মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক
জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শিক্ষামন্ত্রীরা অতিমারী পরিস্থিতিতে গুণমান সম্পন্ন শিক্ষার ধারাবাহিকতা সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন
Posted On:
23 JUN 2021 4:49PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৩শে জুন, ২০২১
ইতালিতে আয়োজিত জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শিক্ষামন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে। কোভিড – ১৯ অতিমারী পরিস্থিতিতে কিভাবে শিক্ষার অভাব ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রগতি সম্ভব, তা নিয়ে মতবিনিয়ম করতেই জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি শিক্ষামন্ত্রীদের এই বৈঠক আয়োজন করা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা এবং গুণমান সুনিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতাগুলি ভাগ করে নেওয়া হয় এই বৈঠকে। ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে, শিক্ষার অভাব, বৈষম্য এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটের সংখ্যা দূর করার বিষয়ে দেশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই শিক্ষানীতিতে সামাজিক ও অর্থনীতিভাবে সুবিধা বঞ্চিত গোষ্ঠী থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীভুক্ত শিশু ও যুব সমাজ বিশেষত মহিলাদের প্রতি ন্যয় সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
শ্রী সঞ্জয় ধোতরে আরো জানান, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল স্তরে সামাজিক এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, বিদ্যালয় ছুট শিশুদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা, দুর্বল শ্রেণীভুক্ত শিক্ষার্থীদের সাহায্য প্রদান, শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুরক্ষা, শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসা, শিশুদের স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে মধ্যহ্নভোজের আয়োজন, মুক্ত ও দূর শিক্ষা কর্মসূচীর সূচনা ইত্যাদি একাধিক পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও তিনি জানান। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অতিমারী পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে – দীক্ষা, স্বয়ম এবং অন্যান্য বেশ কয়েক ই-শিক্ষা প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ১০০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি স্বয়ম প্রভা টিভি চ্যানেল এবং কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমেও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০র আওতায় একটি জাতীয় শিক্ষা প্রযুক্তি ফোরাম গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। কেন্দ্রীয় সরকার, বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থের সমস্যা মোকাবিলায় মনোদর্পণের মতো পরামর্শ পরিষেবা চালু করেছে।
শ্রী ধোতরে বলেন, পড়াশোনার শেষে কর্মক্ষেত্রে সুযোগের পথ মসৃণ করে তুলতে জি২০ সদস্য ভুক্ত দেশগুলির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এতে যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে। এমনকি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশের বিষয়ে উৎসাহ পাবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভারত তার যুব সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা এবং মনোভাবের বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর হলে ২০২২ সালের মধ্যে বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক শিক্ষার আওতায় আসবেন। শ্রী ধোতরে জানান, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে জি২০ দেশগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৈঠকের শেষে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শিক্ষা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীদের ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
CG/SS/SFS
(Release ID: 1729884)
Visitor Counter : 245