বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

এনসিভিটিসি কোভিড-১৯এর মোকাবিলার জন্য কোষে অ্যান্টিভাইরাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে

Posted On: 04 JUN 2020 10:56AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ০৪  জুন, ২০২০

 


বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি গবেষণা পর্ষদ,  ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেটেরিনারি টাইপ কালচারর্স (এসসিভিটিসি) এবং হরিয়ানার হিসারের আইসিওআর-এনআরসি-কে একটি গবেষণার কাজে সাহায্য করবে। এই সংস্থা দুটি তাদের পরীক্ষাগারে থাকা ৯৪ রকমের ছোট আণবিক রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করবে, যেগুলির অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্যই এই গবেষণা করা হবে।   


এই আণবিক পদার্থগুলি কোষের বিভিন্ন অংশে আটকে থাকতে পারে। ক্যান্সার চিকিৎসায় এদের ভূমিকা নিয়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা থাকলেও ভাইরাসের জীবনচক্রে এদের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে কোনো ধারণা এখনও নেই। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী কাজকর্মের জন্য এই আণবিক পদার্থগুলি কতটা সহায়ক হবে বিজ্ঞানীরা তা নিয়েই গবেষণা করবেন। কারণ বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত অসুখের জন্য প্রয়োগ করা ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতাকে কোষের যেসব উপাদানগুলি নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলিকে এই রাসায়নিক পদার্থগুলি  ধ্বংস করে।  যা দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়। 


এই ধরণের ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধগুলি নির্দিষ্ট ভাইরাসের প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়। কিন্তু ওষুধ প্রতিরোধী ভাইরাসগুলি খুব দ্রুত কোষের মধ্যে জন্ম নেওয়ায় এই কৌশল প্রায়শই ব্যর্থ হয়। ভাইরাস সাধারণভাবে পলিমেরাস উৎসেচকের নিউক্লিক অ্যাসিডকে সংশ্লেষিত করে থাকে। তবে করোনা ভাইরাসের মতো আরএনএ যুক্ত ভাইরাসগুলি কোষের মধ্যে ব্যাপকভাবে উপাদিত হওয়ার ক্ষমতা না থাকায় বিজ্ঞানীরা এই নতুন পন্থাটি অবলম্বনের চেষ্টা করবেন। যারফলে ভাইরাসের প্রোটিনটিকে সনাক্ত করে ওই ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ তৈরিতে সেটি ব্যবহার করা যাবে।


বিভিন্ন ভাইরাস  সাধারণত কোষের মধ্যে দ্রুতহারে বেড়ে উঠে। আবার মানুষের প্রতিটি কোষে প্রায় ২৫ হাজার প্রোটিন আছে। ভাইরাসের জন্মের সময় মূল ভাইরাস  এই কোষের প্রোটিনগুলির সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে। একটি ভাইরাস থেকে আরও ভাইরাসের জন্ম দিতে হলে কোষের মধ্যে থাকা ১ হাজারের বেশি প্রোটিনের ওই ভাইরাসের প্রয়োজন হয়। বিজ্ঞানীরা এই দিকটি বিবেচনা করে ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যারফলে ভাইরাসগুলি নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারবে না।

 

 


CG/CB/NS



(Release ID: 1629385) Visitor Counter : 246