আইনওবিচারমন্ত্রক

বিচারপরি চন্দ্রচূড় জাজমেন্টস্‌ অ্যান্ড অর্ডারস পোর্টাল এবং ই-ফাইলিং ৩.০ মডিউলের উদ্বোধন করেছেন

प्रविष्टि तिथि: 12 APR 2021 3:50PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ এপ্রিল, ২০২১

 

মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটির চেয়ারপার্সন বিচারপতি ডঃ ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় গত শুক্রবার বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে আদালতে নথিপত্র দাখিল এবং আদালতের অতীতের  বিভিন্ন রায় ও আদেশ অনুসন্ধানের জন্য জাজমেন্টস্‌ অ্যান্ড অর্ডারস নামে একটি পোর্টালের উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে ন্যায়বিচার দপ্তরের সচিব শ্রী বরুণ মিত্র, বিভিন্ন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের মহানির্দেশক ডঃ নীতা ভার্মা সহ সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটির সদস্যরা ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আইনি ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে পুণে-ভিত্তিক ই-আদালত প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত একটি দল এই পোর্টালটি তৈরি করেছে।

দেশে বিভিন্ন হাইকোর্টের রায় ও আদেশ খুব সহজেই এই পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে। এজন্য পোর্টালে গিয়ে আদালতের  রায় ও  আদেশ সম্পর্কিত বিষয়ে কয়েকটি শব্দ লিখে সার্চ বা অনুসন্ধান করতে হবে। এই পোর্টালের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হ’ল –

·         ব্যবহারকারীরা কয়েকটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছ সার্চ অপশনে টাইপ করে আদালতের বিভিন্ন রায় ও আদেশ দেখতে পাবেন।

·         ব্যবহারকারীরা সার্চ অপশনে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত বেঞ্চ, মামলার ধরণ, মামলার নম্বর, বছর, বিচারপতির নাম, আইন, আইনি ধারা, রায়ের তারিখ প্রভৃতি লিখেও যে কোনও মামলার রায় বা অন্যান্য তথ্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোর্টালটি সম্পর্কে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, এতে আজ পর্যন্ত ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মামলার ক্ষেত্রে আদালতের রায়দান ও আদেশ সম্পর্কিত বিবরণ দেওয়া রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন আদালতে ১০ কোটি ৬০ লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য এই পোর্টালে রয়েছে। এছাড়াও, আরও ১ কোটি ৪১ লক্ষেরও বেশি আদালতের রায় পোর্টাল থেকে জানা যাবে। আগ্রহীরা সহজেই আদালতের বিভিন্ন আদেশ ও রায়দান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য এই পোর্টাল থেকেই পেয়ে যাবেন বলে বিচারপতি চন্দ্রচূড় অভিমত প্রকাশ করেন।

পোর্টালটির পাশাপাশি, আদালতের নথিপত্র বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে দাখিল করার জন্য যে ৩.০ মডিউল বা পদ্ধতি শুরু হয়েছে, তারফলে মামলা দাখিল করার জন্য আইনজীবী বা মামলাকারীদের আর আদালত চত্বরে হাজির হতে হবে না। যে কেউ পোর্টালে গিয়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে মামলা সম্পর্কিত নথি জমা করতে পারবেন। এমনকি, আইনজীবীরা নিজের কার্যালয়ে বসে সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে আদালতে নথিপত্র জমা করার জন্য এরকম একটি উদ্যোগকে সফল করে তুলতে ই-কমিটির প্রশংসা করেন বিচারপতি ডঃ চন্দ্রচূড়।

ডঃ চন্দ্রচূড় এই পোর্টালটির সুবিধা সম্পর্কে একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রয়েছেন আগ্রাতে, আইনজীবী থাকেন লক্ষ্ণৌতে এবং মামলাদায়ের করা হচ্ছে গোরক্ষপুর থেকে। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় থাকা সত্ত্বেও ৩.০ মডিউলের সাহায্যে পরস্পরের সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ রাখা সম্ভব। এই পোর্টালটি চালু করার জন্য তিনি ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

 

CG/BD/SB


(रिलीज़ आईडी: 1711208) आगंतुक पटल : 330
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , हिन्दी , Marathi , Punjabi , Tamil , Kannada , Malayalam