প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত ও জল জীবন মিশনের জল সমিতিগুলির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন


প্রধানমন্ত্রী জল জীবন মিশন অ্যাপ এবং রাষ্ট্রীয় জল জীবন কোষের সূচনা করেছেন

“জল জীবন মিশন হল বিকেন্দ্রীকরণের একটি বৃহত্তর আন্দোলন। এটি গ্রাম ভিত্তিক, মহিলা কেন্দ্রিক আন্দোলন। জল অংশীদারিত্ব ও গণ আন্দোলন এর মূল ভিত্তি”

“গত ৭ দশকে মানুষের কাছে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল মাত্র দু বছরে তার চাইতে বেশি কাজ হয়েছে”

“গুজরাটের মতো একটি রাজ্য থেকে আমি এসেছি, আমি খরার মত পরিস্থিতি দেখেছি এবং জলের প্রতিটি ফোঁটার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারি। আর তাই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় জল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং জল সংরক্ষণকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি”

“আজ দেশের প্রায় ৮০টি জেলায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে গেছে”

“উচ্চাকাঙ্খী জেলায় জলের সংযোগ ৩১ লক্ষ থেকে বেড়ে ১ কোটি ১৬ লক্ষ হয়েছে”

“প্রত্যেক বাড়ি এবং স্কুলে শৌচাগার, স্বল্পমূল্যের স্যানিটারি প্যাড, গর্ভাবস্থায় পুষ্টির যোগান দেওয়া এবং টিকাকরণের ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে মাতৃশক্তিকে শক্তিশালী করা হয়েছে”

Posted On: 02 OCT 2021 1:02PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী,  ০২  অক্টোবর, ২০২১


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েত ও জল জীবন মিশনের জল সমিতিগুলির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য, আরও  স্বচ্ছভাবে কাজ করা এবং এই প্রকল্পের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে জল জীবন মিশন অ্যাপের সূচনা করেছেন। গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে, স্কুলে, অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে, আশ্রমশালায় এবং অন্যান্য সর্বসাধারণের জন্য জায়গায় নল বাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে সাহায্য করার জন্য দেশ-বিদেশের ব্যক্তি বিশেষ, প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট সংস্থা অথবা জনহিতৈষীদের উদ্যোগে সাহায্য করার  জন্য প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় জল জীবন কোষের সূচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে গ্রাম পঞ্চায়েত ও জল সমিতির সদস্যরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, শ্রী বিশ্বেশ্বর টুডু, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার উমরী গ্রামের শ্রী গিরিজাকান্ত তেওয়ারীকে তাঁর গ্রামে জল জীবন মিশনের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান। শ্রী তেওয়ারী জানান, এখন গ্রামে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জল পাওয়া যাচ্ছে, গ্রামের মহিলাদের জীবনের মানোন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী তেওয়ারীর কাছে আরও জানতে চান গ্রামবাসীরা কি বিশ্বাস করতেন যে একটা সময় তারা নল বাহিত জলের সংযোগ পাবেন? এখন জলের সংযোগ পাওয়ার পর তাদের অনুভূতি কি রকম? শ্রী তেওয়ারী জানান জল জীবন মিশনের জন্য গ্রামবাসীরা যৌথ উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে এবং সকলে সেটি ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রী বুন্দেলখন্ডের গ্রামবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন পিএম আবাস, উজ্জ্বলা এবং জল জীবন মিশনের মতো প্রকল্পগুলি মহিলাদের ক্ষমতায়ণ এবং মর্যাদা ফিরে পেতে সাহায্য করেছে।  

