স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
ডাঃ হর্ষ বর্ধনের পৌরহিত্যে কোভিড-১৯ এর বিষয়ে মন্ত্রী গোষ্ঠীর ২৪ তম বৈঠক
Posted On:
09 APR 2021 2:31PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০৯ এপ্রিল, ২০২১
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের পৌরহিত্যে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রী গোষ্ঠীর উচ্চ পর্যায়ের ২৪ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরি, জাহাজ চলাচল, বন্দর ও জলপথ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সার ও রসায়ন মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভিনোদ কুমার পল।
বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানে সাফল্যের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৩ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী এবং ৯.৪৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারত “টিকা মৈত্রী” কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা পাঠিয়ে সাহায্য জুগিয়েছে। এর আওতায় ভারত ৮৫টি দেশকে ৬.৪৫ কোটি কোভিড টিকার ডোজ পাঠিয়েছে। এমনকি বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় ২৫টি দেশকে ৩.৫৮ কোটি ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৪টি দেশকে ১.০৪ কোটি টিকার ডোজ অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্স-এর আওতায় ৩৯টি দেশকে ১.৮২ কোটি টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ১৪৯টি জেলায় গত সাত দিনে নতুন করে কোনো কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি গত ১৪ দিনে ৮টি জেলায় নতুন করে কোনো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর খবর মেলেনি। পাশাপাশি গত ২১ দিনে দেশের তিনটি জেলা এবং গত ২৮ দিনে ৬৩ জেলা থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগীর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে মোট পরীক্ষা পরিচালন এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডাঃ বর্ধন জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ কোটি ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার ১০৫টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। এমনকি গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ২০৫টি কোভিড পরীক্ষা পরিচালিত হয়েছে। দেশে এখন ১ হাজার ২৩০টি সরকারি পরীক্ষাগার এবং ১ হাজার ২১৯টি বেসরকারি পরীক্ষাগার কাজ করছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশে হাসপাতাল পরিকাঠামোর উন্নতিসাধন করা হয়েছে। এখন দেশে মোট ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৭৪টি কোভিড বেড সহ ২ হাজার ৮৪টি শুধুমাত্র কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯টি কোভিড হাসপাতাল কেন্দ্র পরিচালিত এবং ১ হাজার ৯৯৫টি কোভিড হাসপাতাল রাজ্য পরিচালিত। মোট কোভিড বেডের মধ্যে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি আইসোলেশন বেড, ৫০ হাজার ৪০৮টি আইসিইউ বেড এবং ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৯৩টি অক্সিজেন সাহায্যকারী বেড রয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার ৪৩টি শুধুমাত্র কোভিড স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫টি কেন্দ্র পরিচালিত এবং ৩ হাজার ৯৫৮টি রাজ্য পরিচালিত। এখানে মোট ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৬টি কোভিড বেড রয়েছে। যার মধ্যে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৬২টি আইসোলেশন বেড, ২৫ হাজার ৪৫৯টি আইসিইউ বেড এবং ১ লক্ষ ১৭৫টি অক্সিজেন সাহায্যকারী বেড রয়েছে। দেশে মোট ১২ হাজার ৬৭৩টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং ৯ হাজার ৩১৩টি কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি কোভিড কেয়ার সেন্টার দিল্লিতেই রয়েছে। সেখানে ৯ হাজার ৪২১টি আইসোলেশন বেড রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল/কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে মোট ভেন্টিলেশন, পিপিই কিট, এন ৯৫ মাস্ক বিতরণ সহ চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা স্ট্র্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) মেনে চলা প্রয়োজন। পাশাপাশি কোভিড রোধে যথাযথ আচরণ প্রত্যেকেরই মেনে চলা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, এই নিয়ম মেনে চললে ভারত খুব শীঘ্রই করোনা মুক্ত হতে পারবে। গতকাল বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে শ্রী মোদী যে নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলির ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
দেশের ১১টি রাজ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন এনসিডিসি-র অধিকর্তা ডাঃ সুজিৎ কুমার সিং। ভারতে ৭ দিনে সংক্রমণে বৃদ্ধির হার ১২.৯৩ শতাংশ। সংক্রমণের নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরেই রয়েছে ভারত। ডাঃ সুজিৎ কুমার সিং বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে আরোগ্যের হার কমে ৯১.২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশে এখন অধিকাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর বয়স ১৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। তবে, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটছে ৬০ বছরের বেশী বয়সীদের মধ্যে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ এবং ছত্তিশগড়ে সংক্রমণের হার ১৪ শতাংশ। ডাঃ সুজিৎ কুমার সিং জানান, দেশে আরটিপিসিআর পরীক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পল বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে টিকাকরণ অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি ভারত সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা মেনে টিকাদানের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও প্রমাণ ভিত্তিক পদ্ধতি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব শ্রী অমিত খারে সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এদিনের বৈঠকে যোগ দেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ আর গঙ্গাখেতকর।
CG/SS/SKD
(Release ID: 1710785)