স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডঃ হর্ষ বর্ধন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন

Posted On: 04 JUN 2020 4:47PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৪ জুন, ২০২০

 

 


দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে জোরদার নজরদারি, পরীক্ষা এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালানো দরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ কোভিড-১৯ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী অনিল বৈজাল এবং দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী এস সত্যেন্দ্র জৈন উপস্থিত ছিলেন। দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত জেলায় এখন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সব জেলাই এখন কোভিডে আক্রান্ত - একথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, বিভিন্ন জেলায় ক্রমবর্ধমান কোভিড রোগ বৃদ্ধির ঘটনা এবং উচ্চহারে কোভিড সংক্রমণ মিলেছে ও নিম্নমানের পরীক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি বলেন, দিল্লিতে উত্তর-পূর্বের কয়েকটি জেলাতে ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ৫১৭টি করে পরীক্ষা হচ্ছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলিতে ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ৫০৬টি করে পরীক্ষা চলছে। গত সপ্তাহে রাজধানী অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৫.৭ শতাংশ। দিল্লির অন্যান্য জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার ছিল ৩৮ শতাংশ। এমনকি, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেক কর্মীরও করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাও যথেষ্ট নিম্নমানের।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯-এ মৃত্যু হার হ্রাসের জন্য চিকিৎসা-ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন বলে জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে র‍্যাপিড টেস্ট করা হচ্ছে তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। সংক্রমিত রোগী যাতে সহজেই হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন এবং সেখানে শয্যার অপ্রতুলতা না হয় তারও ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। হোম আইসোলেশনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু মৃত্যু এড়াতে প্রয়োজন হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার। প্রবীণ, দুর্বল ব্যক্তি সহ যাঁদের অসুবিধা রয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করা এবং সুরক্ষা দেওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার সময়ে সময়ে যে নির্দেশিকা ও নিয়ম জারি করেছে তা মেনে চলা প্রয়োজন । এতে দিল্লিতে যেমন সংক্রমণ হার কমবে, তেমনই মৃত্যু হারও কমবে। দিল্লিতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি  জ্বরের চিকিৎসার জন্য  কেন্দ্র এবং করোনা উপসর্গ নির্ণায়ক কেন্দ্র তৈরি করা প্রয়োজন। আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করার ওপরও জোর দেন তিনি। এছাড়াও দিল্লিতে কোভিড নয় এমন চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


ভিডিও কনফারেন্সের সময় ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্যও দিল্লিকে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। দিল্লির জেলাশাসক, কমিশনার এবং মেয়রদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে অনেক কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। সেখানে সঠিকভাবে নিয়ম কার্যকর করতে হবে। সেখান থেকে যাতে কোনরকমভাবে রোগ ছড়িয়ে যেতে না পারে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি সম্মিলিত লড়াই । সকলেই দিল্লির পাশে রয়েছে।


জেলাশাসক এবং পৌরসভার আধিকারিকদের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এই আনলক-১ পর্বে সঠিকভাবে নিয়ম পালন এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখা প্রয়োজন। বৈঠকে পৌর আধিকারিক এবং জেলাশাসকরা জানান, কন্টেনমেন্ট জোনগুলির পরিধি নিয়ন্ত্রণ ও সঠিকভাবে কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।


সামনের সারির কর্মী, প্রশাসন এবং অন্যান্য কোভিড যোদ্ধাদের উচ্ছসিত প্রশংসা করে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, এখন আগের থেকেও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিধির নিয়মগুলি যেমন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার হাত ধোয়া, আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও, চিকিৎসক, সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সম্মান দেখানো প্রয়োজন। গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন এবং বয়স্ক, অভাবী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর মানুষকে সহায়তা দেওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, সকলের সম্মিলিত  প্রয়াসে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হতে পারব।”


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওএসডি শ্রী রাজেশ ভূষণ, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব শ্রীমতী আরতী আহুজা, দিল্লির সমস্ত জেলার জেলাশাসক, তিনটি পৌরসভার কমিশনার এবং দিল্লি সরকারের অন্যান্য আধিকারিকরা এই পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেন।

 

 


CG/SS/DM


(Release ID: 1629467) Visitor Counter : 219