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের পিপলির শ্রী রমেশভাই প্যাটেলের কাছে জানতে চান তাঁর গ্রামে জল পাওয়া যাচ্ছে কি না। জলের গুণমান কি নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে? শ্রী রমেশভাই জানান, জলের গুণমান ভাল এবং তা পরীক্ষা করার জন্য গ্রামের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান পানীয় জলের জন্য মানুষ কি পয়সা দিচ্ছেন? জবাবে রমেশভাই জানিয়েছেন গ্রামের মানুষের জলের মূল্য সম্পর্কে ধারণা অত্যন্ত স্পষ্ট আর তাই তাঁরা এর জন্য অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান জল সংরক্ষণের জন্য গ্রামে স্প্রিংকলার ও ড্রিপ ইরিগেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছি কি না। তাঁকে জানানো হয়েছে গ্রামে সেচের জন্য নানা ধরণের পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত মিশন ২.০-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বচ্ছতার জন্য মানুষ এই প্রকল্পকে বিপুল সমর্থন যোগাচ্ছে। তিনি আশা করেন জল জীবন মিশনও একই রকমের সাফল্য পাবে।

প্রধানমন্ত্রী উত্তরাখন্ডের শ্রীমতি কৌশল্যা রাওয়াতের কাছে জল জীবন মিশন প্রকল্প শুরু হওয়ার পর জলের সহজলভ্যতা সম্পর্কে জানতে চান। শ্রীমতি রাওয়াত জানান জল জীবন মিশনের মাধ্যমে গ্রামে নল বাহিত সংযোগ পৌঁছানোর পর পর্যটকরা তাঁদের গ্রামে আসা শুরু করেছেন এবং হোমস্টে জনপ্রিয় হচ্ছে। গ্রামের সকলের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি রাওয়াতের প্রশংসা করে বলেন, বনসৃজন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং হোমস্টে-র মতো স্থিতিশীল পদ্ধতি গ্রহণ করায় গ্রামগুলি লাভবান হবে।   

প্রধানমন্ত্রী জল জীবন মিশনের প্রভাব সম্পর্কে তামিলনাড়ুর ভেলেরির শ্রীমতি সুধার কাছে জানতে চান। জবাবে শ্রীমতি সুধা জানিয়েছেন গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ভেলেরিতে বিশ্বখ্যাত অর্ণি সিল্ক শাড়ির উৎপাদন সম্পর্কে জানতে চান। নল বাহিত পানীয় জলের সংযোগ আসার ফলে শ্রীমতি সুধার ঘরের কাজের সুবিধা হয়েছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। জবাবে শ্রীমতি সুধা জানান, জলের সংযোগ পাওয়ায় তাঁদের জীবনের মানোন্নয়ন হয়েছে। এখন তাঁরা অন্যান্য কাজে যুক্ত হতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বৃষ্টির জল সংরক্ষণে তাঁর গ্রামে চেক ড্যাম, পুকুর খননের মতো উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন জল জীবন মিশন মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মণিপুরের শ্রীমতি লাইথানথেন সরোজিনী দেবীর সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে পারেন আগে ওই অঞ্চলে অনেক দূর থেকে জল আনতে হত এবং তার জন্য লম্বা লাইন দিতে হত। কিন্তু এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে গেছে। সরোজিনী দেবী আরও জানান, তাঁদের গ্রাম সম্পূর্ণভাবে খোলা স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত এবং গ্রামে জনস্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন হয়েছে। জলের গুণমান নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। এর জন্য ৫ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য সরকার নিরলস প্রয়াস গ্রহণ করছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রকৃত পরিবর্তন আসায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।    

