নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

পিএম কেয়ার্স ফর চিল্ড্রেন কর্মসূচির নীতি-নির্দেশিকা জারি


কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ যেসব শিশু বাবা-মা’কে হারিয়েছে, তাদের সার্বিক সাহায্যের জন্যই এই কর্মসূচি

কর্মসূচির মাধ্যমে ১৮ বছর বয়স থেকে শিশুদের মাসিক ভাতা এবং ২৩ বছর বয়স পূর্ণ হলে ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে

Posted On: 07 OCT 2021 1:47PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ অক্টোবর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক পিএম কেয়ার্স ফর চিল্ড্রেন কর্মসূচির বিস্তারিত নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। কোভিড মহামারীর দরুণ যেসব শিশু তাদের বাবা-ম’কে হারিয়েছে, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২৯ মে সার্বিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। পিএম কেয়ার ফর চিল্ড্রেন কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হ’ল কোভিড মহামারীর দরুণ যারা বাবা-মা’কে হারিয়েছে, তাদের সবরকম সুরক্ষা ও পরিচর্যা সুনিশ্চিত করা, সেই সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য বিমার মাধ্যমে সার্বিক কল্যাণ, শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন সহ ২৩ বছর বয়স পূর্ণ হলে আর্থিক সাহায্য দিয়ে জীবনে আত্মনির্ভর করে তোলা। 

পিএম কেয়ার্স ফর চিল্ড্রেন কর্মসূচিতে বাবা-মা/অভিভাবক হারানো শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ১৮ বছর বয়স থেকে মাসিক ভাতা এবং ২৩ বছর বয়স পূর্ণ করলে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য পাবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন এ ধরনের শিশুদের জন্য সার্বিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন অর্থাৎ ২৯ মে থেকে যোগ্য শিশুদের নাম নথিভুক্তিকরণ হবে। কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্তিকরণ চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রত্যেক চিহ্নিত শিশুর বয়স ২৩ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেইসব শিশুরা এই কর্মসূচির সমস্ত সুবিধা পাবে, যারা কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ বাবা ও মা, অভিভাবক অথবা দত্তক নেওয়া বাবা-মা বা সিঙ্গল প্যারেন্টদের হারিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ২০২০-র ১১ মার্চ কোভিড-১৯’কে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করে। তাই, গত বছরের ১১ মার্চ থেকে যেসব শিশু পিতা-মাতা’কে হারিয়েছে তারা কর্মসূচির আওতায় আসবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বাবা-মা বা অভিভাবকের মৃত্যুর দিন পর্যন্ত যেসব শিশুর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তারাও কর্মসূচির সুবিধা পাবে। 

কর্মসূচির আওতায় শিশুদের যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে, তার মধ্যে রয়েছে – থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত। শিশু কল্যাণ কমিটিগুলির সহায়তায় সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। ছ’বছরের কম বয়সী শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে প্রাক‌-শিক্ষার পাশাপাশি, পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকার সুবিধা দেওয়া হবে। ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা বাড়ির কাছাকাছি সরকারি/সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বিদ্যালয়/কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়/বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। সরকারি বিদ্যালয়ে এইসব শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দু’সেট করে বিদ্যালয় পোশাক ও পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে। বেসরকারি বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের খরচের ক্ষেত্রে শিক্ষার অধিকার আইনের  ১২(১)(সি) ধারার আওতায় ছাড় মিলবে। 

কর্মসূচির আওতায় ১১-১৮ বছর বয়সী শিশুরা নিকটবর্তী সরকারি/সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বিদ্যালয়/কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়/বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন। দেশে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে শিশুরা শিক্ষা ঋণের সুবিধা পাবে। এমনকি, পরিস্থিতির অনুযায়ী, যদি ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রে সুদ মেটানোর ক্ষমতা না থাকে, সেক্ষেত্রে পিএম কেয়ার্স ফর চিল্ড্রেন কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষা ঋণের সুদ মেটানো হবে।

এই কর্মসূচিতে নথিভুক্ত সমস্ত শিশুই আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুফল যাতে প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

একইভাবে, কর্মসূচিতে নথিভুক্ত শিশুরা ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে এককালীন আর্থিক সাহায্য পাবে। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা জমা হবে। এই জমা টাকার সুদ হিসাবে প্রত্যেক মাসে ভাতা দেওয়া হবে। ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে এই ভাতা দেওয়া হবে। এমনকি, ২৩ বছর বয়স পূর্ণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকে আরও ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সুবিধা পাবে। 

এই কর্মসূচির বিশদ নীতি-নির্দেশিকা সম্পর্কে জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন-

https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2021/oct/doc202110711.pdf.

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1761926) Visitor Counter : 293