পর্যটনমন্ত্রক

গান্ধী জন্ম বার্ষিকীর স্মরণে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের দেখো আপনা দেশ ওয়েবিনার সিরিজের আওতায় আয়োজিত “চড়কা পে চর্চা” আলোচনাসভা

Posted On: 03 OCT 2020 1:14PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ০৩ অক্টোবর, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী স্মরণে দেখো আপনা দেশ ওয়েবিনার সিরিজের আওতায় শুক্রবার “চড়কা পে চর্চা” শীর্ষক ওয়েব ভিত্তিক আলোচনাসভার আয়োজন করে। স্পিনিং হুইল এবং খাদির উপর বিশেষ নজর দিয়ে “চড়কা পে চর্চা” শীর্ষক এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। খাদি দেশের স্বরাজ এবং সবলম্বনের এক বিশেষ পরিচিতি। বিশ্বের ইতিহাসে ভারতের ঔপনেবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিদেশী কাপড় বর্জন করে হস্ত নির্মিত খদ্দর এবং চড়কায় কাটা দেশীয় সুতোয় তৈরি কাপড় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে চড়কা অথবা স্পিনিং হুইল এক সংবেদনশীলতার প্রতীক। মহাত্মা গান্ধীর আত্মনির্ভর গ্রাম ও চড়কায় কাটা সুতোর তৈরি কাপড়ের ব্যবহারের দৃষ্টিভঙ্গি এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এদিনের এই ওয়েবিনারে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে খাদি যে এক অন্য মাত্রা জুগিয়েছিল তা তুলে ধরা হয় এবং সমসাময়িক যুগে খাদির পোষাক  ব্যবহার ও বাপুর বাণী প্রচারের ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর এনআইএফটি-র ভূমিকা অন্বেষণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরুর এনআইএফটি-র অধিকর্তা শ্রীমতী সুশান্ত থমাস, সংস্থার ডিজাইন স্পেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শ্রী প্রশান্ত কোচুভিত্তিল চেরিয়ান উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আইনজীবী হিসেবে গান্ধীজী যখন তিন ধরণের স্যুট ব্যবহার করতেন, সে সম্পর্কে অনুষ্ঠানের শুরুতে  পর্যালোচনা করা হয়। ১৯১৫ সালে তিনি যখন ভারতে ফিরে আসেন তখন গান্ধীজী সাধারণ গুজরাতি পোষাক পরিধান শুরু করেন, সে সম্পর্কেও এদিনের ওয়েবিনারে অলোকপাত করা হয়। এর পর ১৯১৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে “মহাত্মা” নামে অভিহিত করেছিলেন। তার পর থেকে গান্ধীজী পশ্চিমী পোষাক বর্জন করে খাদির ব্যবহার শুরু করেন, যা আমৃত্যু পর্যন্ত তাঁর সঙ্গী ছিল।সে বিষয়টিও এদিনের ওয়েবিনারে তুলে ধরা হয়।

১৯১৮ সালে মহাত্মা গান্ধী ভারতে গ্রামে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের জীবনধারণের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ত্রাণ কর্মসূচী হিসেবে খাদির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। মূলত বয়ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা আনার জন্যই এই আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিটি গ্রামে সুতো তৈরির জন্য কাঁচা মালের চাষ, পুরুষ এবং মহিলাদের সুতো পাকানোতে যুক্ত করা ও সেই সুতোয় তৈরি কাপড় ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ  করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গান্ধীজীর হাত ধরে খাদি আন্দোলন এক অন্য মাত্রা পায়। গান্ধীজী যখন ১৯২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের জন্য মাদুরাই সফরে যান, তখন পশ্চিম ম্যাসিস্ট্রিটে কিছুদিন ছিলেন। তখন তিনি দেখেন যে, দিনমজুর শ্রমিকেরা কোনোরকম জামা পরা ছাড়াই কাজ করছেন। তাঁদের এই দুর্দশায় গভীরভাবে ছাপ ফেলে গান্ধীজীর মনে। তখন তিনি তাঁর পোষাক সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র চার মিটার খাদির ধুতি পরে রাত কাটান। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি কামরাজস্ট্রিটের এক জনসভার ভাষণে খাদির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। ১৯৩৪-৩৫ সালে তিনি সাবলম্বি গ্রাম গঠনের উদ্দেশে দরিদ্র ব্যক্তিদের সাহাযার্থে বিশেষ উদ্যোগ নেন। ১৯৪২-৪৩ সালে দেশব্যাপী এই খাদির পোষাক ব্যবহার সম্পর্কে চিন্তাভাবনার প্রসারে শ্রমিক এবং গ্রাম সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এইভাবে খাদি কেবল শুধুমাত্র একটি কাপড়ের টুকরো নয়, জীবনযাত্রায় পরিণত হয়। 

অনুষ্ঠানে শ্রী চেরিয়ান খাদির যাত্রা পথের কাহিনী তুলে ধরেন। ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে খাদির উৎপত্তি হয়েছিল সরবমতী আশ্রমে। এই আশ্রমের সমস্ত বাসিন্দাদের ভারতীয় সুতো থেকে তৈরি হাতে বোনা কাপড় পরতে হতো। এমন কি গান্ধীজী শুধুমাত্র হাতে বোনা ধুতি পরতেন। 

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অতিরিক্ত মহানির্দেশক রুপিন্দর ব্রার বলেন, খাদির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ে শুধুমাত্র গর্ব করা উচিত নয়,খাদির পোষাক কিনে ও তা পরিধান করে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের উৎসাহ প্রদান করা উচিত। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত কর্মসূচীর আওতায় ভারতের সমৃদ্ধশালী বৈচিত্রকে তুলে ধরতেই দেখে আপনা দেশ সিরিজের এই বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি জানান ।

দেখো আপনা দেশের ওয়েবিনার সিরিজগুলি এখন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ইউটিউব চ্যালেন  https://www.youtube.com/channel/UCbzIbBmMvtvH7d6Zo_ZEHDA/featured এবং মন্ত্রকের অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ।

 

 

CG/SS/SKD



(Release ID: 1661407) Visitor Counter : 822