স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
সংক্রমণ শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার কমাতে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় হবার পরামর্শ কেন্দ্রর
যে ৫টি রাজ্যের ১৫টি জেলায় সংক্রমণের হার এবং সংক্রমিতদের মৃত্যুর ঘটনা বেশী, সেখানে কোভিড নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক
Posted On:
04 SEP 2020 6:58PM by PIB Kolkata
নতুনদিল্লি, ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজীব ভূষণ আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অন্ধ্র প্রদেশ, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, তামিল নাডু ও উত্তর প্রদেশ౼ এই পাঁচটি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ওই রাজ্যগুলির অন্তর্গত চিত্তুর, প্রকাশম, মাইসুরু, বেঙ্গালুরু(নগর), বল্লারি, কোপ্পাল, দক্ষিণ কান্নডা, দেভানগিরি , লুধিয়ানা, পাতিয়ালা, চেন্নাই, কোয়েমবাতুর, সালেম, লক্ষনৌ, এবং কানপুর (নগর) ౼ এই ১৫টি জেলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে গত চার সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ এবং সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার উর্ধমুখী। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিবরা ছাড়াও জেলা কালেকটর, পৌরসভার কমিশনার, সহ উর্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সচিব সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির নমুনা পরীক্ষা করা, সংক্রমণ, সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার, কন্টেনমেন্ট এলাকার ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা সহ নানা বিষয়ের সার্বিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। ওই ১৫টি জেলায় প্রতিরোধের নানা উদ্যোগ, সংক্রমিতদের শনাক্তকরণ, তাঁদের সংস্পর্শে যারা আসবেন, তাঁদের প্রতি নজর রাখা সহ আগামী এক মাসের পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
জেলাগুলিতে আরটি-পিসিআর এবং র্যা পিড আন্টিজেন টেস্ট, আন্টিজেন টেস্টে যাঁদের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে, তাঁদের পুণরায় টেস্ট, নমুনা পরীক্ষাগার, হোম আইসোলেশন, হাসপাতালে রোগী ভর্তি, আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা সহ অন্যান্য সব বিষয় নিয়ে তথ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যগুলিকে যে বিষয়গুলিতে ব্যবস্থা নেবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছেঃ-
1. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাড়ি বাড়ি সংক্রমিতদের শনাক্তকরনের মধ্য দিয়ে সংক্রমণের প্রসার সীমাবদ্ধ করে তাকে আটকানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
2. ওই জেলাগুলিতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার হার বৃদ্ধি করে সংক্রমিতদের দ্রুত শনাক্তকরণ, হটস্পট ও ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
3. যারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন, তাঁদের নিয়মিত খোঁজ নেওয়া, যদি কারো সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
4. যাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন, বিশেষত যারা নানা জটিল আসুখে ভুগছেন এবং প্রবীন নাগরিকরা সংক্রমিত হলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
5. হাসপাতালে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসবেন, তাঁদের জন্য যথাযথ সংক্রমণ প্রতিরোধী ব্যবস্থা করা।
6. এই মহামারীর প্রতিরোধে জেলা কালেকটর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যথযযথ পরিকল্পনা করে সেগুলির বিষয়ে নজরদারী চালাবেন।
CG/CB
(Release ID: 1651477)
Visitor Counter : 189