মানুষরাই গ্রামের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নির্ধারণ করছেন।  

বন্ধুগণ,

আজ জম্মু-কাশ্মীর গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের সংকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সারা দেশের কাছে নতুন উদাহরণ হয়ে উঠেছে। গত ২-৩ বছরে এখানে উন্নয়ন নতুন মাত্রা পেয়েছে। ১৭৫টি কেন্দ্রীয় আইনের সুযোগ আগে এখানকার মানুষ পেতেন না। আমরা জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যেক নাগরিককে ক্ষমতাশালী করে তোলার জন্য ওই আইনগুলিকে কার্যকর করেছি এবং আজ আপনারা শক্তিশালী। নতুন উদ্যোগগুলিতে  বোন, মেয়ে, দরিদ্র মানুষ, দলিত ও নির্যাতিতরা এবং সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষরা সবথেকে বেশি উপকৃত হয়েছেন।  

আজ আমি অত্যন্ত গর্বিত যে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে জম্মু-কাশ্মীরে আমার বাল্মীকি সমাজের ভাই-বোনেরা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের মতোই সমান আইনী অধিকার পাচ্ছেন। বাল্মীকি সমাজের পায়ে যে শৃঙ্খল দিয়ে রাখা হয়েছিল তা ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়েছে। আজ সাত দশক পরে বাল্মীকি সমাজের মানুষরা সদস্যরা প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছেন। আজ প্রতিটি সমাজের বোন এবং ভাইরা তাদের স্বপ্নপূরণ করতে সফল হচ্ছেন।   

যাঁরা বহু বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সংরক্ষণের সুবিধা পাননি, আজ তাঁরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন। আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এঁরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন। কিন্তু আজ বাবা সাহেবের আত্মা আমাদের সকলের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করছেন কারণ মোদী সরকার তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এখানে দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার সুফল জম্মু-কাশ্মীরের গ্রামগুলিতে সরাসরি পৌঁছাচ্ছে। রান্নার গ্যাসের সংযোগ, বিদ্যুতের সংযোগ, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় শৌচাগার নির্মাণের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হয়েছেন।    

আজাদি কা অমৃতকালে নতুন জম্মু-কাশ্মীর উন্নয়নের নতুন গল্প লিখবে। অর্থাৎ আগামী ২৫ বছর তারা উন্নয়নের নতুন ভাবনার কথা জানাবে। সংযুক্ত আরব আমিশাহীর এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার মতবিনিময় করার সুযোগ হয়েছিল। তারা জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। একবার ভেবে দেখুন স্বাধীনতার সাত দশকে এখানে একটিমাত্র বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ১৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু গত দু-বছরে এই সংখ্যা ৩৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বেসরকারী সংস্থাগুলি এখানে ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

বন্ধুগণ,

আজ কেন্দ্র থেকে যে অর্থ পাঠানো হয় তার প্রতিটি পয়সা যথাযথভাবে খরচ করা হয়। শিল্পপতিরাও এখানে খোলা মনে বিনিয়োগ করতে আসছেন। মনোজ সিনহাজি আমাকে জানালেন তিন বছর আগে লে লাদাখ সহ সব জেলায় মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও এটি একটি ছোট অঞ্চল, এখানে জনসংখ্যা কম কিন্তু গত দু-বছরে এখানে উন্নয়নের হার বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার বাজেটে ২২ হাজার কোটি টাকা পঞ্চায়েতগুলিকে সরাসরি দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থ দিয়ে জেলার উন্নয়ন করা হবে। একটা সময় বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজের জন্য মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হতো  । আজ সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকায়। তাহলে আপনারা ভাবুন আজ কতো কাজ হচ্ছে।  

আজ আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যখন রাতলে বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং খেয়র বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তখন জম্মু-কাশ্মীর প্রচুর পরিমাণে যে বিদ্যুৎ পাবে তাইই নয়, এখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। এরফলে জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি  নতুন এক  উচ্চতায় পৌঁছাবে। আপনারা এই  বিষয়গুলি একটু বিবেচনা করুন। আগে দিল্লী থেকে সরকারি ফাইল আসতে সময় লাগতো ২-৩ সপ্তাহ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ এখানে যে ৫০০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে তা মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে রূপায়িত হলো। ‘পল্লী’ গ্রামে প্রত্যেক বাড়িয়ে এখন সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। ‘গ্রাম ঊর্জা স্বরাজ’-এর আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছে এই গ্রাম। জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতি এই অঞ্চলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ,

