কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

কোভিড মহামারীর সময়ে যেসব সরকারি কর্মী অবসর নিয়েছেন তাঁদের নিয়মিত পেনশনের পেমেন্ট অর্ডার না হওয়া পর্যন্ত 'প্রভিশনাল' পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে : ডঃ জিতেন্দ্র সিং

Posted On: 27 JUL 2020 6:35PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২০

 




কোভিড-১৯ মহামারীর সময় যে সমস্ত সরকারি কর্মী অবসর নিচ্ছেন, তাঁদের নিয়মিত পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) ইস্যু এবং দপ্তরের অন্যান্য নিয়মবিধি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত  তাঁরা ‘প্রভিশনাল’ পেনশন পাবেন।

কেন্দ্রীয় কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পেনশন দপ্তরের আধুনিকীকরণের কাজ করা হয়েছে। কর্মীরা যেন তাঁদের অবসর গ্রহণের পর কোন বিলম্ব ছাড়াই পেনশন পান, তা নিশ্চিত করতে পিপিও দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় পেনশন দপ্তর একটি পোর্টাল তৈরি করেছে। এর ফলে, যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের অবসরের সময়সীমা এগিয়ে আসছে, তাঁরা তাঁদের পেনশনের কাগজের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য এই পোর্টাল থেকে জানতে পারবেন।

তবে, কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষিতে ডঃ সিং জানিয়েছেন, এই সময়ে যে সমস্ত কর্মী অবসর নিয়েছেন, তাঁরা কেউ কেউ হয়তো পিপিও পাননি। সরকারের পেনশনভোগী ও প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের সিসিএফ (পেনশন রুলস) অনুসারে নিয়মিত পেনশন দিতে দেরী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় তাঁদের ‘প্রভিশনাল’ পেনশন এবং ‘প্রভিশনাল’ গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পেনশন দপ্তরের সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রক কোন কর্মচারী অবসর গ্রহণের পর তাঁকে ছয় মাস এই ‘প্রভিশনাল’ পেনশন দেবে। ব্যতিক্রমী সময়সীমা এক বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। কোন কর্মচারী যদি স্বাভাবিক নিয়মে অবসর না নেন অর্থাৎ, তিনি যদি স্বেচ্ছাবসর অথবা এফআর ৫৬ ধারায় অবসর নেন, তাহলে তাঁর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

ডঃ সিং আরও জানিয়েছেন, মহামারী এবং লকডাউনের কারণে সরকারি কর্মচারীরা সদর দপ্তরে তাঁদের পেনশনের ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন। সার্ভিস বুক সহ ক্লেইম ফর্মের কাগজ সংশ্লিষ্ট পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দপ্তরে অনেক সময় জমা দিতে সমস্যা হচ্ছে - বিশেষ করে, দুটি দপ্তর যদি ভিন্ন শহরে হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে যাঁরা কর্মরত, তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত বদলি হতে হয় এবং এঁদের ক্ষেত্রে সদর দপ্তর ও পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস-এর দপ্তর আলাদা শহরে হয়ে থাকে।

দপ্তর আরেকটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য সব দপ্তরকে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কর্মচারীদের প্রাপ্য সুদ যাতে তাঁদের তহবিলে জমা পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অবসর গ্রহণের দু’বছর আগে থেকে শুরু করতে হবে।

 

 


CG/CB/DM



(Release ID: 1641676) Visitor Counter : 265