প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী কুশীনগরে রাজকিয়া মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করলেন


কুশীনগরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস

মৌলিক সুযোগ সুবিধা যখন হাতের নাগালে পাওয়া যায় তখন বড় স্বপ্ন দেখার এবং সেই স্বপ্ন পূরণের মানসিকতা জাগ্রত হয়

উত্তরপ্রদেশকে ৬-৭টি দশকে সীমাবদ্ধ করা যেতে পারে না; এই উত্তরপ্রদেশের ইতিহাস অসীম এবং এরাজ্যের অবদানও অশেষ

ডবল ইঞ্জিন সরকার দ্বিগুণ সক্ষমতায় পরিস্থিতির উন্নতি করছে

উত্তরপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলে স্বামিত্ব কর্মসূচি সমৃদ্ধির নতুন দ্বার খুলে দেবে

পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি জমা হয়েছে

Posted On: 20 OCT 2021 2:35PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ২০ অক্টোবর, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কুশীনগরে রাজকিয়া মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করেছেন। তিনি কুশীনগরে একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন।

এই উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুশীনগরে মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিভাবান যুবক যুবতীদের চিকিৎসক হয়ে ওঠা অথবা উন্নতমানের চিকিৎসা পরিকাঠামোর সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতায় মাতৃভাষায় কারিগরি শিক্ষায় পঠন পাঠনের সুযোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। কুশীনগরের স্থানীয় যুবকরাও তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, মৌলিক সুযোগ সুবিধা যাখন হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তখন বড় স্বপ্ন দেখার সাহস ও সেই স্বপ্ন পূরণের মানসিকতা জাগ্রত হয়। একজন গৃহহীন, যিনি বস্তিতে থাকেন, যখন তিনি পাকি বাড়ি পান, যখন তিনি বাড়িতেই শৌচাগারের সুবিধা পান, বিদ্যুৎ সংযোগ পান, রান্নার গ্যাসের সংযোগ পান তখন তার মতো দরিদ্র মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার দ্বিগুণ ক্ষমতায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাচ্ছে। তিনি খেদ ব্যক্ত করে বলেন, বিগত সরকারগুলি দরিদ্র মানুষের মর্যাদা ও কল্যাণে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। এমনকি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কুপ্রভাব দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের কাছে সুফল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করে বলেন, রামমনোহর লোহিয়া প্রায়সই একথা বলতেন যে, কর্মকে সহানুভূতির সঙ্গে যুক্ত করুন, সম্পূর্ণ করুণার সঙ্গে যুক্ত করুন। কিন্তু আগে যারা সরকারে শাসন ক্ষমতায় ছিল তারা দরিদ্র মানুষের দুঃখ যন্ত্রণার প্রতি উদাসীন থেকেছেন। আসলে তারা তাদের কৃতকর্মকে দুর্নীতি ও অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্বামিত্ব কর্মসূচি শুরু করেছে। এই কর্মসূচি উত্তরপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলে অদূর ভবিষ্যতে সমৃদ্ধির নতুন দ্বার খুলতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বামিত্ব যোজনার আওতায় গ্রামগুলিতে ঘর-বাড়ির মালিকানার নথিপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিধ্যেই শুরু হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, শৌচালয় ও উজ্জ্বলা যোজনার মতো কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে আমাদের বোন ও কন্যাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত হয়েছে। এমনকি পিএম আবাস যোজনায় অধিকাংশ বাড়ি মহিলাদের নামে করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-র আগে সরকারি নীতির কারণে মাফিয়ারা বিনা বাধায় লুঠতরাজ চালাতো। কিন্তু আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগীজীর নেতৃত্বে মাফিয়া রাজের অবসান ঘটেছে এবং মাফিয়াদের করুণ দশা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশ এমন একটি রাজ্য যেখান থেকে সর্বাধিক সংখ্যায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, আর এটাই উত্তরপ্রদেশের বৈশিষ্ট্য। অবশ্য উত্তরপ্রদেশের পরিচিতি কেবল এই একটি বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। উত্তরপ্রদেশকে কেবল ৬-৭টি দশকে সীমাবদ্ধ করা যায়না। এটি এমন একটি রাজ্য যার ইতিহাস অসীম, যার অবদান অশেষ। ভগবান রাম উত্তরপ্রদেশের এই ভূমিতেই অবতার গ্রহণ করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার এই ভূমিতেই সম্পন্ন হয়েছিল। ২৪ জন জৈন তীর্থঙ্করের মধ্যে ১৮ জনই উত্তরপ্রদেশ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শ্রী মোদী আরও বলেন, মধ্যযুগে তুলসি দাস ও কবির দাসের মতো যুগান্তকারী ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেছিল এই উত্তরপ্রদেশ থেকেই। আর এরাজ্য থেকেই আবির্ভুত হয়েছিলেন সন্ত রবিদাসের মতো বহু সমাজ সংস্কারক।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশ এমন একটি অঞ্চল যেখানে পথের প্রতিটি ধাপে তীর্থযাত্রা হয় এবং মাটির প্রতিটি কণায় শক্তি নিহিত থাকে। এমনকি বেজ ও পুরাণ লেখার কাজ এখানে নৈমিসরণ্যে করা হয়েছিল। অবধ অঞ্চল এমন একটি জায়গা যেখানে অযোধ্যার মতো তীর্থস্থান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গৌরবময় শিখ গুরুদের পরম্পরার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আগ্রায় গুরু কা তাল গুরুদ্বায়ার গুরু তেগবাহাদুরজীর গৌরব গাঁথার প্রতিফলন। গুরু তেগবাহাদুরজী এখানেই ঔরঙ্গজেবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে শস্য সংগ্রহে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে শস্য সংগ্রহবাবদ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। এমনকি পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩৭ হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লখ করেন।

 

CG/BD/SKD/



(Release ID: 1765286) Visitor Counter : 172