অর্থমন্ত্রক
পরিকাঠামো এবং পদ্ধতিগত সংস্কারসহ আত্মনির্ভর ভারতের অধীন উদ্যোগগুলি শিল্পখাতের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে বর্তমান আর্থিক বছরে ১১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে
বিনিয়োগ বান্ধব এফডিআই নীতি এফডিআই প্রবাহে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে যা ২০২০-২১ সালের সর্বোচ্চ বার্ষিক ৮১.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এফডিআই প্রবাহ সুনিশ্চিত করেছে
শিল্পখাতে ব্যাংক ঋণের মোট পরিমাণ ৪.১ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে
प्रविष्टि तिथि:
31 JAN 2022 2:51PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামন আজ সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১-২২ পেশ করেছেন।
করোনা জনিত অতি মারির কারণে সারা বিশ্বজুড়ে শিল্প ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়ে পড়েছে। ভারতীয় শিল্প গুলিও তার ব্যতিক্রম ছিল না, যদিও ২০২১-২২ অর্থবছরের কর্মক্ষমতা কিছুটা উন্নত হয়েছে। অর্থনীতিকে ধীরেধীরে আনলক পর্যায়ে নিয়ে আসা, রেকর্ড পরিমান করোনা প্রতিষেধক টিকাকরন, উপভোক্তা ক্ষেত্রের চাহিদা মেটানো, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আকারে সরকারকারের শিল্পের প্রতি সহযোগিতার কারণে শিল্পখাতে কর্মক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ সালের প্রথমার্ধে শিল্পখাতের বৃদ্ধি ২০২০-২১ সালের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ২২.৯ শতাংশ ছিল। বর্তমান আর্থিক বছরে তা ১১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রের বিকাশ ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রতিফলিত হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে ইন্ডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা আই আই পি ১৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে এপ্রিল থেকে নভেম্বর, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে এর পরিমাণ ছিল ১৫.৩ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার স্টাডিজ এবং কর্পোরেট পারফরম্যান্স অনুসারে বেসরকারি কর্পোরেট সেক্টরে নির্বাচিত তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে দেখা গেছে যে অতি বৃহৎ কর্পোরেট থেকে নেট লাভ সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে গিয়ে পৌঁছেছে। সামগ্রিক ব্যবসায়িক অনুভূতি শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পূর্বাভাস দিয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী বলা হচ্ছে যে শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করার জন্য প্রোডাকশন লিংক ইন্সেন্টিভস প্রবর্তন এবং পরিকাঠামো খাট উভয় ক্ষেত্রেই লেনদেনের খরচ কমাতে ডিজিটাল ব্যবস্থা কার্যকরী হয়েছে। ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন বা ন্যাশনাল মনিটাইজেশন প্ল্যান- এর মতো বেশ কিছু উদ্যোগ পরিকাঠামোগত বিনিয়োগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলের মূলধন ব্যয় বার্ষিক ক্ষেত্রে গড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ২০০৯ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ৪৫,৯৮০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২০-২১ সালে হয়েছে ১৫৫,১৮১ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ সালে তা আরো বেড়ে হয়েছে ২১৫.০৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১৪ সালের চেয়ে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে, ২০২০-২১ সালে রাস্তা নির্মাণের পরিমাণ ছিল প্রতিদিন ৩৬.৫ কিলোমিটার। যা ২০১৯-২০ সালে ছিল দৈনিক ২৮ কিলোমিটার। হঠাৎ আগের বছরের তুলনায় তা ৩০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর পাশাপাশি সরকার বৈদ্যুতিন হার্ডওয়্যার সেক্টরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও পদ্ধতিগত সংস্কার ঘটিয়েছে।
শিল্প উৎপাদন সূচক বা ইন্ডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন-
শিল্প উৎপাদন খাতের ক্ষেত্রে তেইশটি গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, পোশাক পরিধান, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মোটর গাড়ির মতো প্রধান শিল্প গ্রুপ। যা শিল্পের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলেছে।
৮ কোটির সূচক-
২০২১-২২ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর সময়ের মধ্যে আইসিআই সূচকের বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৭ শতাংশ। যা বিগত আর্থিক বছরে একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১১.১ শতাংশ। এই বৃদ্ধির হার পরিলক্ষিত হয়েছে ইস্পাত, সিমেন্ট, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে।
শিল্পক্ষেত্রে ক্রেডিট-
শিল্পখাতে গ্রস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট ২০২০-র অক্টোবরে ০.৭ শতাংশ নেতিবাচক বৃদ্ধির তুলনায় অক্টোবর-২০২১-এ ৪.১ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। খনি থেকে শুরু করে টেক্সটাইল, পেট্রোলিয়াম, ঠান্ডা পণ্য এবং পারমাণবিক জ্বালানী বা রাবার ও প্লাস্টিক খাত সহ পরিকাঠামোগত কিছু শিল্পক্ষেত্রে ক্রেডিট বৃদ্ধিতে ধারাবাহিক উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ-
শিল্পক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকার বেশকিছু বিনিয়োগকারীদের বান্ধব সূচক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪৫.১৪ মার্কিন ডলার। তবে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮১.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থাগুলির কর্মক্ষমতা-
দেশে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২৫৬ টি কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ চালু ছিল। এই সংস্থা গুলিতে ২০১৯-২০ সালে সামগ্রিক নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৩.২৯৫ কোটি টাকা। আবগারি শুল্ক, পণ্য পরিবাহী কর, কর্পোরেট কর প্রভৃতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কোষাগারে টাকা জমা পড়েছে। এর পরিমান ৩,৭৬,৪২৫ কোটি টাকা। এইসব সংস্থাগুলি ১৪,৭৩,৮১০ জনকে নিয়োগ করেছিল। এর মধ্যে নিয়মিত কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ৯,২১,৮৭৬।
শিল্প ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র,অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বৈদ্যুতিন শিল্প, ওষুধ শিল্প সমস্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে। এর পাশাপাশি সড়ক পরিবহন, রেল, অসামরিক বিমান পরিবহন এবং বন্দর, জল পরিবহন, টেলিকম ক্ষেত্র এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস খাতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে।
CG/ SB
(रिलीज़ आईडी: 1793951)
आगंतुक पटल : 474