পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

সরকারের সুপারিশ করা আটটির সব কটি সমুদ্র সৈকতই আন্তর্জাতিক ব্লু ফ্ল্যাগ শংসাপত্র পেয়েছে; ভারতের জন্য যা গর্বেরঃ শ্রী প্রকাশ জাভরেকর

Posted On: 11 OCT 2020 5:34PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ১১ই অক্টোবর, ২০২০

 

 

ইউএনইপি, ইউএন ডব্লুটিও, এফইই, আইইউসিএন-এর মত সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক বিচারকমন্ডলী ভারতের ৫টি রাজ্যে ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আটটি সমুদ্র সৈকত “ব্লু ফ্ল্যাগ”-এর স্বীকৃতি দিয়েছে, যা দেশের জন্য গৌরবের এক মুহূর্ত।

এই সমুদ্র সৈকতগুলি হল, গুজরাটের দ্বারকার শিবরাজপুর, দিউ-এর ঘোঘলা, কর্ণাটকের কাসারকোড় ও পাড়ুবিদরি, কেরলের কাপ্পাড়, অন্ধ্রপ্রদেশের রুশিকোন্ডা, ওডিশার পুরির গোল্ডেন এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাধানগর।

আন্তর্জাতিক বিচারক মন্ডলী, উপকুল অঞ্চলের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য “আন্তর্জাতিক সেরা উদ্যোগ”-এর তৃতীয় পুরষ্কার ভারতকে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, একবারেই আটটি সমুদ্র সৈকতের ‘ব্লু ফ্ল্যাগ’–এর খেতাব পাওয়া,  এর আগে কোন দেশ পায়নি। এক ট্যুইট বার্তায় শ্রী জাভড়েকর বলেছেন, সংরক্ষণ ও স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য ভারতের  প্রয়াস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতই প্রথম দেশ যে মাত্র দুই বছরে এই স্বীকৃতি পেল।

এশিয়ার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর বেশ কয়েকটি সমুদ্র সৈকত এর আগে এই খ্যাতি পেলেও তার জন্য সময় লেগেছে ৫ থেকে ৬ বছর।

এর ফলে বিশ্বের  ৫০টি ব্লু ফ্ল্যাগ দেশের মধ্যে ভারত জায়গা করে নিয়েছে। পরবর্তী ৫ বছরে আরো ১০০টি সমুদ্র সৈকত যাতে এই শিরোপা অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ভারত ২০২০ সালে এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রথম উদ্যোগী হয়। প্রথম পর্যায়ে উপকূলবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১টি করে সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন করার জন্য বলা হয়। এর পর ২০২০-র পর্যটন মরশুমের জন্য ৮টি সমুদ্র সৈকতের নাম পাঠান হয়।

সুসংহত উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক যে উদ্যোগ নিয়েছে, তারই ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচী হল বিমস ౼ অর্থাৎ বিচ এনভায়রনমেন্ট  অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস । এর মূল উদ্দেশ হল ডেনমার্কের দ্য ফাউন্ডেশন অফ এনভায়রনমেন্ট এডুকেশনের ব্লু ফ্ল্যাগ শিরোপা অর্জনের জন্য যে সব মান নির্ধারিত রয়েছে, সেই মানে  পৌঁছান।

বিমস কর্মসূচীর মাধ্যমে এর জন্য যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলি  হলঃ- সমুদ্র সৈকতের ও উপকূলীয় অঞ্চলের দূষণ হ্রাস, সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য স্থিতিশীল উন্নয়নে উৎসাহদান, সমুদ্র উপকূলের বাস্তুতন্ত্র ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা, সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে ওই অঞ্চলে যারা যাবেন তাঁদের জন্য পরিচ্ছন্ন জায়গার ব্যবস্থা করা, যেখানে স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা বজায় থাকবে। প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রেখে সৈকতে পর্যটনের বিকাশ ঘটানোও এই কর্মসূচীর আরেকটি উদ্দেশ।   

 

CG/CB


(Release ID: 1663618) Visitor Counter : 437