উপস্থিত সকলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাপু ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজির হৃদয়ে গ্রামের স্থান ছিল সবার ওপরে। আজকের দিনে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামের মানুষ জল জীবন সংবাদ এবং গ্রাম সভার আয়োজন করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে শুধুমাত্র জল পৌঁছে দেওয়ায় জল জীবন মিশনের উদ্দেশ্য নয়। এটি বিকেন্দ্রীকরণের একটি বড় আন্দোলন। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন গ্রাম ভিত্তিক মহিলা কেন্দ্রিক। জন অংশীদারিত্ব ও গণ আন্দোলন এর মূল ভিত্তি।’ প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে গান্ধীজির গ্রাম স্বরাজের ভাবনার কথা উল্লেখ করেন যার মূল অর্থই হল আত্মনির্ভরতা। প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘আর তাই গ্রাম স্বরাজকে বাস্তবায়িত করতে আমি সর্বদাই সচেষ্ট।’ এই প্রসঙ্গে তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় গ্রাম স্বরাজের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে খোলা স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত নির্মল গ্রাম, পুরনো পুকুর ও কুয়ো সংরক্ষণের জন্য জল মন্দির অভিযান, গ্রামাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জ্যোতির্গ্রাম, গ্রামে পারস্পরিক আস্থা অর্জনের জন্য তীর্থ গ্রাম, গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জন্য ই-গ্রাম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য সেগুলির পরিকল্পনা করতে এলাকার মানুষকে যুক্ত করেন। পানীয় জলের সংযোগ এবং স্বচ্ছতার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সরাসরি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান পঞ্চায়েতগুলিকে ক্ষমতা এবং সেগুলির কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য নজরদারি চালানো হয়। কেন্দ্রের গ্রাম স্বরাজের আদর্শ উদাহরণ জল জীবন মিশন ও জল সমিতি।

জলের সমস্যা সম্পর্কে ধারণার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সিনেমা, গল্প, কবিতায় গ্রামের মহিলা ও শিশুরা মাইলের পর মাইল হেঁটে জল নিয়ে আসছেন তার বর্ণনা রয়েছে। গ্রামের কথা উঠলেই কারো কারো মনে এই ছবিটাই ভেসে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান কেন খুব কম মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেছেন? প্রতিদিন কেন মানুষকে কোনো নদী বা পুকুরের কাছে যেতে হবে? কেনে জল তাদের কাছে এসে পৌঁছাবে না? তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় দীর্ঘদিন ধরে যারা নীতি প্রণয়ন করে এসেছেন এই দায় তাদের। তাদের নিজেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, জলের গুরুত্ব বোধহয় নীতি নির্ধারকরা আগে উপলব্ধি করতে পারেন নি। তাঁরা মনে হয় এই সব মানুষরা এমন জায়গায় থাকতেন যেখানে প্রচুর জল পাওয়া যায়। গুজরাটের মতো একটি রাজ্য থেকে তিনি এসেছেন যেখানে খরার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জলের প্রতিটি ফোঁটার গুরুত্ব তিনি বোঝেন। আর তাই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মানুষের কাছে নল বাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া এবং জল সংরক্ষণকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশে মাত্র ৩ কোটি বাড়িতে নল বাহিত জলের সংযোগ ছিল। ২০১৯এ জল জীবন মিশন শুরু হওয়ার পর ৫ কোটি বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছেছে। আজ দেশের প্রায় ৮০টি জেলায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে গেছে। উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলিতে আগে যেখানে ৩১ লক্ষ জলের সংযোগ ছিল আজ তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ।

তিনি বলেন গত ৭ দশকে যে কাজ হয়নি মাত্র ২ বছরে তা সম্পন্ন হয়েছে। দেশের যেসব নাগরিক প্রচুর জল সম্পদের মধ্যে রয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন- তাঁরা যেন জল সংরক্ষণে আরও উদ্যোগী হন, তাঁদের অভ্যাস পরিবর্তন করেন।

প্রধানমন্ত্রী দেশের মহিলাদের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন এবং নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আজ প্রত্যেক বাড়ি এবং স্কুলে শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, স্বল্পমূল্যের স্যানিটারি প্যাড, গর্ভাবস্থায় পুষ্টির যোগান দেওয়া ও টিকাকরণের ফলে মাতৃশক্তি শক্তিশালী হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ২ কোটি ৫০ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাড়ি মহিলাদের নামে। উজ্জ্বলা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা ধোঁয়া ছাড়া রান্না করার সুযোগ পাচ্ছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে আত্মনির্ভর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। গত ৭ বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালের আগের ৫ বছরের সঙ্গে পরবর্তী ৭ বছরের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী জানান জাতীয় জীবন জীবিকা মিশনের আওতায় মহিলাদের অংশগ্রহণ ১৩ গুণ বেড়েছে।

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1760490) Visitor Counter : 319