শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের সদস্যদের অন লাইনে বিভিন্ন জায়গা থেকে দাবি মেটানোর উদ্যোগ

Posted On: 15 JUN 2020 5:42PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৫ জুন, ২০২০

 

 

        কোভিড-১৯ মহামারীর সময় দেশজুড়ে একইভাবে পরিষেবা দেবার জন্য কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন- ইপিএফও)সদস্যদের দাবি পূরণের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এরফলে ইপিএফও-র দেশের যেকোন আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সদস্যদের দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে। এই উদ্যোগের ফলে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল, অবসরকালীন ভাতা, তহবিলের থেকে আংশিক টাকা তোলার ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন দাবি অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।  

 

        কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে ইপিএফও-র ১৩৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুম্বাই, থানে, হরিয়ানা এবং চেন্নাই অঞ্চলে কোভিড-১৯এর জন্য অত্যন্ত কম সংখ্যক কর্মীদের দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। অথচ এইসব দপ্তরে কোভিড-১৯এর অ্যাডভান্স পাওয়ার জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়ছে। ফলে দেশের অন্যান্য অংশের অফিসগুলি থেকে এখানে আবেদনের মীমাংসা হতে বেশি সময় লাগছে। কারণ দেশের অন্যত্র ৫০ শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো যাচ্ছে। এছাড়া স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনের মীমাংসা তিন দিনের মধ্যে করার উদ্যোগটিও ওইসব জায়গায় ফলপ্রসূ হতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।    

 

        দেশজুড়ে সর্বত্র কোভিড-১৯এর অ্যাডভান্স পাওয়ার আবেদনের মীমাংসার সময়সীমা যেন একই সময়ে হয় সেইজন্য বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এতদিন একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলের মধ্যে থাকা সদস্যদের দাবি-দাওয়া সেখান থেকেই পূরণ করা হতো। বর্তমানে অনলাইনে অন্য অঞ্চল থেকেও এই দাবি পূরণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তারফলে আবেদনগুলির মীমাংসা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। কোভিড-১৯এর কারণে যেসব অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা বেশি পরিমাণে থাকায় দপ্তরে কম কর্মী কাজে যাচ্ছেন,  সেখানের বকেয়া আবেদনগুলির নিষ্পত্তি অন্যত্র করা সম্ভব হচ্ছে।

 

        এরফলে সদস্যদের আবেদন রেকর্ড সময়ে নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে। যেমন গুরুগ্রাম অঞ্চলের সদস্যদের আবেদনগুলি চন্ডীগড়, লুধিয়ানা এবং জলন্ধরে ইপিএফও-র কার্যালয় থেকে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এই নিষ্পত্তির পরে গুরুগ্রামের দপ্তর থেকে সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।  নতুন এই ব্যবস্থার ফলে কন্টেনমেন্ট এলাকায় থাকা অফিসগুলির কাজ অন্য অফিসে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, তারফলে পুরো প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি দ্রুত হারে হয়েছে। অন্য জায়গা থেকে আবেদনের নিষ্পত্তির এই সুবিধা কার্যকর হবার ফলে সদস্যদের শারীরিকভাবে উপস্থিত হবার প্রয়োজন থাকছেনা যার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার মাত্রা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি সদস্যদের অভিযোগ জানানোর হারও কম হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার স্বপ্নও এরফলে এক ধাপ এগুলো।   

 

        কোভিড-১৯এর নিষেধাজ্ঞার ফলে ইপিএফও-র দপ্তরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যেও আধিকারিক ও কর্মীদের নিষ্ঠা এবং নিরন্তর উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার জন্য পয়লা এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ৮০ হাজার সদস্যের ২৭০ কোটি টাকার আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে অন্যান্য কার্যালয় থেকেও এই আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়ার ফলে সংকটের এই সময়ে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চয়তার জন্য ৬ কোটির বেশি সদস্যের আরও সুবিধা হবে।

 

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1631750) Visitor Counter : 264