আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

শ্রী অর্জুন মুন্ডা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতীয় উপজাতিদের তৈরি অলঙ্কার এবং ট্রাইফেডের নতুন ওয়েবসাইটের সূচনা করেছেন

Posted On: 28 JUN 2020 2:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৮ জুন, ২০২০

 

 


    বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমাদের দেশে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সমাজের সর্বস্তরে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে এর প্রভাব পড়েছে। তাই উপজাতি কারিগরদের সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের আওতাধীন ট্রাইফেড একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাদের জীবন-জীবিকার উন্নতিসাধনে এগিয়েও এসেছে । কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রাইফেড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ট্রাইফেড আদিবাসীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাইফেড বনজ উৎপাদিত পণ্য, হস্তচালিত তাঁত দ্বারা উৎপাদিত সামগ্রী এবং হস্তশিল্পের বাণিজ্যিকীকরণে উদ্যোগ নিয়েছে। ‘ট্রাইফেড ওয়ারিয়ার্স’রা উপজাতিদের তৈরি করা এইসব পণ্য সামগ্রীকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। উপজাতিদের জীবন জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, অনলাইনে যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ উপজাতিদের তৈরি করা সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারেন এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ চালাতে পারেন তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজাতিদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে। এরজন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি আন্তর্জাতিক মানের ই-প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।


    ট্রাইফেডকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে এবং ‘লোকাল ফর ভোকাল’ বা 'স্থানীয়দের পক্ষে ভোকাল থাকুন' এই লক্ষ্যপূরণেই এদিন ট্রাইফেড ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। এই ওয়েবিনারে ২০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি  অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে ট্রাইফেডের চেয়ারম্যান শ্রী রমেশ চন্দ্র মিনা সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।


    অনুষ্ঠানের ভাষণে শ্রী মুন্ডা আরও বলেন, সারা বিশ্ব এখন অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজাতি কারিগর ও উপজাতি মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে ট্রাইফেড ওয়ারিয়ার্স এবং মন্ত্রকের কর্মকর্তারা যে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপজাতি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ণ এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। উপজাতি সম্প্রদায়কে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মন্ত্রক এবং ট্রাইফেড ওয়ারিয়ার্স উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে বলেও শ্রী মুন্ডা জানান।


    কোভিড-১৯এর মধ্যে  উপজাতি সম্প্রদায় মানুষের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, নগদ-হীন লেনদেনের বিষয়ে উৎসাহ দান করেছিল। ১ হাজার ২০৫টি বন ধন কেন্দ্র পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত এই বন ধন কেন্দ্রগুলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন-জীবিকা মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন  করেছে। উপজাতি সম্প্রদায়ের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল, পেটিএম-এর মতো বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে। এখানে উপজাতিদের শিল্পকর্ম যেমন- ডোকরা, মৃৎশিল্প, বিভিন্ন ধরণের হাতে আঁকা ছবি, অলঙ্কার, ধাতব টুকরো দিয়ে তৈরি সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। ই-মার্কেট প্ল্যাটফর্মের আওতায় প্রায় ৫ লক্ষ উপজাতি কারিগরকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 



CG/SS/NS



(Release ID: 1635056) Visitor Counter : 282