ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা(পিএম-জিকেএওয়াই) –এর পঞ্চম পর্যায়ের আওতায় রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সুবিধাভোগীদের এখনও পর্যন্ত ১৯.৭৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বন্টন করা হয়েছে

Posted On: 12 JAN 2022 4:37PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি,  ১২ জানুয়ারি, ২০২২
 
২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে কোভিড ১৯ সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার গরীবদের সাহায্যের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ প্যাকেজ’-এর ঘোষণা করে । সেই অনুসারে সরকারের খাদ্য ও গণবন্টন দফতর ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা(পিএম-জিকেএওয়াই)’-এর আওতায় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী প্রায় ৮০ কোটি সুবিধাভোগীদের জন্য বিনামূল্যে অতিরিক্ত চাল, গম ও অন্য খাদ্যশস্য বন্টন শুরু করে । মহামারি, লকডাউন এবং এর জেরে সারা দেশে আর্থিক বিপর্যয়ের কারণে দরিদ্র এবং অভাবী মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা দূরীকরণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। 
 
অতিরিক্ত খাদ্যশস্য হিসেবে প্রতি মাসে ব্যক্তিপিছু ৫ কেজি করে চাল ও গম বন্টন করা হয় । জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে নিয়মিত মাসিক ভিত্তিতে সুবিধাভোগীরা তাদের নিজ নিজ রেশন কার্ডের মাধ্যমে এই খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে । যাতে কোন দরিদ্র, দুর্বল বা অভাবী সুবিধাভোগী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করা হয়েছে । কোভিড ১৯ সঙ্কটের সময় এই বিশেষ খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকার মাসিক খাদ্যশস্যের পরিমান প্রায় দ্বিগুণ করেছে । অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিবার (পিএইচএইচ) শ্রেণীভুক্তের আওতায় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধাভোগী পরিবারগুলিকে খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে । ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রাথমিকভাবে পিএম-জিকেএওয়াই প্রকল্পটি শুধুমাত্র এপ্রিল, মে, জুন তিন মাসের জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল । পরবর্তীতে দরিদ্র এবং অভাবী সুবিধাভোগীদের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তার প্রয়োজনীয়তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের মেয়াদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আরও ৫ মাস বৃদ্ধি করে । 
 
পরবর্তীতে ২০২১-২২ অর্তবর্ষে কোভিড ১৯ সঙ্কট অব্যাহত থাকায় সরকার ২০২১ সালের এপ্রিলে আবারও পিএম-জিকেএওয়াই-এর আওতায় বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের কথা ঘোষণা করে । সে সময় মে এবং জুন এই দুই মাসের জন্য প্রথমে দেওয়া হয় । পরবর্তীতে এটি জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আরও ৫ মাস বৃদ্ধি করা হয় । কিন্তু, কোভিড ১৯ সঙ্কট বিরাজমান থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । 
 
পিএম-জিকেএওয়াই-এর প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যায়ের আওতায় এপর্যন্ত প্রায় ৮০ কোটি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের জন্য রাজ্য /কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মোট ৭৫৯ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে । এর জন্য প্রায় ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে । রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে পাওয়া পর্যায়ভিত্তিক খাদ্যশস্য বন্টন প্রতিবেদন অনুসারে এখনও পর্যন্ত মোট প্রায় ৫৮০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে । 
 
পিএম-জিকেএওয়াই-এর ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে খাদ্য ও গণবন্টন দফতর রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৮ মাসের জন্য মোট ৩২১ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বন্টন করেছিল । এরমধ্যে ২৯৮.৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয় । এই প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের মে ও জুন মাসে দফতর রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ২ মাসের জন্য ৭৯.৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বন্টন করে । এরমধ্যে ৭৫.২ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে । চতুর্থ পর্যায়ে ২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসের জন্য ১৯৮.৭৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয় । এরমধ্যে ১৮৬.১ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সুবিধাভোগীদের বন্টন করা হয়েছে । ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২-এর মার্চ পর্যন্ত এই প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায়ে ৪ মাসের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে । এরমধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯.৭৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সুবিধাভোগীদের বিতরণ করা হয়েছে । 
 
এই প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায়ের আওতায় বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের কাজ এখনও চলছে । খাদ্য ও গণবন্টন দফতর প্রতিদিন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও বন্টনের ওপর নিরন্তর নজরদারি চালাচ্ছে । এখনও পর্যন্ত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধাভোগীদের মধ্যে পিএম-জিকেএওয়াই এর আওতায় বিনামূল্যে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বন্টনের কাজ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে । 
 
এই প্রকল্পের প্রথম ও তৃতীয় পর্যায়ে মেঘালয় ও মিজোরামে ১০০ শতাংশ, অরুণাচলপ্রদেশ ও সিকিমে ৯৯ শতাংশ খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে । তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ছত্তিশগড়ে ৯৮ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৯৭ শতাংশ, মিজোরামে ৯৭ শতাংশ, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে ৯৭ শতাংশ খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে । 
 
'এক দেশ এক রেশন কার্ড' – এর সুবিধা ব্যবহার করে বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ পিএম-জিকেএওয়াই-এর প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যায়ে খাদ্যশস্য বন্টনের কাজ খুব ভালোভাবে করতে পেরেছে । 
 
খাদ্য ও গণবন্টন দফতর ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলা, অসমিয়া সহ ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ন্যায্য মূল্যের দোকান, গোডাউন, গণবন্টন ব্যবস্থাপনার স্থান ইত্যাদি সম্পর্কে প্রচার চালিয়েছে । স্টেশন, ডাকঘর, বাসস্ট্যান্ড, পেট্রোলপাম্প নানান স্থানে এই প্রচার চালানো হয়েছে ।  
 
 
CG/SS/RAB


(Release ID: 1789477) Visitor Counter : 319