আমি জম্মু-কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে কিছু বলতে চাই। বন্ধুরা, আপনারা দেখবেন কাশ্মীর উপত্যকার যুবক-যুবতীরা তাদের বাবা-মা বা দাদু-দিদাদের মতো আর সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। আপনারা তা একদিন উপলব্ধি করবেন, সেই আশ্বাস আমি আপনাদের দিচ্ছি। গত ৮ বছরে আমাদের সরকার প্রতিদিন এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত মন্ত্রে কাজ করে চলেছে। যখন আমি এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের কথা বলছি তখন আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, ভাষার সঙ্গে যোগাযোগ, সম্পদের ব্যবহার এগুলির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আজ আমরা সেতুবন্ধকে সবথেকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ডোগরা ভাষার পল্লীগীতিতে যেমন বলা আছে ‘মিট্টি এ ডোগরে দো বোলে তে খন্ড মিট্টি লোক ডোগরে’। এই ধরণের মিষ্টি ভাবনা দেশের ঐক্যের শক্তি যোগায় এবং মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমায়।

ভাই ও বোনেরা,   

আমাদের সরকারের উদ্যোগে এখন জম্মু ও শ্রীনগরের মধ্যে যাতায়াতের সময় ২ ঘণ্টা কমে গেছে। বানিহাল কাজিকুন্দ সুড়ঙ্গ ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। উধমপুর-শ্রীনগর-বারমুলার মধ্যে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় আর্চ ব্রিজ দেশ পেতে চলেছে। দিল্লীর থেকে পবিত্র মা বৈষ্ণদেবীর কাছে পৌঁছানের সময় দিল্লী-অমৃতসর-কাটরা মহাসড়কের জন্য কমে যাবে। সেদিন আর বেশি দেরি নেই যখন একটি রাস্তার মাধ্যমে কন্যাকুমারী বৈষ্ণদেবীর সঙ্গে যুক্ত হবে। জম্মু-কাশ্মীরই হোক বা লে লাদাখ- এই এলাকার প্রতিটি অঞ্চলে যাতে সারা বছর ধরে চলাচল করা যায় সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নকে আমাদের সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এবারের বাজেটে ভারতের সীমান্ত অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির জন্য ভাইব্রেন্ট ভিলেজ স্কিম অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি, অর্থাৎ যেগুলি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রয়েছে তারা এই সুবিধা পাবে। এই প্রকল্পে পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর উপকৃত হবে।  

বন্ধুগণ,

আজ জম্মু-কাশ্মীর সবকা সাথ সবকা বিকাশের একটি সুন্দর উদাহরণ তৈরি করেছে। এখানে অত্যাধুনিক হাসপাতাল, উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। এই অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের কথা ভেবেই এগুলি তৈরি করা হয়েছে। উন্নয়ন ও আস্থার পরিবেশের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে আবারও পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটছে। আমি শুনলাম আগামী জুন জুলাই পর্যন্ত এখানের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলির হোটেল নাকি বুক হয়ে গেছে। বুকিং পাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যটকরা গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে উপত্যকায় আসছেন তা আগে কখনও হয়নি।

বন্ধুগণ,

ভারতের জন্য ‘আজাদি কা অমৃতকাল স্বর্ণযুগ হতে চলেছে। এখানে প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে। এই সময়কালে আপনাদের ভূমিকা হলো তৃণমূল স্তরের যে গণতন্ত্র অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত তার মাধ্যমে যথাযথভাবে কাজ করা। পঞ্চায়েতের ভূমিকা উপলব্ধি করে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে অমৃত সরোবর অভিযান শুরু হয়েছে। ২০২৩-এর ১৫ই আগস্টের মধ্যে আমরা প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর তৈরি করবো।

আমরা সরোবরের ধারে নিম, পিপুল, বট এবং অন্যান্য গাছের চারা লাগাবো। ওই এলাকার শহীদদের নামে গাছগুলির নামকরণ করবো। অমৃত সরোবরের শিলান্যাস যাতে শহীদ পরিবারের কেউ করেন অথবা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের কারুর মাধ্যমে হয় সেটিকে নিশ্চিত করতে হবে। আসুন আমরা অমৃত সরোবর অভিযানকে গৌরবজ্জ্বল করে তুলি।

