পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা স্টকহোম সমঝোতা অনুসারে নথিভুক্ত ৭টি স্থায়ী কার্বন সংক্রান্ত দূষিত পদার্থের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

Posted On: 07 OCT 2020 5:26PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৭ অক্টোবর, ২০২০

 

       

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে স্টকহোম সমঝোতা অনুসারে নথিভুক্ত ৭টি স্থায়ী কার্বন সংক্রান্ত দূষিত পদার্থকে (পারসিসটেন্ট অরগ্যানিক পলিউট্যান্ট-পিওপিএস) নিষিদ্ধ করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা এই রাসায়নিক পদার্থগুলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব বিদেশমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর ওপর দিয়েছে।  

 স্টকহোম সমঝোতা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য করা হয়েছে। এখানে পরিবেশ, জীব-জগতের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ- (পিওপিএস)-কে চিহ্নিত করা হয়। ক্যান্সার, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ জনিত নানা অসুখ, শিশুদের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটানো এবং স্বাভাবিকভাবে শিশুর জন্মদানের মতো সমস্যা এইসব পিওপিএস-এর থেকে হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে এই পিওপিএস-গুলিকে তালিকাভুক্ত করা হয়।  

১৯৮৬ সালের পরিবেশ (সুরক্ষা) আইনের ধারা অনুসারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক স্থায়ী কার্বন সংক্রান্ত দূষিত পদার্থের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়মাবলীর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পরিবেশ রক্ষা এবং মানুষের স্বাস্থ্য সংকটের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য এগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যে ৭টি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি, বিক্রি, ব্যবহার, আমদানি ও রপ্তনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেগুলি হল- ১) ক্লোরডেকন, ২)হেক্সাব্রোমোবাইফেনাইল, ৩)হেক্সাব্রোমোডাইফেনাইল ইথার ও হেক্টাব্রোমোডাইফেনাইল ইথার (বাণিজ্যিক অক্টা-বিডিই), ৪) টেট্রাব্রোমোডাইফেনাইল ইথার এবং পেন্টাব্রোমোডাইফেনাইল ইথার (বাণিজ্যিকভাবে পেন্টা-বিডিই), ৫) পেন্টাক্লোরোবেঞ্জিন, ৬) হেক্সাব্রোমোসাইক্লোডোডেকেন, ৭) হেক্সাক্লোরোবিউটাডাইন। এগুলি স্টকহোম সমঝোতায় পিওপিএস তালিকাভুক্ত।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই পিওপিএস-গুলির বিষয়ে সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে ভারতের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়ে অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়। এর মাধ্যমে এটিও প্রকাশ হয় যে অনিচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন এবং সেগুলিকে সংগ্রহ করার বিষয়ে জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিবেশগত বিভিন্ন সুবিধার জন্য আর্থিক সম্পদ ভারত ব্যবহার করার সুযোগ পাবে।   

২০০৬এর ১৩ই জানুয়ারি সংবিধানের ২৫এর ৪ ধারা অনুসারে ভারত স্টকহোম সমঝোতাকে অনুমতি দিয়েছে। তবে রাষ্ট্রসংঘের নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের অনুমোদন, গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে।

 

 

CG/CB


(Release ID: 1662580) Visitor Counter : 177