প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য আয়ুষ্মান ভারত পিএম-জেএওয়াই সেহত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 26 DEC 2020 4:21PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

 

আজ আমার জম্মু-কাশ্মীরের দুজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনার সুযোগ হয়েছে। আমার জন্য এটা শুধুই এটা অভিজ্ঞতা নয়, কখনো কখনো যখন কোনো কাজ করি, সিদ্ধান্ত নিই কিন্তু যাঁদের জন্য নিই যখন তাঁদের মুখ থেকে আনন্দ সূচক কিছু শব্দ শুনতে পাই সেই শব্দগুলি আমার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমার গরীবদের জন্য আরও বেশি করার জন্য, আরও বেশি ছোটার জন্য আপনাদের এই আশীর্বাদ খুব কাজে লাগে আর ঘটনাচক্রে দেখুন দুই ভাই একজন জম্মু আর একজন শ্রীনগরের, একজন ছোট ব্যবসা করেন আর অন্যজন গাড়ি চালান। কিন্তু কঠিন সময়ে এই প্রকল্প তাঁদের জীবনে কত বড় কাজে লেগেছে। আপনাদের কথা শুনে আমার খুব ভালো লেগেছে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলির লাভ যাতে সমাজের শেষ মানুষটির কাছে পৌঁছয়, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষদের কাছে পৌঁছয় এটাই আমাদের সরকারের দায়বদ্ধতা। আজ এই সমারোহে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সহযোগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ জী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ভাই ডঃ হর্ষবর্ধন জী, পিএমও-তে আমার সহ কর্মী রাজ্য মন্ত্রী রূপে কর্মরত ভাই জিতেন্দ্র সিং জী, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী মনোজ সিনহা জী, সংসদে আমার অন্যান্য সহযোগী, জম্মু-কাশ্মীরের জন প্রতিনিধি গণ এবং আমার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

 

আজকের দিনটি জম্মু-কাশ্মীরের জন্য অত্যন্ত ঐতিহাসিক। আজ থেকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যেক নাগরিক আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে উপকৃত হতে চলেছেন। সেহত প্রকল্প- একটি খুব বড় পদক্ষেপ। আর জম্মু-কাশ্মীরকে নিজেদের জনগণের উদ্বোধনের জন্য এই পদক্ষেপ নিতে দেখে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। আর সেজন্য শ্রী মনোজ সিনহা জী এবং তাঁর গোটা টিমকে সরকারের সমস্ত আধিকারিকদের, জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন। এমনিতে আমার গতকালই এই কর্মসূচী করার ইচ্ছে ছিল। গতকাল ২৫ তারিখে অটলজীর জন্মদিনে এই কর্মসূচী সম্ভব হলে খুব ভালো হতো। কিন্তু কিছু ব্যস্ততার কারণে কাল এটা সম্ভব হয়নি, সেজন্য আজকের তারিখ ঠিক করতে হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রতি অটল জীর বিশেষ ভালোবাসা ছিলো। তিনি ইনসানিয়ত, জমহুরিয়ত এবং কাশ্মীরিয়তউদঘোষ নিয়ে আমাদের সবাইকে পরবর্তী কাজের জন্য ক্রমাগত দিকনির্দেশ করে গেছেন। এই তিন মন্ত্র নিয়ে আজ জম্মু-কাশ্মীরে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করে তুলতে এগিয়ে চলেছে।

 

বন্ধুগণ,

এই প্রকল্পের লাভগুলি বিস্তারীতভাবে বলার আগে আজ আপনাদের মাঝে আসার সুযোগ পাওয়ায় আমি বলতে চাইবো যে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে যে স্বতস্ফূর্ততা দেখিয়েছেন তার জন্য অনেক অনেক অনেক অনেক অভিনন্দন। ডিসট্রিক ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন একটি নতুন অধ্যায় লিখেছে। আমি এই নির্বাচনগুলির প্রত্যেক চরণে সতর্ক দৃষ্টি রাখছিলাম। দেখছিলাম এত শীত থাকার পরেও করোনার বাধা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নবীন থেকে শুরু করে বৃদ্ধ ও মহিলারা বুথে পৌঁছে যাচ্ছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যেক ভোটারের চেহারায় আমি উন্নয়নের জন্য, ডেভলপমেন্টের জন্য একটি আশার আলো দেখতে পেয়েছি, উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যেক ভোটারের চোখে আমি আমার অতীতকে পেছনে ফেলে উন্নত ভবিষ্যতের বিশ্বাসও দেখতে পেয়েছি।

