নীতিআয়োগ

নীতি আয়োগ 'ভিশন ২০৩৫ : ভারতে জনস্বাস্থ্যের নজরদারি ব্যবস্থা’ প্রকাশ করেছে

Posted On: 14 DEC 2020 1:28PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

 

‘ভিশন ২০৩৫ : ভারতে জনস্বাস্থ্যের নজরদারি ব্যবস্থা' - নীতি আয়োগ আজ এই বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এই শ্বেতপত্রে -

. ভারতের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার নজরদারিকে আরও সক্রিয় এবং সর্বস্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।

. নাগরিক-বান্ধব জনস্বাস্থ্য নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য একটি উন্নত ব্যবস্থাপনায় সুরক্ষিত থাকবে।

. কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তথ্যের আদান-প্রদান সংক্রান্ত উন্নত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।

. ভারত আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত আপৎকালীন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব কুমার, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভাগের সচিব ডঃ বিনোদ কুমার পাল, কার্যনির্বাহী আধিকারিক শ্রী অমিতাভ কান্ত এবং অতিরিক্ত সচিব ডঃ রাকেশ কারওয়াল এই শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করেছেন।

এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নজরদারি ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিন তথ্য সংক্রান্ত রেকর্ডগুলি নজরদারির পাশাপাশি, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে প্রাথমিক এবং তার পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারী আমাদেরকে মানবজাতি-পশুপাখি-পরিবেশের মধ্যে যোগাযোগের ফলে যেসব নতুন নতুন অসুখের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলির বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ এনে দিয়েছে। সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙতে প্রতিটি ক্ষেত্রে এই যোগাযোগের কারণ চিহ্নিত করা অত্যন্ত জরুরি যার মাধ্যমে একটি সক্রিয় নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। এই নথির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এটি নাগরিক-বান্ধব জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে যেখানে ব্যক্তিগত পর্যায়ে, সম্প্রদায়গত ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার অথবা বিভিন্ন পরীক্ষাগারের সঙ্গে যুক্ত সকল রোগীর বিষয়ে সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে। 

এই শ্বেতপত্রটি ২০৩৫ সালে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নজরদারির ক্ষেত্রে একটি ত্রিস্তরীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত ব্যবস্থাকে যুক্ত করা হবে। এছাড়াও, রেফারেল নেটওয়ার্ক এবং পরীক্ষাগারগুলির দক্ষতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি, কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান সংক্রান্ত একটি স্বাধীন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে যেখানে বিভিন্ন তথ্যের বিশ্লেষণ, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য এবং ডেটা সায়েন্সকে নতুনভাবে কাজে লাগানো হবে যাতে প্রয়োজনীয় তথ্যের যথাযথ প্রচার করা সম্ভব হয়। এর ফলে, ভারত জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রথম সারিতে উঠে আসবে।

শ্বেতপত্রটি দেখতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-

https://niti.gov.in/sites/default/files/2020-12/PHS_13_dec_web.pdf

 

***

 

CG/CB/DM


(Release ID: 1680660) Visitor Counter : 389