মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা "ওশান সার্ভিসেস, মডেলিং, অ্যাপ্লিকেশন, রিসোর্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি (ও-স্মার্ট)" শীর্ষক একগুচ্ছ প্রকল্প চালু রাখার জন্য অনুমোদন দিয়েছে

Posted On: 24 NOV 2021 3:38PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি,  ২৪ নভেম্বর, ২০২১
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের "ওশান সার্ভিসেস, মডেলিং, অ্যাপ্লিকেশন, রিসোর্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি (ও-স্মার্ট)" শীর্ষক প্রকল্প চালু রাখার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সামগ্রিকভাবে খরচ হবে ২ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। 
 
এই প্রকল্পের আওতায় ৭টি উপ-প্রকল্প রয়েছে। এগুলি হলো মহাসাগর বিষয় সংক্রান্ত প্রযুক্তি, মহাসাগর বিষয় সংক্রান্ত কর্ম পরিকল্পনা ও উপদেষ্টা পরিষেবা (ওএমএএস), মহাসাগর বিষয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক (ওওএন), মহাসাগরের অজৈব সম্পদ, সামুদ্রিক জৈব সম্পদ ও বাস্তুতন্ত্র (এমএলআরই), উপকূলীয় গবেষণা ও পরিচালনা ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা সংক্রান্ত নৌ জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ। এই প্রতিটি উপ-প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আওতাধীন স্বশাসিত সংস্থা অথবা সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এই উপ-প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে - চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (এনআইওটি), হায়দ্রাবাদের ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান ইনফরমেশন সার্ভিসেস (আইএনসিওআইএস), গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (এনসিপিওআর), কোচির সেন্টার ফর মেরিন লিভিং রিসোর্সেস অ্যান্ড ইকোলজি (সিএমএলআরই) এবং চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল সেন্টার ফল কোস্টাল রিসার্চ (এনপিপিআর)। মন্ত্রকের আওতাধীন সমুদ্র ও উপকূলীয় গবেষণা সংক্রান্ত একটি নৌবহর এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে। 
 
ভারতে মহাসাগর সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য ১৯৮১ সালে মহাসাগর উন্নয়ন দফতর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের আওতায় চলে আসে। প্রযুক্তি উন্নয়ন, পূর্বাভাস দেওয়া, ক্ষেত্রীয় পর্যায়ে সরঞ্জাম ইনস্টলেশন, অনুসন্ধান সর্বেক্ষণ, প্রযুক্তি উপস্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক একাধিক উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে, যার সুফল পেয়েছে দেশ। মহাসাগর ক্ষেত্রে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুস্থায়ী ব্যবহারের জন্য অনুসন্ধানমূলক সর্বেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস ও পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে 'ও-স্মার্ট' প্রকল্পটি সামুদ্রিক গবেষণামূলক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে মহাসাগর সংক্রান্ত বিজ্ঞান ক্ষেত্রের গবেষণায় দেশের ক্রমতালিকা ক্রমেই সামনের সারিতে উঠে আসবে। 
 
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি বড় মাইল ফলক অর্জন করা গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গভীর সমুদ্র পলি মেটালিক নোডুলস এবং হাইড্রোথার্মাল সালফাইডের খনির ওপর বিস্তৃত গবেষণার কাজ পরিচালনার জন্য ইন্টার ন্যাশনাল সিবেট অথরিটি (আইএসএ)-এর আওতায় বিনিয়োগকারী হিসেবে ভারত স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়াও দেশের মহাসাগর সংক্রান্ত কার্যকলাপ এখন সুমেরু থেকে দক্ষিণ মেরুদেশীয় অঞ্চল পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। ওশানোগ্রাফিক কমিশন ভারত মহাসাগরে মোরড এবং ড্রিফটার উভয় পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালাচ্ছে। এতে মাছ ধরার স্থানগুলিতে সামুদ্রিক পূর্বাভাস, প্রাকৃতিক উপকূলীয় ঝুঁকি সংক্রান্ত সতর্কতা, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি সতর্কতা ইত্যাদি বিষয়ে ভারত সহ প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে সুনির্দিষ্ট বার্তা প্রদান করা সম্ভব হয়। সুনামি, ঝড়ের জেরে জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক বিপর্যয়ের বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তা প্রদানের জন্য হায়দ্রাবাদে আইএনসিওআইএস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রের নিরাপত্তার জন্য জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সমীক্ষার কাজও চালানো হয়। 
 
'ও-স্মার্ট' এমন একটি প্রকল্প, যা গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ক্ষেত্রে কাজ করবে এবং সমুদ্র বিষয় গবেষণা ক্ষেত্রে দেশের স্বক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বর্তমান দশককে সমুদ্র বিজ্ঞানের দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই, এই ক্ষেত্রে ধারাবাহিক গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে 'ও-স্মার্ট' প্রকল্প বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এমনকি সমুদ্র ভিত্তিক অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ বছরে জীব বৈচিত্র্য এবং উপকূলীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প। 
 
CG/SS/SKD/


(Release ID: 1774864) Visitor Counter : 188