 

বন্ধুগণ,

এই নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ গণতন্ত্রের শেকরকে আরও মজবুত করার কাজ করেছে। আর আমি এটাই বলতে চাই যে জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন যেভাবে এই নির্বাচনে পরিচালিত হয়েছে আর সমস্ত দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং সদিচ্ছার সঙ্গে হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার কথা যখন আমি জম্মু-কাশ্মীরবাসীদের কাছে শুনি তখন গণতন্ত্রের শক্তির প্রতি আমার বিশ্বাস আরও শক্তিশালী হয়। আমি এখানকার প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকেও অভিনন্দন জানাই, আপনারে অনেক বড় কাজ করেছেন। আজ আমি মুখোমুখি হলে প্রশাসনের মানুষদের যত প্রশংসাই করি না কেন, শব্দ কম পড়তো এত বড় কাজ আপনারা করেছেন, আপনারা দেশের মধ্যে একটি নতুন বিশ্বাস জাগিয়েছেন আর তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মনোজ জী ও তাঁর সরকারের প্রশাসনের সকলের। ভারতের জন্য এটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।

 

বন্ধুগণ,

জম্মু-কাশ্মীরের এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এক প্রকার মহাত্মা গান্ধীর গ্রাম স্বরাজের স্বপ্ন। এক প্রকার এই নির্বাচনে গান্ধী গ্রাম স্বরাজের স্বপ্ন জয়লাভ করেছে আর দেশে যে পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা আছে তা আজ জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই নতুন দশকে, নতুন যুগে, নতুন নেতৃত্বের আরম্ভ মাত্র। বিগত বছরগুলিতে আমরা জম্মু-কাশ্মীরে গ্রাসরুট ডেমোক্রাসিকে আর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দিন রাত চেষ্টা করেছি। জম্মু-কাশ্মীরের ভাই ও বোনেরা হয়তো জানেন, একটা সময় ছিল আমরা জম্মু-কাশ্মীর সরকারের অঙ্গ ছিলাম। আমাদের উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আমাদের মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু আমরা সেই শাসন ক্ষমতা মহানন্দে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসেছি। যে বিষয় নিয়ে এসেছি আপনারা জানেন তো। আমাদের বিষয় এটাই ছিল পঞ্চায়েতে নির্বাচন করানো, জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামে গ্রামে সমস্ত নাগরিকদের অধিকার প্রদান করা। তাঁদের নিজেদের গ্রামের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তি প্রদান। এই বিষয়ে আমরা সরকার ছেড়ে আপনাদের পাশে পথে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। আর আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে ব্লক স্তরে, পঞ্চায়েত স্তরে কিংবা জেলা স্তরে আপনারা যাঁদেরকে নির্বাচন করেছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই আপনাদের মধ্যেই থাকেন। তাঁরা আপনাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেই নির্বাচন জিতেছেন। তাঁরাও নিজেদের উত্থানে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন এবং আশা আপনাদের স্বপ্ন এবং আশার সঙ্গে সম্পূর্ণ রূপে মিলে গেছে। এই মানুষেরা নিজেদের নামের জোড়ে নয়, কাজের জোড়ে আপনাদের আশির্বাদ অর্জন করেছে আর আজ আপনারা তাঁদেরকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার দিয়েছেন। আজ আপনারা যেই যুবকদের নির্বাচন করেছেন তাঁরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করবে, আপনাদের জন্য কাজ করবে। আর যাঁরা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন আমি তাঁদেরকেও অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আর যাঁরা বিজয়ী হতে পারেন নি, তাঁদেরকেও বললো আপনারা নিরাশ হবেন না, ক্রমাগত জনগণের সেবা করে যান। আজ নয় তো কাল আপনাদের ভাগ্যেও বিজয় আসতে পারে। গণতন্ত্রে এটাই হয় যিনি সুযোগ পান তিনি সেবা করেন। আর যিনি সুযোগ পান না তাঁদের সেবার ফলে কিছু একটা বাকি থাকে আর সেজন্য তাঁদেরকে ক্রমাগত সক্রিয় থাকতে হবে। আপনারা আগামী দিনে নিজের অঞ্চলের পাশাপাশি দেশের জন্য বড় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরের এই নির্বাচনগুলি এটাও দেখায় যে আমাদের দেশের গণতন্ত্র কত মজবুত। কিন্তু আজ আমি দেশের সামনে একটি দুঃখের কথা বলতে চাই, জম্মু-কাশ্মীর ইউনিয়ন টেরিটরি হওয়ার এক বছরের মধ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থার শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করিয়েছে, আর জনগণকে তাঁদের অধিকার দিয়েছে। এখন এই নির্বাচিত মানুষেরা জম্মু-কাশ্মীরের গ্রামে গ্রামে, জেলায় জেলায় ও স্থানীয় ব্লকের ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন। কিন্তু দিল্লিতে কিছু মানুষ সকাল, সন্ধ্যা মোদীকে অভিশাপ দিতে থাকেন, অপশব্দ প্রয়োগ করতে থাকেন। প্রায় প্রতিদিনই আমাকে গণতন্ত্র শেখানোর জন্য নতুন নতুন পাঠক্রমের কথা উল্লেখ করতে থাকেন। আমি আজ তাঁদেরকে একটা আয়না দেখাতে চাই। এই জম্মু-কাশ্মীরকে দেখুন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর এত কম সময়ের মধ্যেই তারা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থাকে স্বীকার করে কাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় এবং অন্যতম প্রধান বিরম্বনা হলো পুদুচেরিতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও পঞ্চায়েত এবং মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন হচ্ছে না আর যাঁরা আমাকে এখানে নিয়মিত গণতন্ত্রের শিক্ষা দেন তাঁদের দল সেখানে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। আপনারা অবাক হবেন সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮-তে এই আদেশ দিয়েছিল কিন্তু সেখানে যে সরকার আছে যাদের গণতন্ত্রে সামান্যতম ভরসা নেই তারা এই বিষটিকে ক্রমাগত এড়িয়ে যাচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ,

