আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

ক্ষুদ্র বনজ পণ্য সামগ্রীর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি আদিবাসী অঞ্চলের অর্থনীতিকে ২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে দেবে

Posted On: 18 JUN 2020 7:42PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১ জুন, ২০২০

 

 


    ১৭টি রাজ্যে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তহবিল থেকে ৮৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ক্ষুদ্র বনজ পণ্যসামগ্রী কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মান্ডি বা হাট-বাজারের মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকার বনজ পণ্যের বাণিজ্য হয়েছে। এরফলে এ বছর ২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ক্ষুদ্র বনজ পণ্য কেনা সম্ভব হবে। এই সমস্ত পণ্যের দাম আদিবাসী মানুষদের সরাসরি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন দিল্লীতে বৃহস্পতিবার (১৮ই জুন) ট্রাইফেড আয়োজিত ওয়েবিনার ভিত্তিক এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানানো হয়েছে। এই ওয়েবিনারের নাম দেওয়া হয়েছিল "ভারতের আদিবাসী অঞ্চলের ক্ষুদ্র বনজ পণ্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য"। এই ওয়েবিনারে পৌরহিত্য করেন ট্রাইফেডের কার্যকরী অধিকর্তা শ্রী প্রবীর কৃষ্ণ।


    কেন্দ্রীয় আদিবাসী  বিষয়ক মন্ত্রকের উদ্যোগে স্টার্ট-আপ ভিত্তিক প্রকল্প ‘বন ধন যোজনা’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্প চালু করার এক বছরের মধ্যে ১ হাজার ২০৫টি আদিবাসী শিল্পোদ্যোগ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি ২২টি রাজ্যে ১৮ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। দেশজুড়ে এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হবার ফলে বনজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন এই পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উপজাতি মানুষেরা।


    ওয়েবিনারে শ্রী প্রবীর কৃষ্ণ জানান, আগে বনজ পণ্যের সহায়তার জন্য এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র দুটি রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা ১৭টি রাজ্যে চলছে। এই রাজ্যগুলি হল, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, ছত্তিশগড়, গুজরাত, ঝাড়খন্ড, কেলারা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।


    অনুষ্ঠানে শ্রী কৃষ্ণ এই প্রকল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং এটি কিভাবে আদিবাসীদের সাহায্য করছে তাও তুলে ধরেন। বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে উপজাতি মানুষদের মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র বনজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ফলে সমস্ত রাজ্যের আদিবাসী মানুষদের উপকার হয়েছে।


    এপ্রিল-জুন মাসের মধ্যে বনজ পণ্যের সংগ্রহ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়। কিন্তু কোভিড-১৯এর জেরে একাধিক সমস্যার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আদিবাসী মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এবং উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বনজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত বিষয় বৃদ্ধি করার ফলে আদিবাসী মানুষদের আয় বেড়েছে।


    ওয়েবিনারে শ্রী কৃষ্ণ, এপ্রিল মাসে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের মধ্যে বৈঠকের কথা ব্যাখ্যা করে বলেন, উপজাতি মানুষদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি বজায় রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এবং আসামের কিছু বাস্তব জীবনভিত্তিক উদাহরণের কথা তুলে ধরেন। কিভাবে এই জায়গাগুলিতে বনজ পণ্য বিক্রি হচ্ছে তারও ব্যাখ্যা দেন। প্রতিটি জায়গায় বনজ পণ্য বিক্রির জন্য বৈদ্যুতিন ওজন মেশিন, বনজ পণ্যের সংশোধিত দাম সম্পর্কিত তালিকা, পণ্যের বিবরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


    শ্রী কৃষ্ণ বলেন, এক্ষেত্রে ছত্তিশগড় রাজ্য সেরার তকমা পেয়েছে। এই রাজ্যে ৮৬৬টি বনজ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৩৯টি বন ধন কেন্দ্রে কার্যকরীভাবে বন ধনের সঙ্গে যুক্ত  স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করে চলেছে। ওয়েবিনারের শেষে শ্রী কৃষ্ণ জানান, বনজ পণ্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি আদিবাসী মানুষদের ক্ষমতায়ণে সাহায্য করবে এবং সেই অঞ্চলের অর্থনীতির বিকাশ ঘটাবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের মূল মন্ত্র হল ‘মেরা বন মেরা ধন মেরা উদ্যম’।

 



CG/SS/NS



(Release ID: 1632572) Visitor Counter : 203