বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

বিজ্ঞান প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতাকে দৃঢ় করতে ভারত-ব্রিটেন ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত

Posted On: 07 MAY 2021 10:19AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৭  মে, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মিঃ বরিস জনসন নতুন ও পরিবর্তিত সর্বাঙ্গীন কৌশলগত অংশীদারিত্বের ওপর অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন। তাঁরা আগামী ১০ বছরের জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে উচ্চাকাঙ্খী ভারত-ব্রিটেন রোড ম্যাপ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উভয় নেতা চৌঠা মে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন। বিজ্ঞান, শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন পরিষদের পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে।  

ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে টেলি-যোগাযোগ সংক্রান্ত নতুন সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর, ডিজিটাল ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত ইচ্ছাপত্রের ঘোষণা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত উচ্চস্তরীয় আলোচনা, কোভিড-১৯ এর বিষয়ে দ্রুত গবেষণার জন্য যৌথভাবে বিনিয়োগ, জুনটিক অর্থাৎ প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের দেহে ভাইরাস এসে সংক্রমণ সংক্রান্ত গবেষণায় অংশীদারিত্ব, জলবায়ু ও আবহাওয়া বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য বিনিয়োগ এবং ভারত-ব্রিটেন শিক্ষা ও গবেষণা উদ্যোগ (ইউকেআইইআরআই)নেওয়ার বিষয়ে উভয় নেতা স্বাগত জানিয়েছেন।  

ভারত-ব্রিটেন টিকা অংশীদারিত্বকে সম্প্রসারিত করার বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন। ফলপ্রসু কোভিড-১৯ টিকার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে সক্রিয় অংশীদারিত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে বৈঠকে ব্রিটেনে উদ্ভাবিত, ভারতে প্রস্তুত বিশ্ব জুড়ে বিতরিত টিকার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় নেতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার ও তাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে এবং আন্তর্জাতিক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

দুটি দেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলি হল :   

ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতে মহিলাদের ভূমিকা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো। এরফলে এইসব বিষয়ে মহিলাদের অংশীদারিত্ব সমান হবে। জেন্ডার অ্যাডভান্সমেন্ট ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্সটিটিউশনস  প্রকল্পে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিল্পসংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে  বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনী মানসিকতা গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং ইন্ডিয়া ইনোভেশন কম্পিটেন্সি এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত উন্নত পদ্ধতিগুলি দুটি দেশ ভাগ করে নেবে।

উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্তরে গবেষণা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং বিজ্ঞান সংক্রান্ত পরিকাঠামোর সাহায্যে উভয় দেশ একে অন্যের উন্নতমানের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে সাহায্য করবে। ভারত ও ব্রিটেন স্বাস্থ্য, বৃত্তীয় অর্থনীতি, জলবায়ু, স্বচ্ছ পরিবেশ, নগরোন্নয়ন ও বিশুদ্ধ পরিবেশ, বর্জ্য থেকে সম্পদ আহরণ, উৎপাদন শিল্প, সাইবার প্রযুক্তি, মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণায়  পারস্পরিক অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে উদ্ভাবনমূলক কর্মতৎপরতা এবং গবেষণার প্রয়োগের জন্য  অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হবে। এর ফলে বাণিজ্যিকীকরণ সহ বিভিন্ন কাজে গতি আসবে। শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে দুটি দেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে সাহায্য করতে মেধাবী গবেষক এবং উদ্ভাবকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে, যাতে ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। কৃত্রিম মেধা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনে উভয় দেশ পরস্পরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করবে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যুক্ত উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, শিল্পোদ্যোগী ও নীতি প্রনয়নকারীরা একযোগে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। ফাস্ট ট্র্যাক স্টার্টআপ ফান্ডের মতো বিভিন্ন উন্নয়নমূখী কর্মসূচিকে উৎসাহিত করা হবে। প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবন এবং নতুন উদ্যোগকে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করে জলবায়ু ও পরিবেশ, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রযুক্তির ব্যবহার, শিল্প ক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তি ও কৃষির উপর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। আর এভাবেই ২০৩০ সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব হবে।    


SC/CB/NS



(Release ID: 1716763) Visitor Counter : 293