মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ ভারতীয় প্রতিবেদন-ডিজিটাল শিক্ষা জুন ২০২০ এর সূচনা করেছেন

Posted On: 28 JUL 2020 6:34PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৮ জুলাই, ২০২০

 

 


    কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ আজ 'ভারতীয় প্রতিবেদন-ডিজিটাল শিক্ষা জুন ২০২০'এর সূচনা করেছেন। শ্রী পোখরিয়াল বলেছেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, রাজ্যগুলির শিক্ষা দপ্তর এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রয়াস ও তাদের গৃহিত উদ্ভাবনী পদ্ধতির বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে । বাড়ি থেকে  বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং শিক্ষাদানে সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে এই প্রতিবেদন। তিনি শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আহ্বান জানান। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ও বিদ্যালয়গুলির শিক্ষার সুবিধার্থে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগগুলি সম্পর্কে তথ্য এই প্রতিবেদনের তুলে ধরা হয়েছে।


    প্রাক প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলিতে ডিজিটাল শিক্ষা সার্বজনীন করার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে গুণমান সম্পন্ন ডিজিটাল শিক্ষা এক নতুন গুরুত্ব লাভ করেছে। তাই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও গবেষকদের নিয়ে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দীক্ষা প্ল্যাটফর্ম,স্বয়ংপ্রভা টিভি চ্যানেল, অনলাইন মক কোর্স, রেডিওর মাধ্যমে 'শিক্ষাবানী'র মতো একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি অন্যভাবে সক্ষম দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের জন্য  বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষামূলক সম্প্রচার, ই-শিক্ষাদান পোর্টাল, ওয়েবিনার, চ্যাট গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলির সঙ্গে যৌথভাবে ডিজিটাল শিক্ষাদানের একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


    এই প্রতিবেদনে ডিজিটাল শিক্ষার বিষয়ে  প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে, বিদ্যালয় শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা বিভাগের সচিব শ্রীমতি অনিতা কারওয়ালের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ডিজিটাল শিক্ষা বিভাগ।তবে তা তৈরি করার আগে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।


    শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল, গুগল মিট এবং স্কাইপের মতো একাধিক সামাজিক মাধ্যমকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দূরদর্শন এবং তার আঞ্চলিক চ্যানেলগুলি, আকাশবাণী ও ই-লার্নিং পোর্টালের মাধ্যমেও ডিজিটাল শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


    রাজ্য সরকারগুলি নিজস্ব উদ্যোগে এই ডিজিটাল শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রাজস্থানে স্মাইল (সোস্যাল মিডিয়া ইন্টারফেস ফর লার্নিং এনগেজমেন্ট)এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে। জম্মুতে 'প্রোজেক্ট হোম ক্লাস'এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে বিহারে পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘উন্নয়ন’এর মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেরল সরকারের নিজস্ব শিক্ষামূলক টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছে। ছত্তিশগড়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে  পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেঘালয়ে 'ই-স্কলার' পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষকদের বিনামূল্যে অনলাইন পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তুলতে তেলেঙ্গানায় অনলাইন পাঠক্রম চালু করা হয়েছে। কিছু কিছু রাজ্যে উদ্ভাবনীমূলক মোবাইল অ্যাপ এবং পোর্টালও চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেক রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করে হোয়োটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়েছে। ওড়িশায় হোয়াটসঅ্যাপ ভিত্তিক ডিজিটাল শিক্ষা কর্মসূচী চালু করা হয়েছে। এমনকি পাঞ্জাব, পদুচেরিতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ‘প্রেরণা কি ই-পাঠশালা’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এটি মূলত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। হিমাচলপ্রদেশে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। এমনকটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘হাম কিসিসে কম নেহি- মেরা ঘর মেরা পাঠশালা’ শীর্ষক প্রচারাভিযানও চলছে।  এমনকি দূরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে ইন্টারনেটের সমস্যা রয়েছে এবং রেডিও ও টিভির ব্যবহার সীমিত সেখানে উদ্ভাবনী মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি টোলফ্রি কল সেন্টার, টোলফ্রি ভিডিও কল সেন্টার চালু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা দানের জন্য টোলফ্রি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ যেখানে অত্যন্ত খারাপ সেইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরজন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি শিক্ষার্থীদের বাড়ির  দোরগোড়ায় পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরজন্য বিনামূল্যে ল্যাপটপ, ট্যাব বিতরণ করেছে সরকার।


  ডিজিটাল শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষাদানের মাধ্যমে আগামী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মানসিকভাবে সুস্বাস্থ্যের জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে শিক্ষার সঙ্কট নিরসনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


    এই প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন নিম্নলিখিত লিঙ্কে
https://mhrd.gov.in/sites/upload_files/mhrd/files/India_Report_Digital_Education_0.pdf

 

 


CG/SS/NS



(Release ID: 1641946) Visitor Counter : 257