অর্থমন্ত্রক
আয়কর দপ্তর মুম্বাই ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে
Posted On:
18 SEP 2021 12:29PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
আয়কর দপ্তর মুম্বাইয়ে এক বিশিষ্ট অভিনেতার বাড়ি ও কার্যালয় মিলিয়ে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। একইসঙ্গে, লক্ষ্ণৌ-ভিত্তিক একটি পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়েও অভিযান চালানো হয়েছে। দপ্তর মুম্বাই, লক্ষ্ণৌ মিলিয়ে মোট ২৮টি কার্যালয় ও বাড়িতে এই অভিযান চালায়।
মুম্বাইয়ে ওই অভিনেতা ও তাঁর সহযোগীদের বাড়ি ও কার্যালয়ে অভিযান চালানোর সময় আয়কর দপ্তর কর ফাঁকি সম্পর্কিত একাধিক অপরাধমূলক প্রমাণ পেয়েছে। ওই অভিনেতার উদ্দেশ্যই ছিল হিসাব বহির্ভূত আয় ভুয়ো সংস্থার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে দেখানো। এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গেছে ২০টি এরকম ভুয়ো সংস্থার কাছ থেকে ওই অভিনেতা ঋণ সংগ্রহ করেছিলেন। সংস্থাগুলি এটাও স্বীকার করেছে যে নগদের পরিবর্তে চেকের মাধ্যমে অভিনেতাকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল। প্রমাণ পাওয়া গেছে, ঋণের নথিপত্রও সব ভুয়ো বা জাল। আসলে কর ফাঁকি দিতেই এই ধরনের জাল কাগজপত্র বানানো হয়েছিল। তদন্তে আরও জানা গেছে যে, ভুয়ো সংস্থাগুলির কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও সম্পত্তি সংগ্রহে খরচ করা হয়েছে। এইভাবে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে হিসেব মিলেছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, মুম্বাইয়ের এই প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার যে দাতব্য সংস্থা রয়েছে, সেটি গত ১ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত ১৮ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে পেয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ত্রাণ সেবামূলক কাজে প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। বাকি ১৭ লক্ষ টাকা ওই সংস্থার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আজ পর্যন্ত জমা হয়ে আছে। আরও জানা গেছে, দাতব্য ওই সংস্থাটি বিভিন্ন বিদেশি অনুদানদাতার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকার অনুদান পেয়েছে, কিন্তু এই অনুদান এফসিআরএ নিয়মনীতি মেনে গ্রহণ করা হয়নি।
লক্ষ্ণৌ-ভিত্তিক ওই পরিকাঠামো সংস্থার বিভিন্ন কার্যালয়ে আয়কর দপ্তর একসঙ্গে অভিযান চালায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, মুম্বাইয়ের ওই প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা যৌথ উদ্যোগে এই পরিকাঠামো সংস্থাটি গড়ে তুলেছিলেন। সংস্থাটি বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, এই সংস্থাটিও হিসাব বহির্ভূত পন্থা অবলম্বন করে কর ফাঁকি দিয়েছে। লক্ষ্ণৌ-ভিত্তিক ওই সংস্থাটি জয়পুরের আরও একটি পরিকাঠামো নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। এর ফলে কত কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তা নিরূপণের জন্য তদন্ত চলছে।
আয়কর দপ্তর মুম্বাই ও লক্ষ্ণৌতে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ১১টি লকার নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে।
CG/BD/DM/
(Release ID: 1756144)
Visitor Counter : 202