পুদুচেরিতে দশকের পর দশক অপেক্ষার পর ২০০৬ সালে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের কার্যকাল ২০১১ সালে শেষ হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দলের কথার সঙ্গে কাজের কতবড় পার্থক্য, গণতন্ত্রকে তাঁরা কতটা গুরুত্ব দেয় এটা এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়। এত বছর পর পুদুচেরিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে দেওয়া হচ্ছিল না।

 

ভাই ও বোনেরা,

কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার চেষ্টা করছে যাতে গ্রামের উন্নয়নে গ্রামের মানুষদের ভূমিকা সবচাইতে বেশি থাকে। পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত দেখা-শোনার জন্য দায়িত্ব এখন কত বেড়েছে। এর দ্বারা জম্মু-কাশ্মীর লাভবান হচ্ছে। এখানকার গ্রামে গ্রামে আজ জুন মাসে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে সড়ক পৌঁছে দেওয়ার জন্য মনোজ জীর প্রশাসন সমস্ত প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য মিশন জম্মু-কাশ্মীরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী ২-৩ বছরে রাজ্যের প্রত্যেক ঘরে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা, উন্নয়নের কাজেও অনেক বড় দ্রুততা আনবে।

 

বন্ধুগণ,

আজ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের উন্নয়ন আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম। মহিলা ক্ষমতায়ণ থেকে শুরু করে নবীনদের জন্য সুযোগ, ‘দলিত, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিতদের কল্যাণের লক্ষ্যে অথবা জনগণের সাংবিধানিক এবং বুনিয়াদি অধিকার, আমাদের সরকার রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। আমাদের সরকার রাজ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আজ পঞ্চায়েতী রাজের মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির আশা এই ইতিবাচক বার্তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আজ আমারা মানুষকে এই বিশ্বাস প্রদানে সফল হয়েছি যে পরিবর্তন সম্ভব। আর এই পরিবর্তন তাদের নির্বাচিত প্রিয় প্রতিনিধিদের সামনে আনতে পারে। তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্র এনে আমরা জণগনের আকাংখাগুলিকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ করে দিচ্ছি। জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব মহান ঐতিহ্য আছে। আর এর অসাধারণ নাগরিকেরা নিজেদের এক্ষেত্রে শক্তিশালী করার পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন। নতুন নতুন পদ্ধতির কথা বলছেন।

