অর্থমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন কোভিড-১৯ অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিবিআইসি-এর প্রয়াসের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ব্যক্ত করেছেন; তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বর্ধিত রাজস্য সংগ্রহ “নিউ নর্মাল” পরিস্থিতির পরিচয় দিয়েছে

Posted On: 01 JUL 2021 7:28PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ০১ জুলাই, ২০২১

 

পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু হয়েছিল ২০১৭ সালের পয়লা জুলাই। এই উপলক্ষে প্রতি বছর পয়লা জুলাই দিনটি জিএসটি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। জিএসটি চালু হওয়ার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর ও শুল্ক পর্ষদ (সিবিআইসি) দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জাতীয় স্তরে সিবিআইসি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে সিবিআইসি-র সমস্ত শাখা সংগঠন অংশ নেয়। যেভাবে গত ৮ মাস ধরে বর্ধিত রাজস্ব সহ জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে, তা আত্মনির্ভর ভারত গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যের প্যাকেজ কর দাতাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে। এদিনের কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ৩১ জন আধিকারিককে পুরষ্কৃত করা হয়। 

জিএসটি দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারীর জেরে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলা সহ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সমস্যা অতিক্রম করা সম্ভবপর হয়েছে। গত ৮ মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বর্ধিত রাজস্ব সংগ্রহ ‘নিউ নর্মাল’ পরিস্থিতির পরিচয় দিয়েছে।

শ্রীমতী সীতারমন জানান, জিএসটি বাস্তবায়নের ফলে দেশ গঠনে কর দাতাদের অবদান বেড়েছে। অতিমারী পরিস্থিতিতে কর দাতাদের সুবিধার্থে দেরি করে কর জমা দেওয়ার জন্য ফি মকুব করা হয়েছে, কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, এমনকি কোভিড-১৯ সহায়তা হিসেবে দুটি আর্থিক প্যাকেজের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পণ্য ও পরিষেবাগুলিতে জিএসটি-র হার হ্রাস করা হয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সিবিআইসি-র ১৮৯ জন কর্মীর প্রয়াণে শোক প্রকাশও করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। 

কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর এক বার্তায় বাণিজ্য ও শিল্প বিশেষত অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের নিরবিচ্ছিন্ন সমর্থন ও সহযোগিতায় সরকার গত চার বছরে ধারাবাহিকভাবে জিএসটি ব্যবস্থাপনায় উন্নতিসাধন করে চলেছে। শ্রী ঠাকুর আরও জানিয়েছেন, জিএসটি এক পরিবারের মতো। কোভিড-১৯ অতিমারীর জেরে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান শ্রী ঠাকুর। 

সিবিআইসি আয়োজিত এদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রী বিবেক দেবরায়-এর এক বার্তা উপস্থাপন করা হয়। তিনি সেই বার্তায় জিএসটি-র জেরে কাজের অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরেন। এদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সিবিআইসি-র চেয়ারম্যান শ্রী এম অজিত কুমার জানিয়েছেন, এই অতিমারী পরিস্থিতিতে কর দাতাদের সুবিধার্থে সিবিআইসি-র কর্মীরা যেভাবে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়।

 

CG/SS/SKD/


(Release ID: 1732087)