প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী জনজাতীয় গৌরব দিবসে রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মৃতি উদ্যান তথা স্বাধীনতা যোদ্ধা সংগ্রহালয় উদ্বোধন করেছেন


শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর গভীর ইচ্ছশক্তির দরুণ ঝাড়খন্ড রাজ্য গড়ে ওঠে

স্বাধীনতার এই অমৃতকালে দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আদিবাসী পরম্পরা ও তাঁদের বীরত্বের কাহিনীগুলিকে আরও বেশি অর্থবহ করে যথার্থ পরিচিতি দেওয়া হবে

এই সংগ্রহালয় বিবিধতাপূর্ণ আদিবাসী সংস্কৃতির জীবন্ত প্রতিষ্ঠান; যেখানে স্বাধীনতা লড়াইয়ে আদিবাসী বীর পুরুষ ও মহিলা সংগ্রামীদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে

ভগবান বিরসা মুন্ডা সমাজের জন্যই বেঁচেছিলেন, তাঁর সংস্কৃতি ও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন; তাই আজও তিনি আমাদের আস্থায় জীবিত রয়েছেন, ভগবান হিসাবে আমাদের আত্মায় নিহিত রয়েছেন

Posted On: 15 NOV 2021 10:46AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

 

ভারত সরকার ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসাবে উদযাপনের কথা ঘোষণা করেছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মৃতি উদ্যান তথা স্বাধীনতা যোদ্ধা সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। 

এই উপলক্ষে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আদিবাসী পরম্পরা ও তাঁদের বীরত্বের কাহিনীগুলিকে আরও বেশি অর্থবহ করে যথার্থ পরিচিতি দেওয়া হবে। এজন্য এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, প্রতি বছর আজকের দিনটি অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসাবে উদযাপন করা হবে। তিনি ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। 

শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর গভীর ইচ্ছাশক্তির দরুণ ঝাড়খন্ড রাজ্য গড়ে ওঠে। অটলজীই প্রথম ব্যক্তি, যাঁর আন্তরিকতার ফলেই দেশে প্রথমবার সরকারের পৃথক একটি আদিবাসী মন্ত্রক গড়ে তোলা হয়। একইভাবে, দেশের নীতির সঙ্গে আদিবাসী মানুষের স্বার্থ জুড়ে দেওয়া হয় বলেও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। 

ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মৃতি উদ্যান তথা স্বাধীনতা যোদ্ধা সংগ্রহালয়ের জন্য আদিবাসী সমাজ ও দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অভিনন্দন জানান। এই সংগ্রহালয় বিবিধতাপূর্ণ আদিবাসী সংস্কৃতির জীবন্ত প্রতিষ্ঠান, যেখানে স্বাধীনতা লড়াইয়ে আদিবাসী বীর পুরুষ ও মহিলা সংগ্রামীদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে। 

ভগবান বির্সা মুন্ডার পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান বিরসা জানতেন, আধুনিকতার নামে আদিবাসী পরম্পরা, অতীত পরিচিতি ও প্রকৃতির সঙ্গে বিরূপ আচরণ কখনই সমাজে কল্যাণ করতে পারে না। তিনি একই সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমর্থক ছিলেন এবং সমাজের সমস্ত অসাম্যতা ও কুপ্রথার বিরুদ্ধে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের উদ্দেশ্যই ছিল ভারতের ক্ষমতার হস্তান্তর, যাতে ভারতীয়রা দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ধরতি আবার জন্য তাঁর লড়াই ছিল ভারতের আদিবাসী সমাজের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া থেকে রক্ষা করা। ভগবান বিরসা মুন্ডা সমাজের জন্যই বেঁচেছিলেন, তাঁর সংস্কৃতি ও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাই আজও তিনি আমাদের আস্থায় জীবিত রয়েছেন, ভগবান হিসাবে আমাদের আত্মায় নিহিত রয়েছেন। ধরতি আবা খুব বেশি দিন জীবিত ছিলেন না। কিন্তু, তিনি অল্প সময়েই দেশের এক সম্পূর্ণ ইতিহাস রচনা করেছিলেন, যা আজও দেশে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে দিশা দেখায় বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1771945) Visitor Counter : 173