পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক

বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উদযাপন উপলক্ষে ওয়েবিনার

प्रविष्टि तिथि: 10 AUG 2020 3:09PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ অগাস্ট, ২০২০

 



কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উপলক্ষে আজ এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এই ওয়েবিনারের মূল বিষয় ছিল আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে জৈব জ্বালানি। চিরাচরিত জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানি হিসাবে জীবাশ্ম বহির্ভূত জ্বালানির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১০ই অগাস্ট বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়। ২০১৫ থেকে মন্ত্রক বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উদযাপন করে আসছে।


ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত গঠনের অঙ্গ হিসাবে জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলির সাযুজ্য রয়েছে। সেই অনুসারে, এবারের জৈব জ্বালানি দিবসের মূল বিষয় স্থির করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে এবারের বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উদযাপন ওয়েবিনারের মাধ্যমে আয়োজন করা হচ্ছে।


উল্লেখ করা যেতে পারে, স্যর রুডলফ ডিজেল ১৮৯৩ সালে চীনে বাদামের তেল ব্যবহার করে যন্ত্র চালানোর পরীক্ষায় যে সাফল্য পেয়েছিলেন, তাঁকে সম্মান জানাতে বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। তাঁর ঐ গবেষণাধর্মী পরীক্ষা-নিরীক্ষা আগামী শতাব্দীতে জৈব জ্বালানির পরিবর্তে শাকসব্জি থেকে নিষ্কাশিত তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে, তা ইঙ্গিত দিয়েছিল। এই উপলক্ষে মন্ত্রকের সচিব শ্রী তরুণ কাপুর বলেন, ভারত এক বৃহৎ কৃষি-ভিত্তিক অর্থনীতি হওয়ার দরুণ দেশে বিরাট পরিমাণ কৃষিজাত অবশিষ্ট পড়ে থাকে। তাই, এই কৃষির অবশিষ্টাংশ কাজে লাগিয়ে দেশে জৈব জ্বালানি উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, জৈব জ্বালানির ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, এগুলি হ’ল – ইথানল, জৈব ডিজেল এবং জৈব গ্যাস। ‘আমরা যদি এই ৩টি বিষয় কাজে লাগাতে পারি, তা হলে আমরা শীঘ্রই অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস আমদানি থেকে অনেকাংশে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবো’, বলে শ্রী কাপুর অভিমত প্রকাশ করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি উপযুক্ত প্রযুক্তি, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তহবিল যোগান দেওয়ার কথা বলেন।


জৈব জ্বালানির একাধিক সুবিধা রয়েছে, যেমন – আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমায়, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে, কৃষকদের অতিরিক্ত উপার্জনে সহায়ক হয় এবং কর্মসংস্থান তৈরি করে। এই বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সাল থেকে জৈব জ্বালানির মিশ্রণে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে – ইথানলের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, তেল বিপণন সংস্থাগুলির জন্য জৈব জ্বালানি সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ, ১৯৫১ সালের ইন্ডাস্ট্রি আইনের একাধিক ধারায় সংশোধন, দীর্ঘমেয়াদী-ভিত্তিতে ইথানল সংগ্রহ নীতি, ইথানল মিশ্রণ ক্ষমতা বাড়ানো প্রভৃতি। ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচির আওতায় তেল বিপণন সংস্থাগুলি ২০১৯ – এর পয়লা ডিসেম্বর থেকে ২০২০’র তেসরা অগাস্ট পর্যন্ত ১১৩.০৯ কোটি লিটার জৈব জ্বালানি সংগ্রহ করেছে। একইভাবে, তেল বিপণন সংস্থাগুলি জৈব ডিজেল মিশ্রণ কর্মসূচির আওতায় জৈব ডিজেল সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৫-১৬’র ১.১ কোটি লিটার থেকে বাড়িয়ে ২০১৯-২০’তে ১০.৬ কোটি লিটার করেছে।

 

 


CG/BD/SB


(रिलीज़ आईडी: 1644868) आगंतुक पटल : 691
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Manipuri , Punjabi , Tamil , Telugu