কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড: জিতেন্দ্র সিংহ বলেছেন,কোভিড-19 পরিস্থিতি সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় গম সংগ্রহের পরিমান ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে


ড:সিংহ জানিয়েছেন,গম,ডাল এবং তৈল বীজ সংগ্রহ কেন্দ্রগুলি,এই অতিমারী পরিস্থিতিতেও তিন গুন বেশি শস্য সংগ্রহের সাক্ষী হয়েছে

Posted On: 07 OCT 2020 4:02PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লী,৭ই অক্টোবর ২০২০

 


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড: জিতেন্দ্র সিংহ আজ বলেছেন,কোভিড-19 অতিমারী পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার অধিক শস্য সংগ্রহ নিশ্চিত করেছে। এই সঙ্কটকালে কৃষক সমাজের প্রয়োজন মেটাতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার বদ্ধপরিকর।

বসহলি এবং রিয়াশি অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকার কৃষক,পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায়,ড:সিংহ বলেন,কোভিড-19 অতিমারী ও তার দরুন লকডাউন চলা সত্ত্বেও ,গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৫ শতাংশ বেশি গম সংগ্রহ করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রায় ৩৯০ লক্ষ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ড:সিংহ বলেন,দেশজুড়ে লকডাউন থাকলেও কেন্দ্র সরকার কৃষকের দোর গোড়ায় পৌছে গম সংগ্রহ করার কাজ নিশ্চিত করেছে।

কৃষিক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের বিষয়টি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সরকার শস্য সংগ্রহ করতে এবং কৃষক কল্যাণে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটকালে গম সংগ্রহ কেন্দ্র গুলি তিন গুন বেশি গম সংগ্রহ করেছে,অপরদিকে ডাল এবং তৈলবীজ সংগ্রহ কেন্দ্র গুলিও প্রায় তিন গুন বেশি শস্য সংগ্রহ করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড:জিতেন্দ্র সিংহ জানান,বিগত ছয় বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষকদের সুবিধার্থে একাধিক উদ্ভাবনী সংস্কার করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্ড,পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনা,কিষান কার্ড, নিমের আস্তরণ দেওয়া ইউরিয়া,ক্ষুদ্র জলসেচ ব্যবস্থা, ই-মান্ডি গঠন এবং এফ পি ও গঠন প্রভৃতি। তিনি জোর দিয়ে বলেন,ন্যুনতম সহায়ক মূল্য(এমএসপি) এবং এপিএমসি,বহাল থাকবে। কোনো মূল্যেই এই গুলিকে সরানো হবেনা।

তিনি বলেন কিছু কায়েমি স্বার্থের মানুষ এই পদ্ধতি গুলি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এই গুজব যে বা যারা ছড়াচ্ছে,তাদের প্রতিটি স্তরে প্রতিবাদ করতে হবে। ড: সিংহ বলেন,গত ছয় বছরে মোদী সরকার কৃষকদের কাছ থেকে শস্য সংগ্রহের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি করে চলেছে।

নতুন কৃষি আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আইন কৃষক সমাজকে নিরাপত্তা দেবে ও সুরক্ষিত রাখবে। কৃষিক্ষেত্রের উন্নতিতে এই আইন নতুন জানলা উন্মোচিত করবে। কৃষিক্ষেত্রে এই আইন নতুন বিপ্লব এনে দেবে। নতুন প্রজন্মের কাছে এটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

ড:সিংহ বলেন,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে কৃষি সংস্কার এনেছেন,তাতে কৃষকদের শস্যের মূল্য নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকবে এবং কার কাছে কৃষি পণ্য বিক্রি করবে তা নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকবে। তিনি পরিষ্কার ভাবে জানান,দুপক্ষের মধ্যে যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হবে তা কৃষকদের নির্ধারিত মূল্য দেওয়ার গ্যারেন্টি হিসাবে বিবেচিত হবে।নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের জমি বিক্রি,লিজ দেওয়া বা বন্ধক রাখা যাবেনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ,সমস্ত কার্য্যকর্তাদের কাছে,প্রতিটি কৃষকের কাছে গিয়ে কৃষি আইনের উপকারিতা বোঝানোর জন্য আবেদন করেন। কৃষকদের বিরুদ্ধে কি ধরনের চক্রান্ত চলছে তাও তিনি তুলে ধরার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী,কৃষকদের কল্যাণে যে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষকদের তার সুযোগ ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।

আজকের এই আলোচনা চক্রে বাসহলি থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মোহন সিংহ,রামচাঁদ,অজিত সিংহ,নরেশ বাসত্রা,যশবিন্দর সিংহ,কেওয়াল সিংহ,বলবিন্দর সিংহ,তেজিন্দর সিংহ,যুবকরন সিংহ,সুষমা জাময়াল,শাঙ্কের সিংহ,নামান শর্মা প্রমুখ।

অপরদিকে রিযাশি থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন পদম দেব সিংহ,মুন্সি রাম,মহিন্দার কুমার,শাঙ্কের শর্মা প্রমুখ।


CG/PPM


(Release ID: 1662432) Visitor Counter : 196