 

বন্ধুগণ,

জম্মু-কাশ্মীরের জীবন রেখা ঝিলম নদীতে রবি, বিয়াস এবং শতলুজ নদী মিলিত হওয়ার আগেই অনেক উপনদীও এই নদীতে মিলেছে। মহান সিন্ধু নদী আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং উন্নয়ন যাত্রার সাক্ষী। এভাবে উন্নয়নের বিপ্লবও উপনদী, শাখানদীর মতোই অনেক ধারায় এসে মিলিত হয়। আর তার পর সেটাই নদীতে পরিণত হয়। এই ভাবনা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমাদের সরকার অনেক ছোট ছোট ধারার মতো বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে। প্রত্যেকটার একটাই লক্ষ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরির্তন আনা। আমরা যখন উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে দেশের মা-বোন ও বেটিদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস কানেকশন দিয়েছি, তখন শুধুই ইন্ধন পৌঁছনোর একটি প্রকল্প হিসেবে দেখা উচিত নয়। আমরা এর মাধ্যমে নিজেদের বোন ও মায়েদের ধোঁয়া থেকে মুক্তি থেকে দিয়েছি। গোটা পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষার চেষ্টা করেছি। মহামারীর সময়ে জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ১৮ লক্ষ গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল করা হয়েছে। তেমনি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে ১০ লক্ষেরও বেশি শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য নিছকই শৌচালয় নির্মাণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। শৌচালয়ের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা তো এসেছেই, অনেক রোগকেও রুখে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এখন এই পর্যায়ে আমি আজ জম্মু-কাশ্মীরে আয়ুষ্মান ভারত সেহত স্কিম চালু করা হয়েছে। আপনারা ভাবুন, যখন এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫ লক্ষ টাকার অবধি খরচে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে তখন তাঁদের জীবন কত সহজ হবে। এখন পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত যোজনার লাভ রাজ্যে প্রায় ৬ লক্ষ পরিবার পাচ্ছে। আর এই সেহত প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রায় ২১ লক্ষ পরিবার এর দ্বারা লাভবান হবেন।

 

বন্ধুগণ,

বিগত ২ বছরে দেড় কোটিরও বেশি গরীব আয়ুষ্মান ভারত যোজনা দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ কঠিন সময়েও অনেক স্বস্তি পেয়েছেন। এখানকার প্রায় ১ লক্ষ গরীব রোগী হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুযোগ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে সব চাইতে যে রোগগুলির চিরিৎসা রয়েছে সেগুলি হলো ক্যান্সার, হার্ট এবং অর্থপেডিক সমস্যা। এগুলি এমন রোগ যেগুলির চিকিৎসার খরচ মেটানো যে কোনো গরীবের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। আমরা দেখেছি, কোনো গরীব পরিবার পরিশ্রম করে একটু উঠেছে এসেছে আর মধ্যবিত্তরা আরেকটু এগিয়েছে। যদি পরিবারগুলির কোনো একজন অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সেই পরিবার আবার দারিদ্র সীমার নীচে চলে যায়।

 

ভাই ও বোনেরা,

জম্মু-কাশ্মীরের উপত্যকাগুলিতে বাতাস এত বিশুদ্ধ, বায়ু দূষণ এত কম যে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকে চায় আর আমিও চাই আপনারা সর্বদা সুস্থ থাকুন। কিন্তু কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে আয়ুষ্মান ভারত সেহত স্কিম আপনাদের বন্ধু হয়ে পাশে থাকবে। একথা ভেবে আমি স্বস্তি পাচ্ছি।

 

