স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯এর বিষয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২১তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন ডাঃ হর্ষ বর্ধন

Posted On: 13 OCT 2020 2:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

 

 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯এর বিষয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২১তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরি, জাহাজ চলাচল মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখলাল মান্ডভিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এবং নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য বিনোদ কে পল। 

    বৈঠকের শুরুতেই ডাঃ হর্ষ বর্ধন যেসমস্ত কোভিড যোদ্ধারা বহুমাস ধরে মহামারীর বিরুদ্ধে অবিচলভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান। ভারতে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য পরিষেবা গড়ে তোলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বৈঠকে তাঁর সহকর্মীদের অবহিত করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভারতে এ পর্যন্ত ৬২ লক্ষ ২৭ হাজার ২৯৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে আরোগ্যের হার ৮৬.৭৮ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমনকি ভারতে মৃত্যুর হার ১.৫৩ শতাংশ যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। আগে যেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ দিনে দ্বিগুন হচ্ছিল এখন তা বেড়ে ৭৪.৯ দিন হয়েছে। এক্ষেত্রেও সাফল্য এসেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে ১ হাজার ৯২৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। প্রত্যেকদিন ১০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষার ক্ষমতা রয়েছে ভারতে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং মন্ত্রী গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন আসন্ন উৎসবের মরশুমে ও শীতের সময় এই রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তাই এইসময় সঠিকভাবে কোভিড-১৯ নিয়মাবলী মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই উৎসব উদযাপনের সময় রোগের বিস্তার রোধে সঠিকভাবে কোভিড-১৯ নিয়ম ও আচরণ মেনে চলা এবং দেশব্যাপি এক জন আন্দোলন রূপ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ।

    এনসিডিসি-র অধিকর্তা ডঃ সুজিত কে সিং বৈঠকে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে দেখান যে সরকারি নীতি গ্রহণের ফলে ভারতে কিভাবে মহামারীর ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনে সফলতা এসেছে। তিনি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর পরিসংখ্যান, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা প্রয়োগের ফলে ভারতে কিভাবে এই সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা গেছে তা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করে দেখান। তিনি বলেন, ভারতে যেখানে আরোগ্যের হার ৮৬.৩৬ শতাংশ দাদরা ও নগর হাভেলী ও দমন ও দিউ-তে আরোগ্যের হার ৯৬.২৫ শতাংশ। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সুস্থতার হার ৯৩.৯৮ শতাংশ এবং বিহারে সুস্থতার হার ৯৩.৮৯ শতাংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কেরালায় আরোগ্যের হার ৬৬.৩১ শতাংশ যা সবচেয়ে কম। কারণ সম্প্রতি এই রাজ্যে উৎসবের কারণে বহু সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

    এই মরশুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ভেক্টর জনিত রোগগুলির ধরণ উল্লেখ করে তিনি জানান, সারা দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই ইনফ্লুয়েঞ্জা মরশুমে কোভিড-১৯এর সঙ্গে এটির পার্থক্য  শনাক্ত করার  পরীক্ষা  ও নজরদারি ব্যবস্থাপনা উন্নতির জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    আসন্ন শীত এবং উৎসবের মরশুমকে সামনে রেখে এই সংক্রমণ প্রতিরোধের নতুন সমস্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমিত শহরগুলিতে সংক্রমণ প্রশমনে যথাযথভাবে কোভিড-১৯ নিয়ম মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে অবহিত করে তুলতে ধারাবাহিক প্রচারাভিযানের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। 

    বৈঠকে উপস্থিত নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ বিনোদ কুমার পল বিশ্বজুড়ে কোভিড প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রিগোষ্ঠীকে অবহিত করেন। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র পরামর্শের ভিত্তিতে প্রতিষেধক তৈরির প্রাথমিক রূপরেখা সম্পর্কে  একটি বিস্তৃত গবেষণার বিষয়ে উপস্থাপন করেন তিনি। 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার জন্য সাধারণ মানুষকে যথাযথভাবে কোভিড-১৯ নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে আরও করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী ভূষণ বলেন, কেরল, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেক্ষেত্রে আরও সতর্কভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। 

    অসমারিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের সচিব, বস্ত্র মন্ত্রকের সচিব, আইসিএমআর-এর মহানির্দেশক, অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের আওতায় ডিজিসিএ সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে  এই বৈঠকে যোগ দেন।

 

 

CG/SS /NS



(Release ID: 1664016) Visitor Counter : 161