যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ২৫তম জাতীয় যুব উৎসবের উদ্বোধন করবেন

Posted On: 11 JAN 2022 4:08PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১২ই জানুয়ারি) বেলা ১১টায় পুদুচেরীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৫তম জাতীয় যুব উৎসবের উদ্বোধন করবেন। মহান দার্শনিক ও চিন্তাবিদ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনটি জাতীয় যুব দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের মধ্য দিয়ে তাঁর শিক্ষা এবং তারুণ্যের শক্তিতে চিরন্তন বিশ্বাস দেশে পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক। জাতীয় যুব উৎসব ২০২২ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন যুব বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী ঊষা শর্মা। তিনি বলেন, এই উৎসবের লক্ষ্য হল ভারতীয় যুবসম্প্রদায়ের মানসিক গঠনকে শক্তিশালী করা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের কাজে তাঁদের সামিল করা।
 
শ্রীমতী ঊষা শর্মা জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এ বছর ১২-১৩ই জানুয়ারি ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই উৎসব উদযাপন করা হবে। জাতীয় যুব সম্মেলন হ’ল – সামাজিক, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের এক বৃহত্তম প্রয়াস। এই সম্মেলনে যুবসম্প্রদায় পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে নেতৃত্বদান, প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন, প্রাচীণ জ্ঞান, জাতীয় চরিত্র, দেশ গঠনের মতো একাধিক সমসাময়িক বিষয়ে তাঁদের মতপ্রকাশের সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, পুদুচেরীর আরোভিলে দেশীয় খেলাধুলা ও লোকনৃত্য সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিয়মিত ভিডিও ক্যাপসুল প্রদর্শিত হবে অনুষ্ঠানে। এছাড়াও, সরাসরি সঙ্গীতানুষ্ঠান, যোগ প্রদর্শনের ব্যবস্থাও থাকছে।
 
সচিব জানিয়েছেন, এই ভার্চ্যুয়াল উৎসব সবাই দেখতে পাবেন। তিনি আরও বলেন, জাতীয় যুব উৎসব যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অন্যতম বিরাট অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হ’ল  দেশের যুবসম্প্রদায়কে একত্রিত করা ও বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিভা প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। শ্রীমতী শর্মা জানান, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে এই উৎসব উদযাপন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, যে কোনও দেশের জনসংখ্যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এগিয়ে চলার অন্যতম অংশই হ’ল যুবসম্প্রদায়। জাতীয় যুব উৎসব শুধু জাতীয় সংহতিকেই শক্তিশালী করে না, দেশের তরুণদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনাকেও জাগ্রত করে। তিনি জানিয়েছেন, এই উৎসব ‘মিনি ইন্ডিয়া’ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশের সংমিশ্রণে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে এই উৎসবে।
 
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রী অরবিন্দ এবং মহাকবি সুব্রমানিয়া ভারতী-র অবদান ও তাঁদের সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধের চেতনা জাগ্রত করে তোলার প্রয়াসের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ‘মেরে স্বপ্নো কা ভারত’ ও ‘আনসাং হিরোজ অফ ইন্ডিয়ান ফ্রিডম মুভমেন্ট’ বিষয়ের উপর নির্বাচিত রচনা প্রকাশ করবেন। ১ লক্ষেরও বেশি যুবক-যুবতী এই দুটি বিষয়ের উপর যে রচনা লিখেছিলেন, তার থেকে কয়েকটি বাছাই করা হয়েছে। 
 
CG/SS/SB


(Release ID: 1789226) Visitor Counter : 159