বন্ধুগণ,

এই প্রকল্প থেকে আর একটি লাভ হবে যার উল্লেখ বার বার করা উচিত। আপনাদের চিকিৎসা শুধুই জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি এবং বেসরকারী হাসপাতালগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই প্রকল্পের অন্তর্গত গোটা দেশের যে হাজার হাজার হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতেও চিকিৎসার সুবিধা আপনারা পাবেন। মনে করুন মুম্বাই গেলেন, আর হঠাৎ প্রয়োজন পড়লো, তাহলে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হলেও আপনারা কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন। আপনারা চেন্নাই গিয়েও একইরকমভাবে নিজেদের চিকিৎসা করাতে পারবেন। কিন্তু আপনার কলকাতায় গেলে একটু সমস্যা হবে কারণ সেখানকার সরকার আয়ুষ্মান যোজনার সঙ্গে যুক্ত নয়। কেউ কেউ এরকম থাকে কী করা যাবে। সারা দেশে এমন ২৪ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে সেহত স্কিমের মাধ্যমে আপনারা চিকিৎসা করাতে পারবেন। এই জন্য কাউকে কোনো কমিশন, কাটমানি দিতে হবে না, কারোর সুপারিশের দরকার নেই, কোনো দুর্নীতির প্রশ্নও ওঠে না। সেহত স্কিমের কার্ড দেখিয়ে আপনারা প্রত্যেক জায়গার চিকিৎসার পরিষেবা পাবেন।

 

বন্ধুগণ,

জম্মু-কাশ্মীর এখন দেশের উন্নয়নের পথে অন্যদের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। করোনা নিয়েও যেভাবে রাজ্যে কাজ হয়েছে তা প্রশংসনীয়। আমাকে বলা হয়েছে যে ৩ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক, ১৪ হাজারেরও বেশি প্যারামেডিকেল স্টাফ, আশাকর্মীরা দিনরাত কাজ করেছেন আর এখনও করছেন। আপনারা অত্যন্ত কম সময়ে রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এভাবেই ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে অনেক বেশি করোনার রোগীদের রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা সফল।

 

ভাই ও বোনেরা,

জম্মু-কাশ্মীর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আজ যতটা লক্ষ্য রাখছে তা আগে কখনো হয়নি। আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে রাজ্যে ১১০০-রও বেশি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৬৮-রও বেশি কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। জন ঔষধি কেন্দ্রগুলিতে অত্যন্ত কম দামে ওষুধ এবং বিনামূল্যে ডায়ালেসিসের পরিষেবার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জম্মু এবং কাশ্মীর ডিভিশনে উভয় স্থানেই দুটি করে ক্যান্সার ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হচ্ছে। দুটি এআইএসএস গড়ে তোলা হচ্ছে। নবীন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল এবং প্যারামেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যেই যেন বেশি সুযোগ পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে নতুন ৭টি মেডিকেল কলেজ মঞ্জুরি পেয়েছে। এর মাধ্যমে এমবিবিএস-এর আসন দ্বিগুণ থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া যে ১৫টি নতুন নার্সিং কলেজ মঞ্জুর করা হয়েছে সেখানে স্থানীয় যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে। তাছাড়া জম্মুতে আইআইটি এবং আইআইএম স্থাপনও এখানকার নবীন প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষার উন্নত সুযোগ তুলে ধরবে। রাজ্যে ক্রীড়া পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য যে প্রকল্প শুরু হয়েছে তাতে এখানকার মেধাবী খেলায়োড়রা ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে সাফল্যের অর্জনের সুবিধা হবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