ভাই ও বোনেরা,

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পঞ্চায়েতকে স্বচ্ছভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও ক্ষমতাশালী করে তোলা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনার আর্থিক লেনদেন ই-গ্রাম স্বরাজ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এখন কোনো পঞ্চায়েতে কি কাজ হচ্ছে, কতটা কাজ হয়েছে এবং পঞ্চায়েতের বাজেট সম্পর্কে সব তথ্য গ্রামের সুবিধাভোগীরা তাদের মোবাইলে দেখতে পাবেন। অনলাইনে পঞ্চায়েতগুলির তহবিলের হিসাব-নিকাশ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগরিক সনদ অভিযানের মাধ্যমে  জন্ম শংসাপত্র, বিবাহ শংসাপত্র সহ বিভিন্ন কাজ যেমন সম্পত্তি সংক্রান্ত বিধিবদ্ধকরণ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেই করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। স্বামীত্ব প্রকল্পের আওতায় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির পক্ষে সম্পত্তি কর মূল্যায়ণ করা সহজ হয়েছে। অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। দিন কয়েক আগে পঞ্চায়েতগুলিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি নতুন নীতি অনুমোদিত হয়েছে। এপ্রিলের ১১ থেকে ১৭ পর্যন্ত পঞ্চায়েতের পুনর্গঠনের জন্য বিশেষ সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামের মানুষ যাতে তাদের মূল সুবিধাগুলি পান সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষা, প্রত্যেক মানুষের জন্য স্বাস্থ্য, গ্রামের প্রত্যেক পরিবারের কাছে  স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মতো সর্বস্তরের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। গ্রামোন্নয়নের প্রতিটি প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নে পঞ্চায়েতগুলি যাতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এইভাবে পঞ্চায়েতগুলি জাতীয় স্তরে লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।  

বন্ধুগণ,

পঞ্চায়েতগুলিকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার অর্থ গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নে গতি নিয়ে আসা। পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থায় আমাদের বোনেরা যাতে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটির ওপর বর্তমান সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। কোভিড সময়কালে ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে সারা বিশ্ব শিক্ষা নিয়েছে। ভারতের বোন ও মেয়েরা এই সময়কালে যা করেছেন তা অভূতপূর্ব। আমাদের মেয়েরা, আমাদের মায়েরা এবং বোনেরা ছোট্ট ছোট্ট জিনিসের মধ্য দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটিকে শক্তিশালী করে তুলেছেন। আশা, অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীরা সকলে টিকা নিয়েছেন কি না সে বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর করেছেন।  

গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ মহিলাদের মাধ্যমে হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। হর ঘর জল অভিযানে মহিলারা যাতে অংশগ্রহণ করেন পঞ্চায়েতগুলিকে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমি শুনলাম এ পর্যন্ত দেশে ৩ লক্ষ জল কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটিগুলিতে ৫০ শতাংশ মহিলা রাখা বাধ্যতামূলক। প্রতিটি কমিটিতে সমাজের পিছিয়ে পরা অংশের সদস্য থাকতে হবে ২৫ শতাংশ। এখন নলের মাধ্যমে জল গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে কিন্তু একইসঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে ওই জল সরবরাহ যেন ব্যাহত না হয় এবং বিশুদ্ধ জল যাতে সকলে পান। এর জন্য মহিলাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমি চাইবো এই কাজে আরও গতি আসুক। এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭ লক্ষের বেশি বোন এবং মেয়েরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। কিন্তু আমি চাইবো আরও বেশি করে মহিলারা এতে অংশগ্রহণ করুন। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাছে আমার অনুরোধ, যেখানে এখনও এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়নি সেইসব জায়গায় দ্রুত এই ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিন।  

আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন একটি জিনিস আমি উপলব্ধি করেছি। গুজরাটের মহিলাদের কাছে জল সংক্রান্ত কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলে তাঁরা সেই কাজ দারুণভাবে রূপায়িত করেন। আসলে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা জল কষ্টের বিষয়টি খুব ভালোভাবে বোঝেন। তাই তাঁরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে জল ব্যবস্থাপনার কাজগুলি করেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমি চাই আমার দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে জল সংক্রান্ত কাজ মেয়েরা করুন। যতো বেশি মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যতো বেশি মহিলাদের ওপর ভরসা করা হবে সেইসব কাজ দ্রুততার সঙ্গে ভালোভাবে শেষ হবে। আপনারা আমার কথাকে বিশ্বাস করুন। আমাদের মা ও বোনেদের ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখুন। গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি স্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উৎসাহ দিতে হবে।   

ভাই ও বোনেরা,

ভারতের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির স্থানীয় স্তরে তহবিল ও রাজস্বের প্রয়োজন। আপনারা দেখুন পঞ্চায়েতগুলি তাদের সম্পদকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে পারে কিনা। “বর্জ্যের থেকে সম্পদ, “গোবর্ধন যোজনা অথবা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য তহবিলের প্রয়োজন হতে পারে। তাই নতুন তহবিল গড়ে তুলতে হবে। জৈব গ্যাস, বায়ো সিএনজি অথবা জৈব সার উৎপাদনের জন্য ছোট ছোট কারখানা গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে গ্রামের আয় বাড়বে আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যাবে।

