গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
গ্রামাঞ্চলে নতুন উদ্যোগ কর্মসূচী গ্রামে শিল্পোদ্যোগী তৈরি করছে
Posted On:
05 SEP 2020 1:07PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা – ন্যাশন্যাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন (ডিএওয়াই – এনআরএলএম) এর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে নতুন উদ্যোগ কর্মসূচী (স্টার্ট আপ ভিলেজ এন্টারপ্রেনিয়ারশিপ প্রোগ্রাম – এসভিইপি)কে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র মানুষদের দারিদ্র মোচনে সাহায্য করতে তারা যাতে নতুন উদ্যোগ গড়ে তুলতে পারেন এবং সেই নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট আপ যত দিন না পর্যন্ত স্থিতাবস্থায় পৌঁছাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত সাহায্য করা এই কর্মসূচীর উদ্দেশ্য। এসভিইপি, স্বনির্ভরতার সুযোগকে গড়ে তোলার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
এসভিইপি-র তিনটি স্তম্ভ রয়েছে – আর্থিক ব্যবস্থাপনা, নতুন উদ্যোগকে উৎসাহ দান এবং দক্ষতা গড়ে তোলা। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে কমিউনিটি রিসোর্স পার্সন – এন্টারপ্রাইজ প্রমোশন (সিআরপি – ইপি) –কে তৈরি করা হয়। এই ব্যক্তি গ্রামাঞ্চলে শিল্পোদ্যোগকে সাহায্য করে। এসভিইপি-র আর একটি বিশেষত্ব হল এই কর্মসূচীর মাধ্যমে ব্লকস্তরে সম্পদকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়, যার মাধ্যমে সিআরপি – ইপি, এসভিইপি-র ঋণ সংক্রান্ত আবেদনগুলি বিবেচনা করেন। ব্লক স্তরের এই কেন্দ্রগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে।
এই কেন্দ্রের সদস্যরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পান। যার সাহায্যে সিআরপি – ইপি-দের তৈরি করা হয়। এর জন্য তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ২০২০র আগষ্ট পর্যন্ত দেশের ২৩টি রাজ্যের ১৫৩টি ব্লকে এসভিইপি-র মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ শুরু করার ক্ষেত্রে মূলধনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় ২০০০ প্রশিক্ষিত সিআরপি – ইপি, ১ লক্ষ শিল্পোদ্যোগীকে সাহায্য করছেন।
এসভিইপি-র বিষয়ে ২০১৯এর সেপ্টেম্বরে কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া একটি পর্যালোচনা করেছিল। এই পর্যালোচনা থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন ব্লকের ৮২ শতাংশ শিল্পোদ্যোগী, তপশিলী জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত। ৭৫ শতাংশ এধরণের শিল্পোদ্যোগ, মহিলারা পরিচালনা করেন। তাদের গড়পড়তা মাসিক আয়౼ উৎপাদন শিল্পের ক্ষেত্রে ৩৯০০০ থেকে ৪৭৮০০ টাকার মধ্যে, পরিষেবার ক্ষেত্রে ৪১৭০০ টাকা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৩৬০০০ টাকা।
এসভিইপি, ব্যক্তি বিশেষ এবং গোষ্ঠীবদ্ধ ২ রকমের উদ্যোগেই সাহায্য করে। কোভিড – ১৯ মহামারীর সময় মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা গ্রামাঞ্চলে বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা মাস্ক, সুরক্ষা সংক্রান্ত কিট, স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ডওয়াশ তৈরি করেছেন। এগুলিকে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিলি – বন্টন করা হয়েছে। ১৪ই আগষ্টের হিসেব অনুযায়ী দেশের ৩ লক্ষ ১৮৪১৩টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা এই পণ্যগুলি উৎপাদন করেছেন। ২৯টি রাজ্যের মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ২৩ কোটি ৭ লক্ষ ফেসমাস্ক, ১ লক্ষ ২০০০ লিটার হ্যান্ডওয়াশ এবং ৪ লক্ষ ৭৯০০০ লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করেছেন। যার বাজারমূল্য ৯০৩ কোটি টাকা। লকডাউনের সময়ে দেশে বেশিরভাগ ব্যবসা – বাণিজ্য থেমে গেলেও গ্রামাঞ্চলের এইসব মহিলারা প্রত্যেকে প্রায় ২৯০০০ টাকার মতো রোজগার করেছেন। কোনো কোনো মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠী কমিউনিটি কিচেন পরিচালনা করেছেন। যেখান থেকে তাঁরা ৫ কোটি ৭২ লক্ষেরও বেশি মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
কয়েকজন উল্লেখযোগ্য মহিলা শিল্পোদ্যোগীর মধ্যে রয়েছেন, বিহারের শ্রীমতী সারদা দেবী, মহারাষ্ট্রের শ্রীমতী ভাগ্যশ্রী লোন্ধে এবং উত্তরপ্রদেশের শ্রীমতী পুনম। শ্রীমতী সারদা দেবী, বুদ্ধগয়ার খাজাওয়াতি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৩০ দিনে ১৮৫৬৫টি মাস্ক তৈরি করে রেকর্ড গড়েছেন। শ্রীমতী ভাগ্যশ্রী লোন্ধে, বার্শিতালুকার বাসিন্দা। তিনি মশলাপাতি, আচার তৈরি করেন। গ্রামের কৃষকদের থেকে সব্জি সংগ্রহ করে, সেগুলিকে গ্রাহকদের কাছে লকডাউনের সময় তার সংস্থা পৌঁছে দিয়েছে। নাজিবাবাদের বাসিন্দা শ্রীমতী পুনম, বিয়ের পর ৫৪ দিনের সিআরপি – ইপি প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে ৪০টি সংস্থাকে ব্যবসা চালানোর বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
এসভিইপি-র শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী, হাতের কাজ, ঘরে তৈরি আচার, মশলাপাতি, পাট এবং উলের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করেন। তারা এগুলি মূলত স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন ।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1651687)
Visitor Counter : 397