স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের ঘটনা ও পজিটিভ রেট বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন ১০টি রাজ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্র

Posted On: 31 JUL 2021 2:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই, ২০২১

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ আজ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ১০টি রাজ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। সম্প্রতি এই ১০টি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ও পজিটিভ রেট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দেখা গেছে। এই ১০টি রাজ্য হ’ল – কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাডু, ওডিশা, আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মণিপুর। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই রাজ্যগুলিতে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, আজকের বৈঠকে তা পর্যালোচনা করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই ১০টি রাজ্যে দৈনিক-ভিত্তিতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা হয় বাড়ছে অথবা পজিটিভ রেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যালোচনা বৈঠকে ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের মহানির্দেশক ডঃ বলরাম ভার্গব, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন ডায়রেক্টর, রাজ্যগুলির নজরদারি আধিকারিকরা যোগ দেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলায় নিম্নলিখিত রণকৌশলগুলির কথা উল্লেখ করেন –
১) সমস্ত জেলায়, যেখানে গত কয়েক সপ্তাহে পজিটিভ রেট ১০ শতাংশের বেশি থেকেছে, সেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে সংক্রমণ-শৃঙ্খল প্রতিরোধ করা যায়।
২) যে রাজ্যগুলিতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৮০ শতাংশের বেশি, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে রোগীদের হোম আইসোলেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই সঙ্গে, আক্রান্তদের ওপর কড়া নজরদারির প্রয়োজন, যাতে তাঁরা পাড়ায়, নিজের ওয়ার্ডে বা মহল্লায় যত্রতত্র অবাধে ঘুরে বেড়াতে না পারেন।
৩) হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের ওপর কড়া নজর রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজন-সাপেক্ষে তাঁদের জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা যায়।
৪) রাজ্যগুলিকে সেই সমস্ত জেলাগুলিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে, যেখানে পজিটিভ রেট ১০ শতাংশের কম। তবে, এই জেলাগুলি থেকে অন্য জেলায় যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্যগুলিকে টিকাকরণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডোজ সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে অধিক সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়।
৫) কেন্দ্রীয় সরকার শেষ দু’মাসে রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার পিএসএ প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও, রাজ্যগুলি তাদের সরকারি হাসপাতালগুলিতে পিএসএ প্ল্যান্ট স্থাপন করছে, যাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো যায়। একইভাবে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও পিএসএ প্ল্যান্ট স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের মহানির্দেশক ডঃ ভার্গব গত সপ্তাহ থেকেই দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজারে পৌঁছে যাওয়ায় যে কোনও ধরনের উদাসীনতা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। দেশে ৪৬টি জেলায় পজিটিভ রেট ১০ শতাংশের বেশি বলে উল্লেখ করে ডঃ ভার্গব জানান, আরও ৫৩টি জেলায় পজিটিভ রেট ৫-১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রাজ্যগুলিকে জেলাওয়াড়ি সেরো সমীক্ষা চালাতে হবে, যাতে এই ভাইরাসের প্রদুর্ভাব সম্পর্কিত তথ্য জানা যায়। জাতীয় স্তরে সেরো সমীক্ষা পরিচালিত হলেও তাতে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল এসেছে বলে তিনি জানান। ষাটোর্ধ ও ৪৫-৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হার প্রায় ৮০ শতাংশ বলে উল্লেখ করে ডঃ ভার্গব রাজ্যগুলিকে নমুনা পরীক্ষার হার ও পরিধি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
রাজ্যগুলিকে আক্রান্তের সংখ্যা ও পজিটিভ রেট বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে যে সমস্ত এলাকা থেকে আক্রান্তের সর্বাধিক ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে কন্টেনমেন্ট ব্যবস্থা আরও কঠোর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ও সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে পৃথক করতে বলা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায়, বিশেষ করে বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অগ্রগতিতে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে এবং শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবায় নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যগুলিকে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করে রাখতে। CG/BD/SB.....31_JULY_2021.......(608)......(Release ID : 1741012).

CG/BD/SB



(Release ID: 1741085) Visitor Counter : 357