স্বাস্থ্যের পাশাপাশি অন্যান্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও জম্মু-কাশ্মীর দ্রুত পদক্ষেপ এগিয়ে চলেছে। বিগত ২-৩ বছরে এবিষয়ে কিভাবে দ্রুততা এসেছে তার একটি উন্নত উদাহরণ হলো হাইড্রো পাওয়ার। সাত দশকে জম্মু-কাশ্মীরে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্ষমতা প্রস্তুত হয়েছে। বিগত ২-৩ বছরে এতে তিন হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতা আরও যুক্ত করা হবে। প্রাই মিনিস্টার ডেভলপমেন্ট প্যাকেজের মাধ্যমে চালু প্রকল্পগুলির কাজও এখন দ্রুত গতিতে হচ্ছে। বিশেষ করে যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যের ভাগ্য এবং ভাবমূর্তি দুটোই পরিবর্তিত হতে চলেছে। আমি চিনাব নদীর ওপর নির্মীয়মান উন্নতমানের রেল সেতুর ছবি দেখেছি। আর আজকাল তো সোশাল মিডিয়াতে ভারতের প্রত্যেকেই হয়তো ছবিগুলো দেখেছেন। এই ছবিগুলো দেখে কার মাথা গর্বে উঁচু হবে না। ভারতীয় রেলওয়ে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কাশ্মীর উপত্যকাকে রেল মানচিত্রে নিয়ে আসার জন্য জোরকদমে কাজ করে চলেছে। জম্মু এবং কাশ্মীরে লাইট রেল ট্র্যানজিট মেট্রো নিয়ে কথা এগোচ্ছে। বানিহাল সুরঙ্গটিকে আগামী বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জম্মুতে যে সেমি রিং রোডের কাজ চলছে সেটাও সরকার দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে।

 

বন্ধুগণ,

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে পর্যটন এবং শিল্প উভয়ই শক্তিকালী হয়। জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটনের শক্তি ও সম্ভাবনা সবসময়ই ছিল। যোগাযার ব্যবস্তার যে প্রকল্পগুলি নিয়ে সরকার কাজ করে চলেছে সেগুলির মাধ্যমে জম্মু তো লাভবান হবেই, কাশ্মীরেরও লাভ হবে। কার্পেট থেকে শুরু করে কেসর পর্যন্ত, আপেল থেকে শুরু করে বাসমতি চাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে কী নেই! করোনার ফলে লকডাউনের সময়েও সরকার এদিকে নজর রেখেছে যাতে এখানকার আপেক কৃষকদের ন্যূনতম সমস্যা হয়। বাজারে সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে যাতে পণ্য পৌঁছয়! আমাদের সরকার কয়েক মাস আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপেল কেনার জন্য গত বছরের মতো মার্কেট ইনটারভেনশন স্কিম এবছরও চালু থাকবে। এর মাধ্যমে সরকার দ্বারা আপেল ক্রয় নাভেডের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের থেকে আপেল কেনা হচ্ছে। যে আপেল কেনা হচ্ছে তার মূল্যও ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন আপেল কেনা হয়েছে আর এই ক্রয়ের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের কৃষকদের অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে। আমাদের সরকার নাভেডকে এই কাজের জন্য স্বীকৃত দিয়েছে। তারা ২৫০০ কোটি টাকা সরকারি গ্যারান্টি ব্যবহার করতে পারবেন। আপেল কেনার জন্য আধুনিক মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য পরিবহণের জন্য সরকার ক্রমাগত উন্নতি করছে। আপেলের সংরক্ষণের জন্য সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা অত্যন্ত লাভবান হচ্ছেন। এখানে নতুন কিষাণ উৎপাদন সঙ্ঘ বা এফপিও গড়ে তোলা প্রয়োজন রয়েছে। নতুন কৃষি সংস্কারে জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকা থেকেও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ গড়ে উঠেছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থান এবং স্বরোজগারের সুযোগ পাচ্ছেন।

 

ভাই ও বোনেরা,

আজ জম্মু-কাশ্মীরে যেখানে একদিকে হাজার হাজার সরকারি চাকরি নোটিফাই করা হচ্ছে অন্যদিকে স্বরোজগারের জন্যেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে এখন জম্মু-কাশ্মীরের নবীন ব্যবসায়ীদের সহজে ঋণ পাওয়া শুরু হয়েছে। এতে আমাদের বোনেরা যে স্বনির্ভ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তাঁরা অধিক সংখ্যায় এগিয়ে আসছেন।

 

বন্ধুগণ,

আগে দেশের জন্য সবচাইতে বেশি যে প্রকল্প তৈরি হতো, যে আইন তৈরি হতো সেখানে লেখা থাকতো অ্যাকসেপ্ট জে অ্যান্ড কেএখন এটা ইতিহাসের বিষয় হয়ে উঠেছে। শান্তি এবং উন্নয়নের পথে কাশ্মীর এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে নতুন নতুন শিল্পের পথ প্রশস্ত হয়েছে, আর জম্মু-কাশ্মীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের নিজেদের অবদান রাখছে। আগে ১৭০টিরও বেশি কেন্দ্রীয় আইন যা আগে প্রযোজ্য ছিল না, এখন প্রশাসনের অঙ্গ। জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের জন্য এটা অধিকারের সুযোগ গড়ে তুলছে।

