স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
কেন্দ্র কোভিড-১৯ এবং ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে
Posted On:
23 DEC 2021 3:04PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
কোভিড-১৯ এবং তার সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও রকম শৈথিল্য না দেখাতে এবং যে কোনও পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবিলা করতে কেন্দ্র রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ এই মর্মে আজ একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ এর ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শ্রী ভূষণ বলেন, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনকে লোকাল কন্টেনমেন্টের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। কোনও অঞ্চলে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি হলেই অথবা অক্সিজেন সুবিধাযুক্ত শয্যার রোগীর সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হবে। তবে, আঞ্চলিক পরিস্থিতি ও জনঘনত্ব সহ বিভিন্ন দিক বিচার করে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যে কোনও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে পারে। পরামর্শ অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা ন্যূনতম ১৪ দিন থাকবে। যেহেতু, ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ সাধারণ সর্দিজ্বরের মতোই। কিন্তু, সংক্রমণ হার বেশি। তাই, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে। ওমিক্রণের জন্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৫ দফা কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে :
১) কন্টেনমেন্ট প্রসঙ্গে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে –
রাত্রিকালীন কার্ফিউ জারি করতে হবে এবং আসন্ন উৎসব মরশুমে যাতে বড়সড় জমায়েত না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা কোনও অঞ্চলে বৃদ্ধি পেলে কন্টেনমেন্ট জোন, বাফার জোন দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
কন্টেনমেন্ট জোনে সব নীতি-নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
ইনসাকোগ পরীক্ষাগারগুলিতে সব ক্লাস্টারের থেকে সংগৃহীত নমুনা জিন বিন্যাস করার জন্য দ্রুত পাঠাতে হবে।
২) নমুনা পরীক্ষা ও নজরদারির বিষয়ে রাজ্যগুলিকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডেলটা ও ওমিক্রণ সংক্রমিতদের বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে। দৈনন্দিন ও সাপ্তাহিক-ভিত্তিতে, কতদিনে সংক্রমণ সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়াও, আইসিএমআর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নীতি-নির্দেশিকা অনুসারে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। কন্টেনমেন্ট এলাকায় বাড়ি বাড়ি সকলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খোঁজ-খবর নিতে হবে। সারি/আইএলআই – এ যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের এবং বিভিন্ন জটিল অসুখে ভোগা মানুষদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন অঞ্চলে আরটিপিসিআর এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ৬০:৪০ অনুপাতে করতে হবে। প্রয়োজনে এই অনুপাত বাড়িয়ে ৭০:৩০ করা যেতে পারে। সব কোভিড সংক্রমিত এবং তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যথাযথ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়ে এয়ার সুবিধা পোর্টাল থেকে নজরদারি চালাতে হবে।
৩) চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্যগুলিকে জাতীয় নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওমিক্রণের কারণে এই নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, তারা যেন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বাড়ায়, যথাযথ অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখে। ৩০ দিনের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র মজুত রাখার পাশাপাশি কোভিড সংক্রান্ত প্যাকেজের অর্থ যাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যয় করা হয় – তা নিশ্চিত করতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চিকিৎসকদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
৪) কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি প্রসঙ্গে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে – কোনও ভুল তথ্য যাতে না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। স্বচ্ছভাবে হাসপাতালগুলির বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানাতে হবে। গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে যাতে ভয় সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত সাংবাদিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে হবে।
৫) টিকাকরণ প্রসঙ্গে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, যাঁরা টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ এখনও নেননি, তাঁদের দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় হারের তুলনায় যেসব জেলায় টিকাকরণ কম হয়েছে, সেখানে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি টিকাকরণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে যাঁদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তাঁদের টিকাকরণ নিশ্চিত করতে হবে। নতুন ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্ট যেসব জায়গায় টিকাকরণ কম হয়েছে, সেখানে দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই, প্রশাসনকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
CG/CB/SB
(Release ID: 1784769)
Visitor Counter : 163