আজ আমি গ্রামবাসীদের, পঞ্চায়েতের সদস্যদের অনুরোধ করবো অসরকারি সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথভাবে নতুন নতুন সম্পদের উৎস গড়ে তোলার জন্য। আমাদের দেশের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ৫০ শতাংশ জনপ্রতিনিধি মহিলা। কোনো কোনো রাজ্যে এই সংখ্যা ৩৩ শতাংশের ওপরে। আমার আপনাদের কাছে একটা বিশেষ অনুরোধ আছে। বাড়ি থেকেই পচনশীল জৈব ও অজৈব বর্জ্যকে আলাদা করুন। এই অভ্যেস যদি গড়ে ওঠে তাহলে বাড়ির বর্জ্য পদার্থকে আপনারা নানা কাজে লাগাতে পারবেন। আমি চাইবো এই অভিযান গ্রামস্তরে গিয়ে পৌঁছাক। আজ দেশের সব পঞ্চায়েতগুলির সদস্যদের আমি এই অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বন্ধুগণ,

কৃষিকাজের সঙ্গে জল সরাসরি যুক্ত। কৃষিতে উন্নত গুণমান সম্পন্ন জলের প্রয়োজন হয়। আমরা মাঠে চাষাবাদের সময় যেসব রাসায়নিক পদার্থ দিই তা আমাদের মাটিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টির জল যখন মাটিতে শুষে যাচ্ছে তখন ওই রাসায়নিক পদার্থকে নিয়ে জল মাটির গভীরে ঢুকছে। আমরা, আমাদের শিশু সন্তানেরা এমনকি পশুপাখিরা ওই জল খাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি। তাই মা বসুন্ধরাকে রাসায়নিক পদার্থ এবং রাসায়নিক সারের থেকে মুক্ত করতে হবে। যদি আমাদের গ্রামের কৃষকরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন তাহলে সমগ্র মানবজাতি উপকৃত হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আমাদের জৈব চাষে উৎসাহিত করতে হবে। একাজে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের ক্ষুদ্র চাষিরা জৈব চাষে সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন। দেশে ৮০ শতাংশই ক্ষুদ্র চাষি। যখন কম ব্যয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় তখন অনেক ধরণের সুযোগ তৈরি হয়। গত কয়েক বছরে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে আমাদের ক্ষুদ্র চাষিরা সবথেকে বেশি উপকৃত হচ্ছেন। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। কিষাণ রেলের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষিদের উৎপাদিত ফলমূল ও সাকসব্জি দেশের বিভিন্ন বাজারে কম পয়সা ব্যয় করে পৌঁছে যাচ্ছে। কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র চাষিরা আরও বেশি উপকৃত হবেন। এ বছর ভারত রেকর্ড পরিমাণে ফলমূল সাকসব্জি রপ্তানী করেছে। ক্ষুদ্র চাষিরা এরফলে সবথেকে বেশি উপকৃত হয়েছেন।

বন্ধুগণ,

প্রত্যেকে যাতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আরও বেশি করে যুক্ত হন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। এরফলে দেশ অপুষ্টি এবং রক্তাল্পতার মতো সমস্যা থেকে মুক্ত হবে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে যে চাল দেওয়া হয় সেই চালে এখন নানা পুষ্টিকর উপাদান যুক্ত করা হচ্ছে। এ ধরণের চাল সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কতোটা প্রয়োজন সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে আসুন আমরা শপথ নিই যে আমাদের বোন-মেয়ে-শিশুদের অপুষ্টি ও রক্তাল্পতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত করব। যতক্ষণ না নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে ততক্ষণ এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এইভাবে আমরা আমাদের দেশ থেকে অপুষ্টিকে দূর করবো।

স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া অর্থাৎ ‘ভোকাল ফর লোকাল মন্ত্র হলো ভারতের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আপনি হয়তো আপনার এলাকায় কাজ করছেন। কিন্তু সেই কাজের ফল সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের স্থানীয় স্তরের এই শক্তিকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আজ পঞ্চায়েতী রাজ দিবসে আমি চাইবো দেশের মুখ উজ্জ্বল হোক, ভারতের গ্রামগুলি আরও বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠুক।

আরও একবার আমি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য জম্মু-কাশ্মীরকে অভিনন্দন জানাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ লক্ষ জনপ্রতিনিধিকে আমি বলতে চাই পঞ্চায়েতের কাজই হোক অথবা সংসদের কাজ- কোনো কাজই ছোটো নয়। আপনি যদি শপথ নেন যে পঞ্চায়েতের জন্য কাজ করে আমি আমার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো তাহলে দেশের প্রগতি অনিবার্য। আজ পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অধ্যাবসায় আমি দেখতে পাচ্ছি তার থেকে এটা নিশ্চিত যে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠবে। এই আশা নিয়ে আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনারাও আমার সঙ্গে দুটো হাতকে উপরে তুলে জোর গলায় বলুন-

ভারত মাতা কি জয় !

ভারত মাতা কি জয় !

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন )

 

CG/CB/NS



(Release ID: 1821017) Visitor Counter : 279