স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

দিল্লিতে কোভিড ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রের সহায়তা

Posted On: 27 JUN 2020 11:01AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৭শে জুন, ২০২০

 

 


কেন্দ্র, কোভিড – ১৯ মোকাবিলায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সবরকমের সহায়তা দিয়ে আসছে। কেন্দ্র, একইভাবে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতেও সবধরণের সাহায্য করছে। 

ভারতীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ – আইসিএমআর) দিল্লির ১২টি পরীক্ষাগারে এপর্যন্ত ৪,৭০,০০০ রিয়েলটাইম পিসিআর-এর পরীক্ষা করার কিট সরবরাহ করেছে। এছাড়াও ১,৫৭,০০০ আরএনএ সংগ্রহকারী কিট ২, ৮৪,০০০ ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম এবং লালারসের নমুনা সংগ্রহের সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইসিএমআর, দিল্লি সরকারকে ৫০,০০০ অ্যান্টিজেন ভিত্তিক দ্রুত পরীক্ষা করার কিট সরবরাহ করেছে। এগুলি সবই বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি) কোভিড – ১৯ এর নজরদারি এবং এই মহামারীর মোকাবিলায় বিভিন্ন কৌশলগত সাহায্যের জন্য দিল্লি সরকারের সব উদ্যোগকে সহায়তা করছে। মহামারি শুরুর সময় থেকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে এবং কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলিতে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়া সংক্রমিতের সংস্পর্শে কেউ এলে তাকে শনাক্তকরণ, বিভিন্ন তথ্যের মূল্যায়ন এবং দিল্লি সরকারের কোনো উদ্যোগে ঘাটতি থাকলে তা সমাধানে সাহায্য করা হচ্ছে। এনসিডিসি, দিল্লি সরকারের পরীক্ষাগারের কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দিয়েছে। 

এনসিডিসি, বিভিন্ন এলাকায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। এই দলের সদস্যরা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। দিল্লির কোভিড মোকাবিলা পরিকল্পনার জন্য জেলাস্তরে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা হয়েছে। সেরো পদ্ধতির প্রয়োগ এবং তার মূল্যায়ণের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এনসিডিসি আগামী ১০ই জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে সেরোলজিক্যাল সমীক্ষার কাজ চালাবে। অ্যান্টিবডির উপস্থিতি খোঁজার জন্য ২০,০০০ জনের থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

দিল্লিতে ছাতারপুর এলাকায় রাধাসোয়ামী সৎসঙ্গ বিয়াসে ১০,০০০ শয্যার সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মী পাওয়া যায়, সেই জন্য কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশবাহিনী ও ভারত–তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০০০ বেডে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। 

প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, ১০০০ শয্যার নিউ গ্রীণফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করেছে। এখানে সেনাবাহিনী থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে কাজ করবেন। নতুন দিল্লির এইমস হাসপাতালের সঙ্গে রেফারেল ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি করা হবে – যেখানে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ও আইসিইউএর ব্যবস্থা থাকবে।

কেন্দ্র, ১১,১১,০০০ এন৯৫ মাস্ক, ৬,৮১,০০০ পিপিই কিট, ৪৪ লক্ষ ৮০ হাজার হাইড্রোক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৪২৫টি ভেন্টিলেটর দিল্লিতে সরবরাহ করেছে। দিল্লিতে ৩৪টি কোভিড নির্ধারিত হাসপাতাল, ৪টি কোভিড স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২৪টি কোভিড কেন্দ্রে সংক্রমিতদের চিকিৎসা চলছে। অর্থাৎ দিল্লিতে বর্তমানে ৬৪টি জায়গায় কোভিড সংক্রমিতরা চিকিৎসা পাচ্ছেন। এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

দিল্লি সরকারকে,কোভিড – ১৯ এ সংক্রমণের কারণে কেউ মারা গেলে মৃত ব্যক্তি বিষয়ে মূল্যায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । সংক্রমিত ব্যক্তি মারা যাওয়ার কতদিন আগে এবং কোথা থেকে হাসপাতালে এসেছিলেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। মৃত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে ছিলেন কি না, অথবা তাকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে বিশদে জানতে বলা হয়েছে। প্রতিটি মৃত্যুর বিষয়ে কেন্দ্রকেও বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। সমস্ত হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মৃতদেহগুলিকে তাদের আত্মীয় পরিজনের হাতে দ্রুত তুলে দিতে হবে, যাতে ঐ ব্যক্তির শেষকৃত্য সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে পারে।   

 



CG/CB/SFS



(Release ID: 1634781) Visitor Counter : 189