উত্তর-পূর্বাঞ্চলেরউন্নয়নসংক্রান্তমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী শ্রীমতী হরসিমরাত কাউর বাদল অনলাইনে মিজোরামের জোরাম মেগা ফুড পার্কের উদ্বোধন করেছেন


ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন এই অঞ্চলের কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করতে এবং যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান বাড়াতে এই ফুড পার্ক সাহায্য করবে

Posted On: 20 JUL 2020 3:46PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২০ জুলাই, ২০২০

 



কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণশিল্পমন্ত্রী শ্রীমতী হরসিমরাত কাউর বাদল আজ মিজোরামের কোলাসিব জেলার খামরাং গ্রামে জোরাম মেগা ফুড পার্কটি অনলাইনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। ৫৫ একর জমির ওপর বিস্তৃত এই ফুড পার্কটি করতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। এর ফলে এখানে ২৫ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন এবং ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই ফুড পার্কের উদ্বোধনকে এই অঞ্চলের নতুন যুগের সূচনা বলে উল্লেখ করে শ্রীমতী বাদল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প সাহায্য করবে। তাঁর মন্ত্রক ১ হাজার কোটি টাকার ৮৮টি প্রকল্প উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সাতটি মিজোরামে। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে ৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন এবং ৫০ হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে।



অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথির ভাষণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত  প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, গত ছয় বছর ধরে এই অঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এর ফলে এখানে কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে এবং এই অঞ্চলে জনসাধারণের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। শ্রী সিং বলেন, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এই অঞ্চলকেও সমমানে নিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি ২০১৭—র ডিসেম্বরে মিজোরামে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তুইরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করেছেন। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিকিম এবং ত্রিপুরার পর মিজোরাম তৃতীয় বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। মোদী সরকার সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নে দায়বদ্ধ। এই অঞ্চলের ছোট ছোট রাজ্যগুলি থেকে দেশের বাকি অংশের অনেক কিছু শেখার আছে ౼বিশেষ করে, এখানকার বৈচিত্র্যময় এবং বিবিধ সংস্কৃতি দেশের জন্য সম্পদ।   



জোরাম মেগা ফুড পার্কের উদ্বোধনের বিষয়ে ডঃ সিং বলেছেন, কৃষকরা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন। তাঁদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে - কারণ এখন থেকে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা কৃষকদের আর বঞ্চিত করতে পারবে না। কোন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প না থাকায় এই অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ ফল নষ্ট হয়ে যায়। ফুড পার্কের মাধ্যমে এই অঞ্চলের  ফল থেকে  জুস এবং প্যাকেটজাত ফল দেশের বড় বড় শহরগুলিতে বিক্রি হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের কাছে জৈব গন্তব্য হয়ে ওঠার পুরো সম্ভাবনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রয়েছে। এর মুল কারণ,  এই অঞ্চলের কৃষি ও উদ্যানপালনের বিশেষত্ব। তিনি জানান, সিকিম ইতিমধ্যেই নিজেকে জৈব রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।   



মিজোরামের ৯৬ শতাংশ সাক্ষরতার হারের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে ডঃ সিং বলেছেন, কেরলের পর ভারতে এই রাজ্যে সাক্ষরতার হার সবথেকে বেশি। এখানকার জনসাধারণের শৃঙ্খলাপরায়ণতার কারণে রাজ্য থেকে জঙ্গিবাদ এবং ড্রাগের নেশা দূর হয়েছে। ধর্মীয় সংগঠন ও সুশীল সমাজ একযোগে কাজ করায় এটি সম্ভব হয়েছে। তৃতীয় দফায় লকডাউন পর্যন্ত মিজোরামে কোন করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে, কিছু পরিযায়ী শ্রমিক আসায় রাজ্যে কয়েকটি সংক্রমণের খবর মিলেছে। ডঃ সিং আশা করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিপুল প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদের সাহায্যে কোভিড পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চল সারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে।



ডঃ সিং আরও জানান, এই ফুড পার্ক ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছাকাছি  হওয়ায় এখানে পণ্য পরিবহণের কোন সমস্যা থাকবে না। বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী, মশলাপাতি, ফলমূল ও শাকসব্জি সংরক্ষণে এই অঞ্চলকে ফুড পার্কটি দিশা দেখাবে।



খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলি জানান, গত ছ’বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৭টি মেগা ফুড পার্ককে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি পার্ক কাজ শুরু করেছে।



মিজোরামের মুখ্যসচিব ডঃ শ্রী লালুনমাওইয়া চুয়াউঙ্গো, মিজোরামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ডঃ আর লালথাংগিয়ানা, মিজোরামের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শ্রী আর লালজিরলিয়ানা, লোকসভার সাংসদ শ্রী সি লালরোসাংগা সহ রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 

 


CG/CB/DM



(Release ID: 1639998) Visitor Counter : 230