ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

লকডাউনের সময় রেলের ৩ হাজার ৯৬৫টি রেকে করে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে

Posted On: 07 JUN 2020 7:02PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ জুন, ২০২০

 


খাদ্যশস্য সরবরাহ

দেশে গত ২৪শে মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণার পরবর্তী সময়ে ভারতীয় রেলের ৩ হাজার ৯৬৫টি রেকে করে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। রেলপথে পরিবহণের পাশাপাশি, সড়ক ও জলপথেও খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৩৪ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও, জাতীয় সুরক্ষা আইন এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় ৩ মাসের জন্য ১১ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সরবরাহ করা হয়েছে।


প্রবাসী শ্রমিকদের খাদ্যশস্য সরবরাহ :

(আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ)

কেন্দ্রীয় সরকার আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় প্রায় ৮ কোটি প্রবাসী শ্রমিক, আটকে পড়া ব্যক্তি এবং দুস্থ পরিবারগুলিকে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত প্রবাসী শ্রমিকদের মে ও জুন মাসে বিনামূল্যে ব্যক্তি পিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ৪ লক্ষ ৪২ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে এবং সুফলভোগীদের ১০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন বা পিডিএস ব্যবস্থার বাইরে থাকা ৮ কোটি প্রবাসী শ্রমিক ও আটকে পড়া ব্যক্তি এবং দরিদ্র পরিবারগুলিকে মে ও জুন মাসে ব্যক্তি পিছু ১ কোটি করে ছোলা/ডাল বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ২৮ হাজার ৩০৬ মেট্রিক টন ছোলা/ডাল সরবরাহ করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় সরকার এই কর্মসূচির আওতায় খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য ৩ হাজার ১০৯ কোটি টাকা এবং ছোলা সরবরাহের জন্য ২৮০ কোটি টাকা খরচ করছে।


প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা : খাদ্যশস্য (চাল/গম)

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় এপ্রিল-জুন পর্যন্ত তিন মাসে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ৯১ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করেছে। রাজ্যগুলিকে এপ্রিল মাসের জন্য ৩৬ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, মে মাসের জন্য ৩৪ লক্ষ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন এবং জুন মাসের জন্য ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছে। এই খাদ্যশস্য বাবদ সম্পূর্ণ খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করছে। সরকারের এই খাতে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।


ডালশস্য

এপ্রিল থেকে জুন – এই তিন মাসে মোট ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন ডালশস্যের চাহিদা রয়েছে।এখনও পর্যন্ত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৪ লক্ষ ৭১ হাজার মেট্রিক টন ডালশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে।


খোলা বাজার বিক্রয় কর্মসূচি

এই কর্মসূচির আওতায় চালের দাম স্থির হয়েছে কেজি প্রতি ২২ টাকা এবং গমের মূল্য স্থির হয়েছে কেজি প্রতি ২১ টাকা। লকডাউনের সময় ভারতীয় খাদ্য নিগম এই কর্মসূচির আওতায় ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন গম এবং ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল বিক্রয় করেছে।


খাদ্যশস্য সংগ্রহ

২০২০-২১ এর রবি বিপণন মরশুম থেকে ৬ই জুন পর্যন্ত ৩ কোটি ৭১ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি গম এবং ২০১৯-২০’র খরিফ বিপণন মরশুম থেকে ৭ কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি চাল সংগৃহীত হয়েছে।


খাদ্য ও ডালশস্যের মজুত পরিমাণ

ভারতীয় খাদ্য নিগমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৬ই জুন পর্যন্ত মজুত চালের পরিমাণ ২ কোটি ৬৯ লক্ষ ৭৯ হাজার এবং গমের মজুত পরিমাণ ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। এর ফলে, নিগমের কাছে মোট খাদ্যশস্যের সংগ্রহ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৭ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলির জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন।

এছাড়াও, নিগমের কাছে ১৩ হাজার ১ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের ডালশস্য মজুত রয়েছে।

শুরু থেকে শেষ সমগ্র প্রক্রিয়ার কম্প্যুটারাইজেশন

মোট ৯০ শতাংশ ন্যায্য মূল্যের দোকান ই-পিওএফ পদ্ধতিতে লেনদেন হয়েছে। ২০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিতে ১০০ শতাংশ কম্প্যুটার-চালিত ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে।

৯০ শতাংশ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে। এছাড়াও, ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০০ শতাংশ আধার – রেশন সংযুক্তিকরণ হয়েছে।


এক দেশ, এক রেশন কার্ড

২০২০-র পয়লা জুন পর্যন্ত ২০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক দেশ, এক রেশন কার্ড কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে। আগামী আগস্ট মাস থেকে আরও তিনটি রাজ্যে এই কর্মসূচি চালু হতে চলেছে। দেশের বাকি ১৩টি রাজ্যকে ২০২১ – এর ৩১শে মার্চের মধ্যে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।


অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী আইন

গ্রাহক বিষয়ক দপ্তর কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিষয়টিকে বিবচেনায় রেখে ফেস মাস্ক ও স্যানিটাইজার সামগ্রীকে অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য বিভিন্ন উপাদান, যেগুলি মাস্ক ও স্যানিটাইজার উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়, সেগুলির মূল্য স্থির করে দিয়েছে।

সব ধরনের অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ-শৃঙ্খল ব্যবস্থায় যাতে কোনও বাধা দেখা না দেয়, তার জন্য এবং অত্যাবশ্যক পণ্যগুলির মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যগুলিকে নীতি-নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী আইনের আওতায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার দেওয়া হয়েছে।





CG/BD/SB



(Release ID: 1630196) Visitor Counter : 177