স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ১৯টি রাজ্যে টিকাকরণের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন

Posted On: 09 OCT 2021 3:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৯ অক্টোবর,  ২০২১

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডভিয়া আজ ১৯টি রাজ্যের প্রধান সচিব এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মিশন অধিকর্তাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাকরণের অগ্রগতির বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। দেশে ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন হওয়ার মাইলফলক অর্জন দোরগোরায়। তাই এ বিষয় বিশেষ জোর দেন তিনি। এ পর্যন্ত দেশে ৯৪ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

ডঃ মান্ডভিয়া উল্লেখ করেন যে,সাধারণত উৎসবের দিনগুলি হল আনন্দ এবং বৃহৎ সমাবেশের সমার্থক। এই সময়ে যদি কোভিড বিধি পালন করা না হয়, তা হলে সংক্রমণের নিয়ন্ত্রণ লাগাম ছাড়া হতে পারে। তিনি বলেন, কঠোরভাবে কোভিড বিধি অনুসরণ করা এবং টিকাকরণের গতি বৃদ্ধির মতো দ্বিমুখী পদক্ষেপই হ’ল এই সমস্যা সমাধানের পথ। 

ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির কাছে ৮ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ মজুত রয়েছে বলে তিনি জানান। তাই, এক্ষেত্রে টিকাদানের গতি বৃদ্ধিতে এবং নির্দিষ্ট জনসংখ্যাকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনেক রাজ্যই শহর অঞ্চলে টিকাকরণের হার নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আসতে পেরেছে এবং শহরে যাতায়াতকারী বহু মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। একইভাবে, শ্রমিকদের জন্য এবং সময়ে সময়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের মতো বহু জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্যে গণটিকা অভিযান চালানো হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যকে টিকাকরণের ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানান এবং এ ক্ষেত্রে সমস্যার কথা জানতে চান। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও প্রসার রোধে উৎসবের সময় উপযুক্ত কোভিড বিধি পালনের বিষয়ে সমস্ত রাজ্য প্রশাসকদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এসওপি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

এ দিনের বৈঠকে রাজ্যগুলির কাছে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তা নিয়েও পুনরায় আলোচনা চালানো হয়। বলা হয়েছে – কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকায় এবং যেখানে ৫ শতাংশেরও বেশি কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেখানে কোনোভাবেই জনসমাগম করা যাবে না। আগাম অনুমতি ও সীমিত জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে সেইসব জেলায়, যেখানে ৫ শতাংশ বা তার কম সংক্রমণ হার রয়েছে। সাপ্তাহিক সংক্রমণ হারের ওপর নির্ভর করে ছাড় এবং বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। রাজ্যগুলি প্রতিদিন সমস্ত জেলা জুড়ে সংক্রমণের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ চালাবে এবং সেই অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করবে। পাশাপাশি, আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়টিও সুনিশ্চিত করবে। সাধারণ মানুষকে অনলাইন প্রতিমা দর্শন এবং ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে উৎসব পালন করতে বলা হয়েছে। দুর্গা পুজো মণ্ডপ, ডান্ডিয়া, গর্বা এবং ছট পুজোর মতো সব উৎসবের অনুষ্ঠান প্রতীকী হিসাবে পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ/মিছিলে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উপস্থিতি সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। প্রসাদ বিতরণ, পবিত্র জল ছেটানো ইত্যাদি এড়ানো উচিৎ। পুজাস্থানে পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ রাখতে হবে। 

বৈঠকে এমার্জেন্সি কোভিড রেসপন্স প্যাকেজ (ইসিআরপি) দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে খরচের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড সহ ১৯টি রাজ্য যোগ দিয়েছিল।  

 

CG/SS/SB



(Release ID: 1762584) Visitor Counter : 214