 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তের পর প্রথমবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে গরীব সাধারণ মানুষরা সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছেন। প্রথমবার পাহাড়ি মানুষেরা সংরক্ষণ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সীমানায় বসবাসকারী লোকেরাও ৪ শতাংশ সংরক্ষণের লাভ আমাদের সরকার দিয়েছে। দ্রুত আইন চালু হওয়ায় জনগণ নতুন অধিকার পেয়েছেন। এর ফলে গুজ্জর বকরওয়াল তপশিলি জনজাতি এবং পারম্পরিক রূপে অরণ্যের আশেপাশে বসবাসকারীরা অরণ্যের মাটি ব্যবহার করার আইনি অধিকার পেয়েছেন। এখন কারো সঙ্গেই বৈষম্যের কোনো অবকাশ নেই। জম্মু-কাশ্মীরে অনেক দশক ধরে বসবাসকারী বন্ধুদের ডোমিসাইশংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। একেই তো বলা যেতে পারে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস।

 

বন্ধুগণ,

সীমান্তের ওপার থেকে যে গোলাগুলি হয় তা সর্বদাই চিন্তার বিষয়। এই গোলাগুলির সমস্যা সমাধানের জন্য সীমান্তে বাংকার বানানোর কাজ দ্রুতগতিতে করা হচ্ছে। সাম্বা, পুঞ্চ, জম্মু, কঠুয়া এবং রাজৌরির মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে বড় সংখ্যায় বাংকার গড়ে তোলা হচ্ছে। আর নাগরিক সুরক্ষার জন্য সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে যাঁরা অনেক দশক ধরে শাসন করেছেন তাঁরা একটা বড় ভুল হলো তাঁরা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নয়নকে সম্পূর্ণ রূপে আনদেখা করেছেন। তাদের সরকারের এই মানসিকতা জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলির মানুষকে পশ্চাদপদ থাকতে বাধ্য করেছেন। জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলি একটি সম্মানজনক জীবন যাত্রার প্রয়োজনগুলি, উন্নয়নের প্রয়োজনগুলি এখানকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয়নি যতটা প্রয়োজন ছিলো। এই মানসিকতা কখনো দেশের উন্নয়নের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না। আমাদের দেশে এধরণের নেতিবাচক ভাবনার কোনো জায়গা নেই। সীমান্তের কাছেও না দূরেও না, আমাদের সরকারের দায়বদ্ধতা হলো দেশের কোনো প্রান্তই উন্নয়নের ধারা থেকে বঞ্চিত থাকবে না। এক্ষেত্রে ভারতের জনগণের ঐক্য এবং অক্ষণ্ডতা শক্তিশালী হবে।

 

বন্ধুগণ,

দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রে উন্নয়ন, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য আমাদের নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। আরেকবার আমি শ্রী মনোজ সিনহা জী এবং তাঁর টিমকে অভিনন্দন জানাই। যখন আমি একটি আগে মনোজ জীর ভাষণ শুনছিলাম, তাঁর কাজের তালিকা শুনছিলাম আর জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, যে দ্রুত গতিতে এই কাজগুলি হচ্ছে। গোটা দেশে একটি নতুন বিশ্বাস, নতুন আশা জেগে উঠবে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকরা অনেক দশক ধরে যে কাজ অসম্পূর্ণ ছিল তা মনোজ জী এবং বর্তমান টিমের মাধ্যমে অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই হবে। এটা আমার পূর্ণ বিশ্বাস। আরেকবার আপনাদের সবাইকে সেহত প্রকল্পের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। মাতা বৈষ্ণোদেবী এবং বাবা অমরনাথের কৃপায় আমাদের সকলের ওপর বজায় থাকবে, এই আশা রেখেই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

***

 

 

CG/SB/SKD



(Release ID: 1683941) Visitor Counter : 232